ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক সূচক সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের আওতা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

সামাজিক সূচক সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের আওতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সামাজিক সূচক-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের আওতা বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১৯৮০ সাল থেকে জনতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহের নমুনা এলাকা ছিল ১৫০০টি। বর্তমানে এই নমুনা এলাকার সংখ্যা ২০১২টিতে উন্নিত করা হয়েছে। যার ফলে জনসংখ্যার একটি বাৎসরিক নির্ভরযোগ্য প্রাক্কলন পাওয়া যাবে, যা দেশের আর্থসামাজিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক হবে। মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) প্রকল্পের মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা, বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম, এম এ মান্নান হাওলাদার ও বিবিএসের উপ-মহাপরিচালক বাইতুল আমীন ভূঁইয়া। বক্তব্য রাখেন এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক একেএম আশরাফুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কানিজ ফাতেমা বলেন, তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। বিবিএস সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যে ইমেজ তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য কর্মকর্তাদের শুধু বেতন নিলে হবে না, এর বাইরেও নিজস্ব তাগিদে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য কমে আসছে। গ্রামের আর্থিক ও সামগ্রিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল হয়েছে। কিন্তু এরপরও সরকারী সেবাগুলো পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে আরও নজরদারি বাড়ানো দরকার। সভাপতির বক্তব্যে আবদুল ওয়াজেদ বলেন, আগে প্রতিবেদন পেতে অনেক দেরি হতো। এখন দ্রুততার সঙ্গে দেয়া হচ্ছে। সফিকুল ইসলাম বলেন, এ প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য এই প্রশিক্ষণ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এম এ মান্নান হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাউথ সাউথ এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির খবর সারা পৃথিবী জেনেছে। সেই স্বীকৃতির অংশীদার আমরাও। কেননা, আমরা যদি এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে তুলে না আনতাম, তাহলে জাতিসংঘ এই অর্জন মূল্যায়ন করতে পারত না। এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, এমএসভিএসবি প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, শুমারি মধ্যবর্তী বছরগুলোর জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপাদান (জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, আগমন, বহির্গমন ও আর্থ-সামাজিক তথ্য) সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও নিয়মিতভাবে প্রকাশের মাধ্যমে পরিকল্পনাবিদ ও নীতিনির্ধারকদের সুষ্ঠু তথ্যভিত্তিক জনসংখ্যা পরিকল্পনায় সহায়তা করা।
×