ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ ভাগ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০২:০৭, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ ভাগ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত

অনলাইন রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছর দেশে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আগের চেয়ে আরও ২৫ ভাগ বেশি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বস্ত্র-পাট ও কৃষি মন্ত্রণালয়। ফলে এ অর্থবছরে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার বেল। আর গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার বেল। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়ন ও দেশের অভ্যন্তরে পাটের চাহিদা বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার আয়োজিত পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাট উৎপাদন বৃদ্ধি বিষয়ক এক যৌথ সভায় এ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বিকেলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজেএমসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হুমায়ূন খালেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাৎসরিক ৬৯ কোটি ব্যাগ প্রয়োজন হবে। শুধুমাত্র ৫০ কেজি ওজনের বস্তার মোট মাসিক গড় চাহিদা তৈরি হবে ৫ কোটি ২৫ লাখ। ওই পরিমাণ ব্যাগ উৎপাদনে প্রায় ২০-২২ লাখ বেল কাঁচা পাটের প্রয়োজন হবে। সভায় প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন, বহুমুখী ব্যবহারে উৎসাহিত ও জনপ্রিয় করতে পাট চাষিদের সোনালী স্বপ্নপূরণে জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এজন্যে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবিরোধী প্লাস্টিক এবং পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এতে দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল পাটের হারানো গৌরব ফিরে আসবে।’
×