ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুগান্তকারী পদক্ষেপ পদ্মা সেতু

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

যুগান্তকারী পদক্ষেপ  পদ্মা সেতু

যে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ এক অন্যতম মাধ্যম। যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত সে দেশের সার্বিক উন্নতি তত উন্নত। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য যেগাযোগের গুরুত্ব অত্যধিক। ইতোমধ্যে যোগাযোগক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। গ্রামপর্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত হাওড়ের বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত হয়েছে ব্রিজ, কালভার্টসহ ডুবোরাস্তা, যা হাওড়ের বুক চিরে বহুদূর পর্যন্ত চলে গেছে। এরমধ্যে হাওড়-বাঁওড়সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যোগাযোগ ও যাতায়াত ক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এছাড়া যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে বড় বড় সেতু। এসব সংযোগ সেতু নির্মাণের ফলে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে ঘুচে যাচ্ছে যাতায়াত বিড়ম্বনা। সম্প্রতি আমাদের দেশে যোগাযোগ ক্ষেত্রে খুলে গেল আরও একটি বড়মাপের সম্ভাবনার দুয়ার। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ফুটে উঠল স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতুর গোলাপ ফুল। এর মধ্য দিয়ে পূরণ হতে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, একেবারে বাস্তব সত্য। গত ১২ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে মূল পাইলিং কজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের সব দ্বিধা ও বিভ্রান্তি মুছে গেল। স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতুন নির্মাণ বর্তমান সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুর নির্মাণকাজের এবং সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে শরীয়তপুর জেলার জাজিরার নাওডোবায় এক অনুষ্ঠানে নদীশাসন কাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে শুরু হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের মূল কাজ। ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে সেতুর কাজ। খুলে যাবে যোগাযোগের জট, যার মধ্য দিয়ে জিডিপি বাড়বে ১.২ শতাংশ। প্রসারিত হবে অর্থনৈতিক দিগন্ত। পদ্মা সেতু নির্মাণ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের একটি অনন্য মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দৃঢ় আস্থা ও প্রতিশ্রুতির এক সোনালী ফসল স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ ইতিহাসের পাতায় একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে চিরঅটুট থাকবে। শ্যামল চৌধুরী মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা ভূমি কর প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পঁচিশ বিঘা জমির কম জমির খাজনা মওকুফ করেছিলেন। তখনকার প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমানে পঁচিশ বিঘা জমির বেশি জমি খুবই স্বল্পসংখ্যক মালিকের আছে। যার একশত বিঘা জমি ছিল সে ছেলেমেয়েদের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছে। কাজেই ঐ পরিবারের আর খাজনা নেই। আমার বক্তব্য, যার যেমন জমি আছে তার তেমনই খাজনা হবে। প্রত্যেক নাগরিকই তার জমির ভূমি কর দেবে। ভূমি কর দেবে না এমন কেউই থাকার না। তাহলে সরকারের রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। আশা করি সরকার এ বিষয়ে নজর দেবে। আব্দুল জলিল মোড়ল কেশবপুর, যশোর। হায় টাকা! টাকার মধ্যে দাগ দেয়া বা কোন কিছু আঁকা বা লেখা অন্যায়, টাকার মধ্যে দাগ দিলে বা লিখলে; টাকার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। যারা টাকার মধ্যে দাগ দেন বা মনের মাধুরী মিশিয়ে হাবি-জাবি লেখেন তারা কি এটা জানেন? আসলে যারা টাকার মধ্যে দাগ দেন বা লিখেন, সেই ধরনের শিক্ষিত অজ্ঞানীর চেয়ে অশিক্ষিত জ্ঞানী অনেক ভাল। আসলে শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই জ্ঞানী হওয়া যায় না, হোক আমার এই লেখাপড়ার পর থেকে আশা করি আর কেউ কখনও টাকার মধ্যে দাগ দেবেন না বা লিখবেন না। টাকার মধ্যে দাগ দিয়ে বা লিখে অযথা অন্যায় করে লাভ কি? আসুন পাপ অর্জন না করে নিজেদের পাপমুক্ত রাখি দেশ ও পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সব মানুষের কল্যাণে। দিপু প্রামাণিক নবাবগঞ্জ, ঢাকা। যারা ফিরে আসেনি... ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। একই সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটে। দীর্ঘ নয় মাস স্বাধীনতা যুদ্ধ চলার পর ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাপতি রণক্ষেত্রে পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। যেসব বাঙালী সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু নিজ নিজ বাড়িতে, পরিবারবর্গের কাছে সংবাদ পাঠিয়ে ছিলেন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতাযুদ্ধ শেষে তাদের মধ্যে অসংখ্য সেনা সদস্য পরিবার, পিতা-মাতা তথা বাড়িতে আর ফিরে আসেননি। তাদের অনেকের সন্ধান আজও জানা যায়নি। ওইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধানে পরবর্তীতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সব সরকার কর্তৃক তা আশা করাটা কঠিন ছিল। গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হারিয়ে যাওয়া নিখোঁজ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান নিতে দেশের সব স্থানে গণকবর চিহ্নিত করে ওইসব এলাকার লোকজন অথবা নামফলক হতে নাম সংগ্রহ করে জাতীয় সব পত্রিকায় প্রকাশ করার ব্যবস্থা নিতে পারে। যেমন মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার অন্তর্গত কয়কীর্তন গ্রামের আমিনুল ইসলাম কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে সেনা সদস্য থাকাবস্থায় ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে কোন এক তারিখে ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে সংবাদ পাঠিয়ে ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুল হক আজও ফিরে আসেননি। গণকবর ও বধ্যভূমির অনুসন্ধানের ব্যবস্থা নেয়া জরুরী, সব জেলার ডিসিদের প্রতি ও থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের প্রতি উক্ত বিষয়ে জরুরী নির্দেশনা দিতে পারে স্বরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ সেই গহর এখন! মুক্তিযোদ্ধা ও স্কুলশিক্ষক গহর এখন স্রেফ পাগল। পঞ্চাশের উর্ধে দাড়ি-গোঁফ লম্বা। তিনি বাজারে হাত পাতেন। এক সময় সাদা কয়েনে করতল ভরে যায়। দ্রুত বাজার মসজিদের পুকুর জলে মুঠি ভরা এক-দুই-পাঁচ টাকার ভারি কয়েনগুলো ছুড়ে মারেন। অতঃপর অট্টহাসি দেন। তারপর বলেন, ‘গহর আর সেই পাগল নেই, তাজমহলে গহরের টাকা আছে।’ গহর সাহেব আবার হাত পাতেন। মুঠি ভরলেই জলে ফেলেন আবার অট্টহাসি হাসেন; আবার একই কথন। এভাবে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যায়, বছর যায়। কিন্তু গহর স্যার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পান না। এ গহররাই তো স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে দিয়েছেন সার্বভৌম ভূমি। স্বদেশেই এমন দুর্দশা কি গ্রহণযোগ্য? মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে জীবনযুদ্ধে কি তারা পরাজিত নন? কে দেবে এ প্রশ্নের উত্তর! গাজী আব্দুল লতিফ মান্নান মনিরামপুর, যশোর খালেদা জিয়ার বিচার হবে কি? বিগত তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মানুষ মারার জন্য পেট্রোলবোমা, জ্বালাও-পোড়াও করেছেন। ক্ষমতা দখলের জন্য সহিংস আন্দোলন করে বিএনপি-জামায়াত-শিবির ও উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীকে মদদ দিয়েছেন। খুনী ধর্ষক সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর উত্তরের জেলাগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, হিন্দু, আদিবাসীদের ওপর ’৭১-এর মতো হত্যা, ধর্ষণ, রাস্তাঘাট, বন, বাড়িঘর, ক্ষেতখামার ধ্বংসের আদেশ দিয়েছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধে একই রকম ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যা, ধর্ষণ, প্রায় ৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সর্বত্র ধ্বংস-অগ্নিসংযোগে মদদ দিয়েছেন। দানবদের পেট্রোলবোমার আগুনে আমাদের অনেক আপনজন বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মারা যান। তখন মানবিক বিষয়ে একবারও চিন্তা করেননি। ’৭১-এর দানবরা গণহত্যা চালিয়েছিল। তারা তাদের লোকজন দিয়ে এখনও আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করছে। পরাজয়ের গ্লানি এখনও পাকিস্তান ভুলতে পারেনি। ভুলতে পারেননি খালেদা জিয়াও। এসব কর্মকা-ের দ্বারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার অপচেষ্টা তার। লন্ডন থেকে দেশে ফিরে পৌরসভা নির্বাচন করার নামে খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাসে ’৭১-এর যুদ্ধের সময় শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। তার বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দেশের মানুষ। গোটা জাতি হতবাক ও বিস্মিত তার এ মন্তব্যে। বাংলাদেশের প্রতি তার সামান্য ভালবাসা থাকলে এ রকম মন্তব্য তিনি করতে পারতেন না। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও পাকিস্তান ও জামায়াতে ইসলামী দলের মতোই তার মন্তব্য। তিনি এখনও মনেপ্রাণে পাকিস্তানী। তাই তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’ তিনি এখনও নানা কায়দায় উস্কানি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছেন। পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান ভুট্টোকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছিল একজন রাজনীতিককে হত্যা করার জন্য। আর বাংলাদেশে খালেদা জিয়া বহু হত্যার আদেশদানের নেত্রী। তাই তারও কি বিচার হওয়া উচিত নয়? নাকি তিনি রাজনৈতিক নেতা বলে পার পেয়ে যাবেন? এ বিষয়ে সরকার কী ভাবছে? এ বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া গাজীপুরÑবাসন সড়কের দুরবস্থা আমরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ডের বাসন সড়কসংলগ্ন এলাকার অধিবাসী। বাসন সড়কটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম দিকে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিলোমিটার। এরমধ্যে তিন কিলোমিটার ইটের সলিং এবং কার্পেটিং করা। বাকি এক কিলোমিটার রাস্তা মুন্সীবাড়ি ও কবির মাস্টারের বাড়ি থেকে পশ্চিম দিকে চৌধুরী ব্রিকফিল্ড পর্যন্ত একেবারেই কাঁচা। বিশেষ করে বন্যার সময় এই এক কিলোমিটার রাস্তার উভয় পার্শ্বের মানুষের খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তার দুরবস্থার কারণে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বাসন সড়ক নামের এই চার কিলোমিটার রাস্তাটির পাশে প্রায় ১৫-১৬টি প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল এবং মাদ্রাসা আছে। ১৫-১৬টি ইন্ডাস্ট্রি আছে। এই এলাকায় চার লাখের অধিক মানুষের বসবাস। রাস্তাটি খুবই ব্যস্ত, ২৪ ঘণ্টা মানুষ চলাচল করে। বর্ষার সময় রাস্তাটি একেবারেই চলালের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যানবাহন প্রায়ই খাদে পড়ে যায়। রাস্তায় কোন লাইটিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর ছিনতাই, চুরি এবং নেশাসহ নানা রকম অপরাধ সংঘটিত হয়। এমতাবস্থায় বিষয়টি প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মোঃ শফিউদ্দিন তালুকদার ঁ.ংযড়ভর@ ুধযড়ড়.পড়স
×