ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার টঙ্গীতে শেকলে বেঁধে পিটিয়ে কিশোর হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

এবার টঙ্গীতে শেকলে বেঁধে পিটিয়ে কিশোর হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, গাজীপুর, ৫ জানুয়ারি ॥ এবার টঙ্গীর হিমারদিঘী এলাকার মোজাম্মেল হোসেন মজু (১৪) নামের এক কিশোরকে চোর সাব্যস্ত করে শেকলে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে ওই এলাকার সুমনের ভাঙ্গারির দোকানে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা হত্যাকা-ের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশ পেয়েছে। হত্যাকা-ের বিচার দাবিতে এলাকাবাসী নিহতের লাশ নিয়ে মিছিল করে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুরো ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। নিহত মজু নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার উত্তর তারার চর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে তার বাবা-মার সঙ্গে টঙ্গীর তিস্তার গেট এলাকায় হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকত। এলাকাবাসী জানায়, টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকার কলমিলতা হোটেলের মালিক সুমনের ভাঙ্গারি দোকানে কাজ করত মোজাম্মেল। সম্প্রতি সে ওই দোকানের কাজ বাদ দিয়ে অন্য দোকানে কাজ নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সুমন ও তার লোকজন। সোমবার সুমনের ভাঙ্গারি দোকানের পাশ দিয়ে মোজাম্মেল বাসায় যাচ্ছিল। এ সময় সুমন ও তার লোকজন চোর সাব্যস্ত করে মোজাম্মেলকে ধরে ভাঙ্গারির দোকানে নিয়ে যায়। পরে তাকে লোহার শেকল দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হলে গলায় রশি পেঁচিয়ে মোজাম্মেলকে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচারের চেষ্টা করে। রাতে এলাকাবাসী আটকের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশকে জানালে রাত পৌনে একটার দিকে টঙ্গী মডেল থানার এসআই আবুল খায়ের ওই দোকান থেকে মোজাম্মেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভাঙ্গারি দোকানের মালিকের সঙ্গে আপোসরফার প্রক্রিয়ায় টঙ্গী মডেল থানা পুলিশ অংশ নেয়। এতে ঘটনার একদিন পার হলেও থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল দিনভর। কিন্তু এলাকাবাসীর দৃঢ় পদক্ষেপ ও মিছিলসহ লাশ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাসায় গেলে ঘটনাটি সর্বত্র প্রকাশ পায়। টঙ্গী মডেল থানার এসআই আবুল খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটির বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
×