ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ বছরেও ফেলানী হত্যার বিচার পায়নি পরিবার

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

পাঁচ বছরেও ফেলানী হত্যার বিচার পায়নি পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী হত্যার ৫ বছর আজ। কিন্তু এখনও ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার পায়নি তার পরিবার। ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে পরপর দুবার ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম সাক্ষী দিয়ে এলেও অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। পরে ন্যায়বিচারের আশায় ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম (মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ)-এর সহায়তায় সে দেশের সুপ্রীমকোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন ফেলানীর বাবা। ফলে ভারতের সুপ্রীমকোর্টে এখনও ঝুলে আছে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী। কাঁটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা লাশ ঝুলে থাকার ছবি দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নড়েচড়ে বসে ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ফলে ফেলানী হত্যার আড়াই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে বিচার কাজ শুরু করে বিএসএফ। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফের আদালত। আবারও সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে একই আদালত। ২০১৪ সালের ২ জুলাই পুনরায় অমিয় ঘোষের বেকসুর খালাসের রায় বহাল রাখে আদালত। ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার না পেয়ে ভারতের সুপ্রীমকোর্টে মাসুমের সহযোগিতায় রিট আবেদন করেছি। ভারতের সর্বোচ্চ এ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
×