ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এখনও টাট্টু ঘোড়াগাড়ি

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

এখনও টাট্টু ঘোড়াগাড়ি

আদিকাল থেকেই নদী এলাকার চরাঞ্চলে মানুষের বর্ষায় যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। শুকনা মৌসুমে খেয়া নৌকা ছাড়াও যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি, গরু ও মোষের গাড়ি, বাইসাইকেল। নারী, বয়স্ক ও অসুস্থদের জন্য ছিল পালকি ও খাটলি। একালের নৌকা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত এবং দ্রুতগতির। ছইওয়ালা ছোট দুই মাঝির বৈঠায় চালানো নাইওরির নৌকার পরিবর্তে এখন নতুন বউ নাইওর যায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গয়নার নৌকায়। শুধুমাত্র মাছ ধরার জন্য জেলেরাই নদীতে দাঁড়টানা, বৈঠা-লগি টানা ও পাল খাটানো ছোট নৌকা ব্যবহার করে। পালকির প্রচলন না থাকলেও খাটলির প্রচলন আজও আছে। অসুস্থ রোগী বা বয়স্ক ব্যক্তিদের মানুষ কাঠের ছোট জলচোকিতে দড়ি বেঁধে বাঁশ লাগিয়ে দু’জন বেহারা তা ঘাড়ে করে নিয়ে যায়। যাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় খাটলি। তবে গরু-মোষের গাড়ি ব্যবহার কমলেও ঘোড়ার গাড়ির চলাচল এখনও আছে। বাইসাইকেলও পরিবহনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। গরুর গাড়ির জেলাখ্যাত গাইবান্ধায় এখন গরু- মোষের গাড়ি বিলুপ্তপ্রায়। সম্প্রতি শ্যালো মেশিন চালিত ভটভটি, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, সিএনজিচালিত টেম্পো, ট্রাক্টরের ইঞ্জিন চালিত কাঁকড়া, ভাড়ায় চালিত যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, রিক্সা-ভ্যান, মোটরচালিত রিক্সা, ম্যাজিক নামের ১২ সিটের যাত্রীবাহী গাড়ি প্রধান যানবাহনে পরিণত হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক সাইকেল, রিক্সা জেলায় চালু থাকলেও মোটরসাইকেল ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। -আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা থেকে
×