ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিতর্ক হবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে

ট্রাম্পের ব্রিটেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিতে পিটিশন

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

ট্রাম্পের ব্রিটেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিতে পিটিশন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে একটি গণপিটিশনের ওপর বিতর্ক করবেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা। পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের পিটিশন কমিটি মঙ্গলবার এক বৈঠকে এ ইস্যুটি নিয়ে একটি বিতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেন। ওয়েস্টমিনিস্টার হলে ১৮ জানুয়ারি বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটিশ লেবার দলের এমপি পল ফ্লিন বিতর্কে নেতৃত্ব দেবেন। খবর বিবিসি ও ইয়াহু নিউজের। প্রায় পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ব্রিটিশ নাগরিকের সই করা ওই গণপিটিশনে ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী বক্তৃতার জেরে এ পিটিশন দাখিল করা হয়। পিটিশনে একটি আইনের উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, যারা জনস্বার্থে ক্ষতিকর হতে পারে, এমন লোকদের ব্রিটেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ব্রিটিশ সরকার। ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী মন্তব্য ব্রিটেনের বাকস্বাধীনতা সীমা অতিক্রম করেছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। পিটিশনে ট্রাম্পের মন্তব্যকে বিদ্বেষপূর্ণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকার ও পার্লামেন্টে ২৮ নবেম্বর দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, আক্রমণাত্মক বক্তব্যের কারণে অনেক ব্যক্তিকেই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধনী-গরিব, দুর্বল-শক্তিশালী যারাই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে চায়, তাদের সবার ক্ষেত্রে একই নীতি প্রযোজ্য হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান বারনারডিনোতে হত্যাকা-ের পর সাউথ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী সভায় ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে হলেও যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তার মন্তব্য যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্রগুলোতে ফলাও করে প্রকাশিত হয় এবং ব্রিটেনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে জনগণ এর তীব্র সমালোচনা করেন। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী, এক লাখ সই রয়েছে এমন গণপিটিশন নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনার বিষয়টি আইনপ্রণেতাদের অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। এর পাশাপাশি অপর একটি গণপিটিশন নিয়েও ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা আলোচনা করবেন। প্রায় ৪০ হাজার ব্রিটিশ নাগরিকের সই করা ওই পিটিশনে ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অযৌক্তিক বলে দাবি করা হয়েছে।
×