ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ নতুন বছরে নতুন দিন

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ নতুন বছরে নতুন দিন

সফিউল্লাহ আনসারী শুভ নববর্ষ ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ। নতুন স্বপ্ন আর নতুন প্রত্যাশায় শুরু হলো নতুন ইংরেজী বছরের নতুন দিন। আমরা নতুন স্বপ্নে শুরু করেছি নতুন বছর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ। নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০১৬-কে। নবচেতনায়, নতুন উন্মাদনায় ইংরেজী নববর্ষে বিশ্ববাসী মেতে উঠছে নতুন বছরের নতুন প্রত্যাশায়। গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব ও নতুন বছরের পরিকল্পনাকে আরও উজ্জীবিত করবে এমন ভাবনাকে পুঁজি করে বিশ্বের সকল জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ আশাবাদী হয়ে খ্রিস্টীয় ২০১৬ সালকে বরণ করে নিয়েছে আনন্দ-উল্লাসে। নতুন নতুন স্বপ্নের খোঁজে স্বপ্নবাজরা ছক আঁকছে উন্নত জীবন আর সামগ্রিক উন্নয়নের। নববর্ষ বরণের এই শুভক্ষণে সকলেরই অজানা সামনের বছরে কী অপেক্ষা করছে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর ভাগ্যে। তবে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে না দিয়ে মঙ্গলময় ভাল কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার শপথ সকলের। শুভ প্রয়াস ও ভাল কিছুর প্রত্যাশা সব সময়ই থাকে। এমন কল্যাণকর উন্নয়নের আশায়ই পথচলা শুরু হয় একটি নতুন বছরের নতুন দিনের। নতুন প্রত্যাশা আর স্বপ্নে উদ্ভাসিত নতুন বছর ২০১৬-এর সূচনা হোক আলোকিত দিন আর নিরাপদ জীবনধারার। আশাবাদী মানুষের অপূর্ণতাগুলো পরিপূর্ণতা পাবে সকল পুরনো সমস্যার যুগোপযোগী সমাধানে। নবজাগরণে নতুন স্বপ্ন আর প্রত্যাশাগুলো বাস্তবায়িত হবে প্রতিটা পদক্ষেপে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়বিচার, প্রতিটি মানুষ ফিরে পাবে তার কাক্সিক্ষত অধিকার- এমন প্রত্যাশা আজ সবার মনে। সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের কর্মঠ হাতের ছোঁয়ায় আমার দেশ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে সেই কামনায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠা হোক আমাদের স্বপেরœ বাস্তবায়নে। নতুন বছরে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভেদহীন সমাজ বির্নিমাণে অবিচল প্রচেষ্টায় আগামীর সুখময় বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলস প্রচেষ্টায় কাজ করে যাওয়া। নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিশ্রম, সততা ও আন্তরিকতাপূর্ণ সংকল্প নিয়ে কর্মোদ্যমী হওয়া জরুরী। শিক্ষা-সংস্কৃতির ধারা বেগবান করা, ব্যাপক হারে শিল্পায়নের মাধ্যমে বেকারত্ব মোচন, আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, কৃষি খাতকে আধুনিকায়ন, সকল সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে আমরা এ নতুন বছরকে প্রাপ্তিতে অর্থবহ করে তুলতে পারি। সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগ দেশ গঠনের শুভ উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। নতুন আশায় বুক বেঁধে আমাদের এগোতে হবে, নিরাশ হলে লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি। তাই আমরা ইংরেজী নতুন বছরে শপথ নেব দেশমাতৃকার উন্নয়নে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আলোকিত সময় উপহার দেব সকল বাধা-বিপত্তি মাড়িয়ে। নবউদ্যম আর কর্মচাঞ্চল্যে মুখরিত বছর হিসেবে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দকে আমরা স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও দিনবদলের প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে শ্রেষ্ঠত্বের মহিমায় উজ্জ্বল করব- এমন প্রত্যাশায় বিবেককে জাগিয়ে তুলি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে। শুভকামনায় সেøাগান হোক- নতুন বছরের নতুন দিন, দিনবদলের বাজুক বীণ/উন্নয়নে গড়ব দেশ, সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক বাংলাদেশ। ভালুকা, ময়মনসিংহ থেকে
×