রফতানি আয় বেড়েছে ৮ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের (২০১৪-১৫) একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ১৯ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রফতানি আয় প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এতথ্য জানা গেছে। ইপিবির তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে এক হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে বিভিন্ন খাতের রফতানিতে আয় হয়েছে ২৫ হাজার ৬৩২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৩৮৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে গত মাসে। গত অর্থবছরের ডিসেম্বরে রফতানি আয় ছিল দুই হাজার ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তৈরি পোশাকের নিটওয়্যার খাতে আয় হয়েছে ৫১ হাজার ৪৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। ওভেন খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৫৩ হাজার ৬২৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পেট্রোলিয়াম বায়োপ্রোডাক্ট রফতানি আয় ৩৭৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া রাবার ও রাবার পণ্য রফতানি ৪৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রকৌশল পণ্য রফতানি ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, আসবাব রফতানি ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, রাসায়নিক পণ্য রফতানি ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ ও বস্ত্রপণ্য রফতানি আয় ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে হিমায়িত খাদ্য রফতানি আয় ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য রফতানি ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্য রফতানি ১৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও সিরামিক পণ্য রফতানি ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে।