ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২ হাজার কোটি ডলারও বাজার ধরে রাখতে পারেনি

ধসের মুখে চীনের শেয়ার বাজার আবার বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:১২, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

ধসের মুখে চীনের শেয়ার বাজার আবার বন্ধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারকে টেনে তুলতে চীনা কর্তৃপক্ষ একের পর পর পদক্ষেপ নিলেও সেগুলো কোন কাজে আসছে না। বাজারকে টেনে তুলতে ৫ জানুয়ারি প্রায় ২০০০ কোটি ডলার যোগান দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিনিয়োগকারীরা যাতে শেয়ারক্রয়ে সহজে ঋণ পেতে পারেন সে জন্য ৫ জানুয়ারি এ অর্থ যোগানের ঘোষণা দেয়া হয়। ৪ জানুয়ারি সূচকের ৭ শতাংশের বেশি পতন হলে মাঝপথেই দেশটির শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অর্থ যোগানের এ ঘোষণার পর বাজার পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়া গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফের বড় ধরনের দরপতনের শিকার হয়েছে দেশটির পুঁজিবাজার। এ কারণে বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে ফের দেশটির শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সূচকের ৭ শতাংশ পতনের কারণে লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়। বড় ধরনের দরপতন ঠেকাতে গত ডিসেম্বরে সার্কিট ব্রেকারে আরোপ করে দেশটির শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সিএসআই-৩০ সূচকের ৭.২ শতাংশ পতনের পরপরই লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে চীনা কর্তৃপক্ষ। তবে লেনদেন শুরুর মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে এ সূচকটির ৫ শতাংশ পতন হলে ১৫ মিনিটের জন্য লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু এরপর ফের লেনদেন শুরু হলেও পতনের ধারা থেকে বের হতে পারেনি বাজার। এ ছাড়া সাংহাই কম্পজিট সূচকের ৭.৩ শতাংশ, সেনজেন সূচকের ৮.৩ শতাংশ পতন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকরা জানান, রফতানি আয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চীনা মুদ্রা ইউয়ানের অবমূল্যমানে যাচ্ছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছে, দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি ধারণার চেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে মুদ্রামান কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে বড় ধরনের পতন ঠেকাতে চীনের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বড় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে বড় বিনিয়োগকারীরা কোন কোম্পানির ১ শতাংশের বেশি শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। আগামী ৩ মাস পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর আগে তাদের শেয়ার বিক্রির ওপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। ৮ জানুয়ারি এ মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
×