ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সওজের জমির বেদখল রোধে ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা

যেখানে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ, বিলবোর্ড লাগানো যাবে না ॥ সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

যেখানে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ, বিলবোর্ড লাগানো যাবে না ॥ সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ

সমুদ্র হক ॥ সড়ক ও মহাসড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের আওতাধীন রাস্তার ধারের জমির বেদখল রোধে জমি ব্যবহার, বিলবোর্ড স্থাপন ও ভূমি ব্যবহারকে ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে। এখন থেকে যে কেউ যে কোনভাবে জাতীয়, আঞ্চলিক মহাসড়কের ধারে এবং আন্তঃজেলা সংযোগ সড়কের ধারে স্থাপনা নির্মাণ ও বিলবোর্ড স্থাপন করতে পারবে না। সওজ অধিদফতরের জমির মালিকানা ধরে রাখতে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ইজারা দেয়া যাবে। বিলবোর্ড স্থাপনেও নতুন নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত বছর নবেম্বর মাসে প্রণীত ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার আওতায় এইসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সব জেলা প্রশাসনকে এই নীতি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগে জাতীয় মহাসড়কের ধারে যানবাহনের যাত্রীদের দৃষ্টিতে সরাসরি পড়ে এমন স্থানে বিশাল বিলবোর্ড স্থাপন করা হত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সড়কের বাঁকের কাছে এমন আড়াআড়িভাবে স্থাপিত হত যা গাড়ি চালনায় চালকের দৃষ্টিকে ভ্রমের মধ্যে ফেলে দিত। কখনও বিপরীত দিকে থেকে আসা গাড়ি তেমন চোখে পড়ত না। আবার পেছনের দ্রুতগামী গাড়ি বাঁক ঘোরাতে একটু বেখেয়াল হলে ধাক্কা দিত। এভাবেও বেড়ে যায় দুর্ঘটনার হার। বর্তমানের নীতিমালায় মহাসড়কের বাঁকের ভেতরের দিকে, কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন (কেপিআই) এলাকার ভেতরে, ফুট ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার, বহুতল ভবন ও চলাচলে দৃষ্টি ভ্রম হয় এমন কোন ভবনের ওপরে পাশে সড়কের দুইধার জুড়ে, আড়াআড়িভাবে কোন বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমতি দেয়া যাবে না। এমন কি শহরে ও নগরীর ভেতরেও জায়েন্ট স্ক্রিনের মনিটরে (টেলিভিশনের মতো প্রচার), এলইডি স্ক্রিনের স্ক্রল ভিডিও চিত্রের প্রচারে নিয়ম মেনে করতে হবে। জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও জেলার সড়কগুলোতে সড়ক নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টি করে না, পথচারী ও গাড়ি চালকের মনযোগ বিঘিœত ও বিভ্রাট ঘটায় না এমন স্থানে বিলবোর্ড স্থাপন করা যাবে। সওজ অধিদফতরের জমিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে বেসরকারী বিলবোর্ড স্থাপনে ইজারা মিলবে সর্বোচ্চ তিন বছর মেয়াদে। ইজারা নেয়া জমির ওপর স্থাপিত বিলবোর্ডে সরকারী নীতির পরিপন্থী, ধর্মীও অনুভূতিতে আঘাত হানে এবং অশালীন কোন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যাবে না। প্রতি বিলবোর্ডের ওপর সরকারী যে স্মারক মূল্যে ইজারা বা ভাড়া নেয়া হয়েছে তার নম্বর ও মেয়াদকাল এমনভাবে উল্লেখ থাকতে হবে যা দৃষ্টিতে আসে। বিলবোর্ড ইজারা হবে বর্গফুট নির্দিষ্টহারে ভাড়া অনুযায়ী। জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও জেলা সড়কের জন্য এই হার নীতিমালা অনুযায়ী ধার্য হবে। ডিজিটালে জায়েন্ট স্ক্রিনে স্ক্রল ভিশন, ভিডিও চিত্র, ট্রাইভিশন ইত্যাদির জন্য হার আলাদা। বিলবোর্ড ইজারার এককালীন ফি ও বার্ষিক ইজারা ফি উভয়ই প্রদান করতে হবে। প্রতিক্ষেত্রেই ফি হবে বর্গফুটভিত্তিক। যা সড়ক ও মহাসড়কের শ্রেণী অনুযায়ী নির্ধারিত। সড়ক মহাসড়কের শ্রেণী বর্গফুটের মান অনুযায়ী এই হার নিম্নে ৫শ’ টাকা থেকে উর্ধে ৩০ হাজার টাকা। এককালীন ফির হার আলাদা।
×