ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

বহুমাত্রিক আয়োজনে মুখর শিল্পকলার বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

বহুমাত্রিক আয়োজনে মুখর শিল্পকলার বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উত্তরাধিকার সূত্রেই সমৃদ্ধ বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতি। সেই সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের শাণিত শক্তিতে সৃজনশীল দেশ গড়ার প্রত্যয়ে চলছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব। দেশের ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশাল ও বৈচিত্র্যময় এ উৎসব। ইতোমধ্যে জমে ওঠা উৎসব উপভোগে শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন রাজধানীর অসংখ্য দর্শক-শ্রোতা। বিকেল থেকে রাত অবধি চলমান আয়োজনে সংস্কৃতিপ্রেমীদের আগমনে মুখরিত হচ্ছে উৎসব। সম্মেলক ও একক গান, সমবেত নৃত্য, আবৃত্তি ও অভিনয়ের সেই সঙ্গে জেলার বৈশিষ্টপূর্ণ বিশেষ পরিবেশনায় মুগ্ধ হচ্ছে দর্শকরা। পয়লা জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া উৎসবের সপ্তম দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এদিনের পরিবেশনায় অংশ নেয় চাঁদপুর, দিনাজপুর, বরগুনা ও মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। বৈকালিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নদীর কাছে ঋণী শীর্ষক গীতিনাট্য পরিবেশনার মাধ্যমে। সৌম্য সলেকের গ্রন্থিত ও রূপালী চম্পক নির্দেশিত গীতিনাট্যটি সাজানো হয় নাচ-গান ও পাঠের আশ্রয়ে। সমন্বিত পরিবেশনায় উঠে আসে শস্য শ্যামল নদীমাতৃক জনপদ চাঁদপুরের কথা। নাচের মুদ্রার সঙ্গে সুর ও বয়ানে বর্ণিত হয় পদ্মা-মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে রূপালী ইলিশের কথা। এতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন আরিফ, দিপা, যোবায়ের, কাব্য কণিকা ও দোলা দাস, হৃদিতা, নিহা, মুশফিক, রাইসা ও অনিন্দিতা, অনুভব সাহা, তৃষা ঘোষ প্রমুখ। দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা শুরুতেই পরিবেশন করে জাতীয় সঙ্গীত। এরপর ছিল ঐশী, স্বপ্না, দৃষ্টি, ইমু, হাসিসহ একঝাঁক শিশু শিল্পীর নৃত্য পরিবেশনা। বড়রা গেয়ে শোনায় ‘ও আলোর পথযাত্রী এ যে রাত্রি’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি‘ ও ‘একদিন জাগ্রত হবে চেতনা’ শিরোনামের গানগুলো। এছাড়াও পরিবেশিত হয় কত্থক নৃত্য ও রবীন্দ্রসঙ্গীত। জেলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনায় উপস্থাপিত হয় ‘দিনাজপুরের মানুষ আমরা বোকা নোহার ভাই’ ও ‘কৈনার বাপের মাথাটা টাট-কাউয়ার বাসাটা’। এতে অংশ নেয় শর্মিষ্ঠা, ফাল্গুনী, তনুশ্রী, জান্নাত, উৎস, মুগ্ধ প্রমুখ। বরগুনার জেলা শিল্পকলা একাডেমি পরিবেশন করে সাগর পাড়ের মানুষ মোরা শীর্ষক গীতিনাট্য। নাচের মুদ্রায় ও গানের সুরে উঠে আসে জেলাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি দুর্যোগের কবলে পড়া উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন সংগ্রামের কথা। গীতিনাট্যটির গ্রন্থনায় ছিলেন তারিক বিন আনসারী। ঝুমা দেবীর সঙ্গীত পরিচালনায় নৃত্য পরিচালনা করেন চন্দ্রিমা দেয়া ও মেহেদি হাসান। কাল চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে প্রকৃতি মেলা ॥ জীবন ও প্রকৃতি যেন একই সুতোয় গাঁথা হলেও মানুষ প্রকৃতির ক্ষতি করে চলেছে প্রতিনিয়ত, বিপন্ন করেছে পরিবেশ। তাই প্রকৃতিও ধারণ করছে রুদ্র মূর্তি। আর প্রকৃতির প্রতি মানুষের সচেতন হওয়ার বার্তা নিয়ে কাল শনিবার প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে প্রকৃতি মেলা। শনিবার সকালে চ্যানেল আইয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর-এর মেয়র আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার চ্যানেল আই ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। কুমার শানুর কনসার্ট ৩০ জানুয়ারি ॥ বলিউডের মেলোডি কিংখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কুমার শানু ঢাকায় আসছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি ‘কুমার শানু লাইভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক কনসার্টে গাইবেন এই শিল্পী। কনসার্টটির আয়োজক বে এন্টারটেইনমেন্ট। বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলে কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের এ্যাবাকাস রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানের টিকেট পাওয়া যাবে রাজধানীর সব স্বপ্ন সুপারশপ, আলমাসের গুলশান শাখা, এবাকাস রেস্টুরেন্ট (গুলশান), নর্থ ওয়েস্ট এ্যাভিয়েশনের গুলশান শাখা ও টিকেট চাই ডটকমে। এছাড়া ভিআইপি টিকেট ও বাল্ক টিকেট সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করা যাবে ০১৭০৭৭৭৮৮৮৯ ও ০১৭৮৭৭৪৮৩১২ নম্বরে। ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু কাল ॥ সাত দিনব্যাপী বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন হবে কাল শনিবার ৯ জানুয়ারি। ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে সকাল ১০টায় উৎসব আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ। এ উৎসব ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ম. হামিদ। মঞ্চস্থ ঢাকা থিয়েটারের অমৃত আখ্যান ॥ নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের লেখা একমাত্র উপন্যাস অমৃত উপাখ্যান। উপন্যাসটিকে সম্পাদনার মাধ্যমে নাট্যরূপ দিয়েছে ঢাকা থিয়েটার। দলটির ৪১তম প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন ওয়াসিম আহমেদ ও সাজ্জাদ রাজীব। উপন্যাসটির নাট্যরূপ দেয়া হয়নি তাঁর অন্যান্য নাটকের মতো অমৃত উপাখ্যানকে সম্পাদনা করে মঞ্চ সৃজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হলো নাটকটি।
×