ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

কলাপাড়ায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণে অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৭ জানুয়ারি ॥ উপজেলার দক্ষিণ গৈয়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খান এবং প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা দাবি করেছেন, ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন হস্তান্তরের কথা। কিন্তু হঠাৎ করে তিনদিন আগে মাটির থেকে দুই ফুট উপরে সমান্তরালভাবে ভবনটির চারদিকে ফাটল ধরেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউএস প্যাসিফিক কমান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান এ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম-এর অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটির গুণগত মান নিশ্চিত করছেন ইকোটেক কনসালটেন্ট, বারধারা ঢাকা। ব্যবস্থাপনায় ইউএস আর্মি ক্রপস অব ইঞ্জিনিয়ার্স। এক কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। শেষ হওয়ার কথা ২৮৩ দিনে। ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমডিএম, হাউস নম্বর-১৩, রোড-৪১, গুলশান ঢাকা কাজটি সম্পন্ন করছেন। তাদের রয়েছে স্থানীয় সাবকন্ট্রাক্ট ঠিকাদার মজিবর রহমান। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ফাটল ধরা স্থানে ফের মেরামত করা হচ্ছে। এক নির্মাণ কর্মী জানালেন, একটু সমস্যা হয়েছে। সাইট ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমান জানান, এটি মূল ভবনের কোন সমস্যা নয়। ভিমের ওপরের পলেস্তরায় চুলের মতো একটি ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমডিএম এর প্রকল্প কর্মকর্তা ইফতেখারুল কবির জানান, এটি কোন সমস্যা নয়। ২৯ ডিসেম্বরে ভবনটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি তাদের নজরে আসে। পরবর্তীতে ইকোটেক কনসালটেন্টের পরামর্শক পরিদর্শন করেন। ইকোটেক-এর পরামর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, মূল ভবন নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি। শুধুমাত্র ওই বরাবর পলেস্তরার স্তর হাফ ইঞ্চির বেশি হওয়ায় চুলের মতো ফাটল ধরেছে। বনে খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে হাতির পাল নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ৭ জানুয়ারি ॥ দক্ষিণ চট্টগ্রামে বন্য হাতির পাল আশঙ্কাজনক হারে লোকালয়ে বিচরণের ফলে পাহাড়ী এলাকা ও তার আশপাশে বসবাসকারী জনসাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রায় সময় হাতির পাল দল বেঁধে লোকালয়ে ছুঁটে এসে বাড়িঘর তছনছ এবং ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। অপরদিকে, জনরোষের শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে হাতি। হাতির পাল লোকালয়ে ছুটে ও অকারণে মারা যাওয়ার ব্যাপারে বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতরা নানাভাবে অভিমত ব্যক্ত করলেও খাদ্যের অভাবে হাতির পাল লোকালয়ে ছুটে আসছে বলে সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন। সম্প্রতি সময়ে বাঁশখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় হাতির পালের বিচরণ চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সাধনপুর ইউপির বাণীগ্রামের লোকালয়ে হাতির বিচরণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জের জলদী রেঞ্জার বাদল কান্তি দাশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বলে জানা যায়, প্রথমত পাহাড়ী এলাকায় হাতির খাদ্যের অভাব, দ্বিতীয়ত অধিকাংশ বন বৃক্ষশূন্য হয়ে যাওয়ায় হাতির পাল অকারণে লোকালয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
×