ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ও প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধি ছাড়াই সংবাদ সম্মেলন

বিসিএল শুরুর আগেই ঝামেলা!

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

বিসিএল শুরুর আগেই ঝামেলা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিসিএল) সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে। টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল, প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল, ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও বিসিবি উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি অথচ সংবাদ সম্মেলনে দেখা গেল, বিসিবির দলটি ছাড়া বাইরের তিন দলের মধ্যে শুধু পূর্বাঞ্চলেরই প্রতিনিধি উপস্থিত! তাতেই আঁচ পাওয়া গেল, মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল ১০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১২ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বিসিএল নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তাতে বিসিএল শুরুর আগেই ঝামেলার পূর্বাভাসও মিলল! কেন নয়? তা আগেই জানা হয়ে গেছে। এক জোনের ক্রিকেটার যে অন্য জোনে দেয়া হয়। ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক উদয় হাকিমই সবার আগে এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘এক জোনের ক্রিকেটার অন্য জোনে দেয়া হয়। এ জন্য আমাদের দল দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দুর্বল দল নিয়ে পরের দুই আসরে ভাল খেলা যায়নি।’ এবারও তাই হচ্ছে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাদমান ইসলাম, আরাফাত সানি, মেহেদী মারুফকে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলে দেয়া হয়নি। যে পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে, তাদের দলে সৈকত, সাদমানদের দেয়া হয়েছে। সবকিছুই নাকি ক্রিকেটের স্বার্থেই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান। বলেছেন, ‘ক্রিকেটের স্বার্থেই কিন্তু এটা করা। আর বিসিএলে যেই ৮০টি ক্রিকেটার আছে তারা প্রত্যেকেই কিন্তু ভাল।’ বিসিএলের চতুর্থ আসর এবার দীর্ঘ সময় ধরে চলবে। টুর্নামেন্ট শেষ হতে ৪০-৪৫ দিন লাগবে। আগের বিরতি ছিল দুদিন। এবার এক ম্যাচের পরে তিনদিন বিরতি রাখা হয়েছে। খেলা হবে বগুড়া ও রাজশাহীতে। যতদূর জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল নাকি নিজেদের মতো করে দল বানাচ্ছে। অন্যরা তা পারছে না। আকরাম এ বিষয়ে জানাতে গিয়ে বললেন, ‘ঘটনা হয়েছে এ দলটি কিন্তু নির্বাচকরা করেছে। লিটন কুমার দাসের কথাই যদি বলি। গতবার কোন দল না পাওয়ার কারণে নির্বাচকরা তাকে ইসলামী ব্যাংকে খেলতে দিয়েছিল। এবার যখন ওর পারফর্মেন্স ভাল হয়েছে, তাকে নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। এগুলো হতে থাকলে সিস্টেম ভুল হয়ে যাবে। বোর্ড কিন্তু একটি পলিসি করেছিল। কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কিংবা জাতীয় লীগে কোন বিভাগ যদি কোন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেয় তাহলে ওই ক্রিকেটার অন্য কোন দলে খেলার সুযোগ পাবে। গতবার যারা খেলেছে তারাই কিন্তু এবার একই দলে খেলছে। সমঝোতার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। আর এ পলিসি কিন্তু এখনকার না, এ পলিসি ছয় মাস আগেই নেয়া হয়েছে। যে যেখানে খেলবে সে সেই জোনের ক্রিকেটার হবে।’ ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল যে এক জোনের ক্রিকেটার আরেক জোনে দেয়া নিয়ে নাখোশ, তা সামনে আনতেই আকরাম বলেন, ‘ওয়ালটন এ নিয়ে চিঠি দিয়েছে। একটা দলে তিনটি ভাল উইকেটকিপার থাকে কিংবা স্পিনার থাকে, সেখান থেকে অন্য দলে এক-দুইজনকে দিতেই হবে। তা না হলে তো ওদের পারফর্মেন্স কাউন্ট করতে পারবেন না। আপনাকে ক্রিকেটের স্বার্থেই এটা মানতে হবে। ফ্রাঞ্চাইজিরা কিন্তু এতে সম্মত হয়েছে।’ সত্যিই কী তাই? ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক উদয় হাকিম বললেন, ‘যতদিন বিসিএল হবে, এ রকম চলতে থাকবে, ততদিন এ নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা বলতেই থাকব।’
×