ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের কোটা কমল

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের কোটা কমল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ফিক্সড প্রাইজ পদ্ধতিতে আইপিওতে আশা কোন কোম্পানিতে আবেদনের ক্ষেত্রে ইলিজিবল ইনভেস্টর জন্য ৫০ শতাংশ (মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য ৪০ শতাংশ) কোটা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ (প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য ৪০ শতাংশ) কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলিজিবল ইনভেস্টর জন্য ৬০ শতাংশ (মিউচুয়াল ফান্ড ১০ শতাংশ এবং অনান্য ৫০ শতাংশ) কোটা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ (প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য ৩০ শতাংশ) কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি জনমত যাচাইয়ে পর পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ চূড়ান্ত করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে বিএসইসি। প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যে ইস্যু মূল্য নির্ধারণ করা হবে তার ১০ শতাংশের কমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে পাবেন। আইপিওর অর্থের এক-তৃতীয়াংশের বেশি অর্থ দিয়ে কোম্পানি ঋণ পরিশোধ বা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। বিএসইসি থেকে আইপিওর অনুমোদনপত্র (কনসেন্ট লেটার) পাওয়ার পর থেকে কোম্পানির পরিচালক এবং ৫ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণকারী বিনিয়োগকারীর জন্য তিন বছর লকইন থাকবে। উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর বিএসইসির ৫৬১তম কমিশন সভায় ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। প্রস্তাবিত সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু রুলস) ২০১৫ এর খসড়ার বলা হয়েছিল, বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলিজিবল বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু জনমত যাচাইয়ের পর আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বিএসইসি (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ তে উল্লেখ করা হয়, পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ অথবা অভিহিত মূল্যে ১৫ কোটি টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে সে পরিমাণ অথবা পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা রয়েছে সে কোম্পানি আইপিও অংশগ্রহণের আবেদন করতে পারবে। যেসব প্রতিষ্ঠান ফেসভ্যালুতে আইপিও আবেদন করতে চাইবে তাদের জন্য ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি এবং যেসব প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়াম নিয়ে আবেদন করতে চাইবে তাদের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেক কোম্পানিকে রোড শোর আয়োজন করতে হবে। রোড শোতে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করবে তাদের মতামত এবং পর্যবেক্ষণসহ ইস্যুয়ার কোম্পানি প্রসপেক্টাসের কপি এবং আবেদনপত্র বিএসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর জন্য নির্ধারিত কোটার শেয়ার সর্বনিম্ন যে দরে বিডিং শেষ করবে সেটি হবে কোম্পানির ‘কাট অব প্রাইস’। কাট অব প্রাইসের চেয়ে ১০ শতাংশ (নিকটতম পূর্ণসংখ্যা) কম দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থাৎ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য ইস্যু মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। যেমন কোন কোম্পানির বিডিংয়ে ইস্যু মূল্য ৫৮ টাকা নির্ধারিত হলো। সেক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৫.৮০ টাকা কমে ৫২ টাকায় আইপিও আবেদন করবে।
×