ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ের বিকল্প দেখছেন না এমিলি-মিঠুন

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

জয়ের বিকল্প দেখছেন না এমিলি-মিঠুন

স্পোর্টস রিপোর্টার, যশোর থেকে ॥ ‘মাঠে নামার আগে পরিকল্পনা এক জিনিস, আর মাঠে নেমে খেলা অন্য জিনিস। প্রতিপক্ষ যেই হোক, আর যেমনই হোক- জিততে হলে ভাল খেলতে হবে। এজন্য দরকার প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস, যেটা আমাদের সবার মধ্যে আছে বলেই মনে করি। সম্প্রতি সাফের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ভাল খেলার কোন বিকল্প দেখছি না।’ কথাগুলো মিঠুন চৌধুরীর। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড মিঠুন জনকণ্ঠের সঙ্গে আলাপচারিতায় আরও জানান, ‘স্বাগতিক হিসেবে আমরা যেমন ফেভারিট, তেমনি এটাও জানি, প্রত্যাশার চাপও থাকবে। খারাপ করলে সমালোচনা হবে। তবে প্রত্যাশার চাপকে নেতিবাচক নয়, আমরা ইতিবাচক বা অনুপ্রেরণা হিসেবেই নিচ্ছি। আমাদের এই কয়েক দিনের অনুশীলন বেশ ভাল হয়েছে। দলে কোন ইনজুরি নেই।’ আজ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে মূল্যায়ন করেত গিয়ে মিঠুনের ভাষ্য- ‘মাঠে নামলেই বোঝা যাবে কে কেমন দল। আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করব।’ কথা হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোল করা (বাফুফের ভাষ্যমতে) জাহিদ হাসান এমিলির সঙ্গে। মিঠুনের কথার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া গেল তার কথাতেও- ‘এই টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। তাছাড়া প্রথম ম্যাচটা সবসময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলব না প্রথম রাউন্ডেই বাদ হয়ে যাব, সেটা অনেকটা নির্ভর করছে প্রথম ম্যাচের ওপর। তাই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুরুটা ভালভাবে করতে চাই। দল হিসেবে তারা মন্দ নয়। বিশেষ করে তাদের খেলোয়াড়দের গতি লক্ষ্যণীয়। এক্ষেত্রে তাদের চেয়ে ভাল গতিসম্পন্ন হতে হবে আমাদের।’ প্রত্যাশার চাপ প্রসঙ্গে এমিলির ভাষ্য- ‘সাফে আমরা খারাপ খেলেছি। মানসিক একটা চাপ আছে। অনেকে হয়ত বলবে আমরা ভুলে যাব। কিন্তু আসলে এটা ভোলা সম্ভব নয়। একটা চাপ আছেই। সেটা নিয়েই খেলতে হবে। সাফে ব্যর্থতার কারণে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেছেন। সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই মাথায় ঢুকে যায়। তারপরও এ টুর্নামেন্টে সবাইকে ভাল করতে হবে।’ প্র্যাকটিসের পর নিজেদের কাছে কী মনে হচ্ছে? এমিলি জানালেন, ‘ফিটনেস নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। টেকনিক, ট্যাকটিক্স- এগুলো তো কোচ তিন-চার সপ্তাহ ধরে একই জিনিস বোঝাচ্ছেন। এখন সব থেকে বড় যেটা প্রয়োজন তা হলো টিমের পমাটিভেশন। টিম যাতে নার্ভাস না হয়।’ কোচও এ বিষয়টি নিয়ে এতদিন কাজ করেছেন। এখন মারুফুল এমিলিদের যেটা বলেছেন তা হলো বাংলাদেশ দলের একটা জয় খুব প্রয়োজন এখন- ‘আমরা ভাল বা খারাপ ফুটবল খেলি এটা দেখার দরকার নেই। একটা জয় যখন টিমের মধ্যে চলে আসবে তখন অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাবে- এটাই সত্য।’ ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরলেও নিজের শতভাগ ফিটনেস এখনও ফিরে পাননি এমিলি, তাই প্রথম একাদশে নামার সম্ভাবনা কম বলেই আভাস দিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই ফিটনেস ফিরে পেলে পুরো ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে। টুর্নামেন্টটা বাংলাদেশের জন্য সহজ হতো যদি সাফে অন্তত সেমিফাইনালটা খেলা হতো জাতীয় দলের। কিন্তু সাফের ব্যর্থতা দলের মানসিক অবস্থা এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে এখন যে শ্রীলঙ্কা বা নেপাল থেকে নিজেদের এগিয়েই রাখতে পারত স্বাগতিকরা। সেই দলগুলোকেও গুরুত্বসহকারেই দেখতে হচ্ছে। তবে একটা জয়ই মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আত্মবিশ্বাসের পারদটা উঠতে পারে তুঙ্গে। আর সেটা হতে পারে প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের পরাভূত করে।
×