ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি সাঈদের জীবনাবসান

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি সাঈদের জীবনাবসান

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে অসুস্থ ছিলেন তিনি এবং তাকে পরে নয়াদিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মারা যান তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ওয়েবসাইটের। ২৪ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্ট ও ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করায় তাকে শ্রীনগর থেকে বিমানে এইমসে নিয়ে আসা হয়। বরাবরই তার জ্বর ও ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা ছিল। এইমসে তার রক্তের বিভিন্ন উপাদান কমে যাওয়া, নিউমোনিয়া ও সেপসিসের মতো সমস্যা ধরা পড়ে। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সাঈদের মরদেহ শ্রীনগরে নেয়া হবে। দক্ষিণ কাশ্মীরে পৈত্রিক গ্রামে তাকে দাফন করা হতে পারে। গত বছর বিজেপির সঙ্গে জোটবেঁধে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গড়ে পিডিপি। তখন মুখ্যমন্ত্রী হন মুফতি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে সাঈদের উত্তরসূরি হতে পারেন তার মেয়ে মেহবুবা মুফতি। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম মুসলিম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংয়ের সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মুফতি। মুফতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের জন্য যে কাজ মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ করেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। কাশ্মীরের বিজবেহরার বাবা মহল্লায় ১৯৩৬ সালের ১২ জানুয়ারি মুফতির জন্ম। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরব ইতিহাসে স্নাতকোত্তর তিনি। ১৯৫০ সালে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনফারেন্সে যোগ দেন তিনি। ১৯৬২ সালে বিজবেহরা থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৭ সালে রাজ্য মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী হন মুফতি। ১৯৭২ সালে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে রাজীব গান্ধীর মন্ত্রিসভায় মুফতিকে পর্যটন ও অসামরিক পরিবহনের দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে ভি পি সিংয়ের সঙ্গে জনমোর্চা গঠন করেন।
×