চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল বলেছেন, শহরে যৌন হামলার পর বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বিদেশীদের বিতাড়িত করার বিষয়টি অবশ্য আবারও ভেবে দেখবে জার্মানি। খবর বিবিসি অনলাইনের।
মেরকেল বলেন, যারা জার্মান আইন মেনে চলবে না তাদের কাছে এ ব্যাপারে স্পষ্ট সঙ্কেত পাঠানো হবে। নর্থ আফ্রিকান ও আরব হিসেবে দৃশ্যত ধরে নেয়া পুরুষ। এসব হামলার পেছনে রয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়। ইতোমধ্যে নিউইয়র্ক ঈভ বা নববর্ষের পূর্বসন্ধ্যা থেকে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ফিনল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডে। চ্যান্সেলর এক বিবৃতিতে বলেন, নববর্ষে যা ঘটেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, এগুলো প্রচ- ঘৃণ্য অপরাধ। কোন রাষ্ট্র, জার্মানি তা মেনে নেবে না। এ ধরনের ঘটনার শিকার নারীরা মানুষের করুণার পাত্র হয়ে পড়ে। তাদের রক্ষা করা যায় না। এগুলো আমার কাছেও ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, যা কিছুই ঘটুক বিষয়টি আলোচনার আসরে। তিনি বলেন, যারা আমাদের আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলবে না তাদের প্রতি স্পষ্ট সঙ্কেত তৈরির উদ্দেশ্যে জার্মানি থেকে বিতারণের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সম্পন্ন করেছে কিনা তা আমাদের সতর্কতার সঙ্গে অবশ্য খতিয়ে দেখতে হবে বারবার। তাদের দেখে বোঝা যায় এ অপরাধীরা নর্থ আফ্রিকান বা আরব। এরা জার্মানিতে এক বিপদ-সঙ্কেত হয়ে উঠেছে। এর কারণ হচ্ছে, গত বছর ১০ লাখের বেশি অভিবাসী ও ও শরণার্থী প্রবেশ করেছে দেশটিতে। জার্মান বিচারমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছেন, হামলায় জড়িত যে কোন বিদেশীর জন্য বিতাড়ন নিশ্চিত গ্রহণযোগ্য। তিনি ফুঙ্কি সংবাদপত্র গ্রুপকে বলেন যে, কোন অভিবাসী বা শরণার্থীর বিরুদ্ধে এখানে বিচারে এক বছর বা তার বেশি কারাদ- হলে জার্মান আইন অনুসারে তাকে বিতাড়িত করা যাবে।
জার্মান মিডিয়া বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়, কোলনে এ ধরনের হামলার ব্যাপকতা নিয়ন্ত্রণে পেরে উঠছে না পুলিশ। বিপোর্টে বলা হয়, নারীদের রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে মদোন্মত্ত ও আগ্রাসী পুরুষ দলের মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়। উদ্বিগ্ন নাগরিকরা ক্রন্দনরত ও দুঃখকাতর সন্তানদের নিয়ে পুলিশ স্টেশনে আসেন বলে রিপোর্টে বলা হয়। কয়েক হাজার লোক যাদের অধিকাংশই অভিবাসী। আতশবাজি ছুড়েছে এবং মানুষের ভিড়ে বোতল ছুড়েছে অহরহ। পুলিশ বলেছে, অপরাধ-ঘটনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১শ’ ২১। এগুলোর মধ্যে চার ভাগের তিনভাগই যৌন সংক্রান্ত হামলা। দুটি ধর্ষণের অপরাধ ঘটনাও রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: