ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরে ঘরে বিদ্যুত

এ পর্যন্ত ৩৬ প্রতিশ্রুতির ২৩বাস্তবায়িত

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

এ পর্যন্ত ৩৬ প্রতিশ্রুতির ২৩বাস্তবায়িত

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে। এ বিষয়ে সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী এবং বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দেয়া মোট ৩৬টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ২৩টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত সরকারী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য দেয়া হয়। এদিকে একই দিনে অনুষ্ঠিত পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাবর্ত্য জেলাগুলোতে ইউএনডিপির কার্যক্রম ও চাকরিতে উপজাতি কোটায় অনগ্রসর উপজাতি ও আদিবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সুপারিশ করেছে। সরকারী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী। বৈঠকে কমিটি সদস্য আলহাজ এ্যাডভোকেট রহমত আলী, মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার, এ কে এম শাহজাহান কামাল, মোঃ আব্দুল মজিদ খান এবং মীর মোস্তাক আহমেদ রবি অংশ নেন। এছাড়া বৈঠকে বিদ্যুত বিভাগের সচিব, পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ৯ম জাতীয় সংসদের প্রথম থেকে শেষ অধিবেশন পর্যন্ত এবং ১০ম জাতীয় সংসদে সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সময়ে সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী এবং বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির ওপর এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ওপর যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয় যে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সারাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুত সুবিধা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুত উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী এবং বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দেয়া মোট ৩৬টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ২৩টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে। বৈঠকে বিদ্যুত উৎপাদনের পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণের ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়। যে সমস্ত এলাকায় ট্রান্সফর্মার ও গ্রিড লাইনের অভাবে লো ভোল্টেজ সমস্যা হয় সে সমস্ত এলাকার সমস্যা সমাধান করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বিদ্যুত খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা এবং বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সমস্ত মেরামত কাজ শেষ করার সুপারিশ করা হয়। উপজাতি কোটায় অনগ্রসর উপজাতি ও আদিবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সুপারিশ ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। কমিটি সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, এম আবদুল লতিফ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, উষাতন তালুকদার, ফিরোজা বেগম (চিনু) এবং এম এ আউয়াল বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পার্বত্য জেলাগুলোতে ইউএনডিপির কার্যক্রম, চাকরিতে উপজাতি কোটায় অনগ্রসর উপজাতি ও আদিবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে মতামত গ্রহণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয় । পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন সংস্থায় শূন্য জনবল নিয়োগের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে যেসব চাহিদা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করে কমিটি । পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য অন্য যে কোন আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেই আইন সংশোধনের বিষয়েও কমিটি সুপারিশ করে। এছাড়া বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
×