ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজব হলেও গুজব নয়

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

আজব হলেও গুজব নয়

কোটি টাকার টুনা মাছ! জাপানের এক মাছের বাজারে ২শ’ কেজি ওজনের একটি নীল পাখনার টুনা মাছ বিক্রি হয়েছে ১৪ মিলিয়ন ইয়েনে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা (৯২ লাখ ৪৪ হাজার ২শ’ ৪০ টাকা)। জাপানে এত টাকায় মাছ বিক্রির এটি পঞ্চম ঘটনা। সেখানকার সুশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট কিয়োশি কিমুরা নিলামে ওই টুনা মাছটি কিনে নেন। টুনা মাছের দাম এমনিতেই একটু বেশি। তারওপর আবার নতুন বছর, তাই ২শ’ কেজি ওজনের মাছটি নিলামে অত বেশি দামে বিকিয়েছে। কিমুরা এর আগে ২০১৫ ও ২০১৩ সালেও রেকর্ড পরিমাণ মূল্যে মাছ কিনেছিলেন। আলোচিত ওই টুনা মাছটি ধরা হয়েছিল জাপানের ওমা উপকূল থেকে। জাপানের মুখরোচক খাবার সুশি বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি পেয়েছে। এর অত্যাবশ্যকীয় উপাদান টুনা মাছ। আর সেটি যদি হয় নীল টুনা তাহলে তো আর কথাই নেই। কিন্তু হতাশার বিষয় হচ্ছে, সুশি যত জনপ্রিয় হচ্ছে ততই হ্রাস পাচ্ছে নীল টুনা। তাই পরিবেশবিদরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে একদিন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে এ মাছটি। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ মাছ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি করছেন। নীল টুনার তিনটি জাত রয়েছে। এগুলো পাওয়া যায় প্রশান্ত, আটলান্টিক ও দক্ষিণ মহাসাগরে। ক্যান্সার রোধে আলু প্রাণঘাতী ব্যাধি ক্যান্সার সারাতে লাখ লাখ টাকার দামী ওষুধ যেখানে বেকার সেখানে কঠিন এ ব্যাধি রোধের জন্য পাওয়া গেল অতি পরিচিত এক দাওয়াই। অতি সুপরিচিত সেই ওষুধটি হচ্ছে আলু। সাদা রঙের আলু কমাবে পাকস্থলীর ক্যান্সারের আশঙ্কা। এমনটাই দাবি করেছেন চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ওই গবেষকরা দাবি করেন, ‘যারা নিয়মিত আলু, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি ও ফুলকপির মতো সাদা সবজি খান তাদের পাকস্থলীকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম থাকে। গবেষকরা আরও জানান, বিভিন্ন প্রকারের ফল খেলেও কমে ক্যান্সারের সম্ভাবনা। প্রতিদিন অন্তত ১০০ গ্রাম ফল ক্যান্সারের সম্ভাবনা পাঁচ শতাংশ কমিয়ে দেয়। আর ভিটামিন সি জাতীয় ফলে কমে আট শতাংশ। ভিটামিন সি ক্যান্সারের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ভিটামিন সি পাকস্থলীকেও ভাল রাখে। সারা বিশ্বে ৬৩ লাখ মানুষ গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারে ভুগছেন। এই রোগে ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষের। ক্রমশ প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে রোগটি। ঠিক সেই মুহূর্তে এমন সহজলভ্য একটি দাওয়াই অনেকের মাঝেই জ্বালাবে আশার আলো। ভূমিকম্প প্রতিরোধক খাট ভূমিকম্পের সময় সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে বিশেষ এক ধরনের খাট আবিষ্কার করেছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। ঘুমন্ত মানুষকে ভূমিকম্পের কবল থেকে রক্ষা করতে পারবে এটি। সামান্য একটু উঁচু হলেও এটি দেখতে আর পাঁচটি সাধারণ খাটের মতোই। এটির ভেতরের দিকটা অনেকটা একটি কফিনের মতো। ভূমিকম্পের সময় এর ওপর ঘুমন্ত ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটির ভেতরে চলে যাবে এবং খাটটি ভাজ হয়ে যাবে। শক্ত ইস্পাতের তৈরি এই খাটটির ওপরের দিকটা একটি দরজার মতো। ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ার আগেই খাটটির ওপরে থাকা ব্যক্তি এর ভেতরে চলে যাবে এবং দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। বাক্সের মতো এই খাটটির ভেতরে থাকবে প্রয়োজনীয় খাবার, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম ও গ্যাস নিরোধক মুখোশ, যাতে ভূমিকম্পের শিকার ব্যক্তিকে উদ্ধার করা পর্যন্ত সে বেঁচে থাকতে পারে। খাটটির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এটি বিভিন্ন ডিজাইন এবং বিভিন্ন আকারের হতে পারে। তবে সবগুলো একইভাবে কাজ করে। হঠাৎ করে খাটের ওপরের বিছানাটি এর ভেতরে চলে যায় এবং উপরের দিকটা বন্ধ হয়ে যায়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়, এটা খুবই অসাধারণ একটি ধারণা। ভূমিকম্প একটি ব্যাপক বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এর কোন ভবিষ্যৎবাণী করা যায় না। তাই ঘুমন্ত মানুষকে রক্ষা করতে এটি কার্যকর হতে পারে। তবে সামান্য কিছু সমস্যাও আছে এতে। খাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় কোন ব্যক্তির পা এর পাশের ইস্পাতের সঙ্গে আটকে গেলে কী হবে- তা বলা হয়নি। অথবা দুর্ঘটনাবশত এটি কাজ না করলে-কী হবে তাও বলা হয়নি। খাটটি তৈরি করেছেন রুশ উদ্ভাবক দাহির সিমেনভ। এর আগে ২০১২ সালে একই রকম একটি খাট পরীক্ষা করেছিল চীন। তবে সেটি ছিল সিমনেভের তৈরি করা খাটটির চেয়ে অনেক ধীরগতির। এছাড়া গত বছরের মে মাসে প্রায় এক মেট্রিক টন ওজন বহনে সক্ষম এক ধরনের স্কুল ডেস্ক তৈরি করেছিল ইসরাইল। সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×