ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজবাড়ীতে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের শীতকালীন মহড়া পরিদর্শনে রাষ্ট্রপতি

সেনা সদস্যদের মেধা ও দক্ষতা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

সেনা সদস্যদের মেধা ও দক্ষতা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে

বিডিনিউজ ॥ তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক প্রসারে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের মাত্রা ও কৌশলে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক প্রসারের ফলে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট খাতের চ্যালেঞ্জও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণের মাত্রা এবং কৌশলেও পরিবর্তন আনতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সেনাবাহিনীকেও এগিয়ে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর কালুখালীতে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ‘শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষণ ও ব্রিগেড গ্রুপ এ্যাটাক’ মহড়া পরিদর্শনের পর দরবার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই একজন সৈনিক দক্ষতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। যে কোন সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যদের উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সেনাবাহিনীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বলেন, বর্তমান সরকার একটি যুগোপযোগী ও আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সরকার এ লক্ষ্যে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ নির্ধারণ করেছে। সে মোতাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সাংগঠনিক কাঠামোতে আধুনিক যুদ্ধ উপকরণ সংগ্রহ ও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বহুমুখী দায়িত্ব পালন করতে হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের সেনা সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমান্ডের নেতৃত্ব দিতে হয়। তাই সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের মেধা ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্ডার এ নিকলভ এবং তিন বাহিনীর প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি দুপুর ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে কালুখালী পৌঁছান। বিকেলে ঢাকায় ফেরার আগে অনুষ্ঠানস্থলে স্থানীয়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।
×