ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সান্তাহারে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

সান্তাহারে মালিক ও  শ্রমিক পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ৮ জানুয়ারি ॥ বগুড়ার সান্তাহারে সিএনজিচালিত অটোটেম্পো ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের বিরোধের জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বেশকিছু শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি বর্ষণ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে আহত; সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি নূর ইসলামের ছোট ভাই সান্তাহার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার বড় ভাই নূর ইসলাম ও ছোট ভাই বাসেদুল ইসলাম বাদশা এবং সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান টিটুসহ ১১ জন। এর মধ্যে বাদশার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার পর সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শহরে তুলকালামকা- শুরু করে। তারা ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি ও আদমদীঘি উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস হাসান সুমনের বাড়ি, জাতীয় পার্টি অফিস, জাপা উপজেলা কমিটির সভাপতির এনএইচএম মিলনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিক সমিতি কার্যালয় এবং জাতীয় পার্টি নেতা শিবলির বাড়িসহ প্রায় ১০ স্থানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের খবর পেয়ে সান্তাহারের পাশের নওগাঁ থেকে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক গাড়ি এলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের উপর চড়াও হয়। তাদের আগুন নেভাতে বাধা দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এ সময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়। শহরবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনার প্রতিবাদে আদমদীঘি উপজেলা সদরে সিএনজি মালিক-শ্রমিক সংগঠন সান্তাহার-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে রাখে। পরে বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে এসে অবরোধ তুলে দেয়। এ রিপোর্ট পাঠানোর সময় পর্যন্ত শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জাতীয় পার্টি সান্তাহার পৌর শাখার সভাপতি আব্দুল লতিফকে গ্রেফতার করেছে।
×