ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্ব শুরু শুক্রবার

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্ব শুরু শুক্রবার

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/নুরুল ইসলাম, টঙ্গী থেকে ॥ টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত তাবলীগ জামাতের এবারের বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্ব শুক্রবার শুরু হচ্ছে। এবারের বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবারও দুই পর্বে এজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো দেশের মোট ৩২টি জেলা নিয়ে এবছর এজতেমার দুই পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরবর্তী বছরের (২০১৭ সালে) এজতেমা বাকি ৩২ জেলা নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্ব। এবার প্রথম পর্বে অংশ নেবে ঢাকার একাংশসহ ১৭টি জেলার তাবলিগ অনুসারীরা। আগামী রবিবার (১০ জানুয়ারি) আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথমপর্বের এজতেমা শেষ হবে। এরপর চার দিন বিরতির পর ১৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবে ঢাকার বাকি অংশসহ ১৬টি জেলার তাবলিগ অনুসারী। ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে দু’পর্বের এবারের বিশ্ব এজতেমা। এবারের বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্বে ১৭টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, নড়াইল, মাদারীপুর, ভোলা, মাগুরা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি এবং পঞ্চগড়। ১৯৬৭ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্ব এজতেমা। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গীর বিভিন্ন মৌজায় বিশ্ব এজতেমার জন্য ১৬০ একর ভূমি বরাদ্দ দেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশে এজতেমাস্থলের ব্যাপক উন্নয়নে রাস্তাঘাট, অসমতল ভূমি সমতলকরণ, ৮ হাজার পাকা শৌচাগার, পাকা গোসলখানা, ওজুুখানা, বিদেশী মুসল্লিদের জন্য পয়ঃপ্রণালী, রান্নাবান্না, থাকার জন্য স্থায়ী পাকা টিনশেড ঘর নির্মাণ ইত্যাদির আধুনিক ব্যবস্থা, এজতেমা সড়ক নির্মাণ, ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণ ও অন্যান্য উন্নয়নের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ জাহিদ আহসান রাসেল এজতেমার সার্বিক উন্নয়নে তদারকি করছেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও কলকারখানার শ্রমিক-মালিকসহ বিভিন্ন পেশার মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্ব এজতেমার মাঠে প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন। ময়দানে মুসল্লিদের কাতারবদ্ধ হওয়ার জন্য পুরো মাঠে দাগ কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া এজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি মুসল্লিদের স্থানও (খিত্তা) নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এজতেমা মাঠের প্রস্তুতির কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, সব কাজ করা হচ্ছে মোশায়ারার (পরামর্শ) মাধ্যমে। বিদ্যুত, পানি, প্যান্ডেল তৈরি, গ্যাস সরবরাহ প্রতিটি কাজই আলাদা আলাদা গ্রুপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। বিদেশী মেহমানদের জন্য এজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিম পাশে বিশেষ কামরা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের তুরাগ নদ পারাপারের জন্য সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের সদস্যরা তুরাগ নদের ৯টি স্থানে ভাসমান সেতু নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের টঙ্গী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এজতেমা মাঠে স্থাপিত উৎপাদন নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন কোটি লিটারেরও বেশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওজু-গোসলের হাউস ও টয়লেটসহ প্রয়োজনীয় স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও পাকা দালানে প্রায় ৬ হাজারের মতো টয়লেট ইউনিট রয়েছে। এদের মধ্যে নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত অজু-গোসলখানা এবং টয়লেটগুলো ইতোমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। ডেসকো কর্তৃপক্ষ জানান, এজতেমা এলাকায় সর্বক্ষণিক বিদ্যুত সরবরাহের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উত্তরা, টঙ্গী সুপার গ্রিড ও টঙ্গী নিউ গ্রিডকে মূল ১৩২ কেভি সোর্স হিসেবে নির্বাচন করা হবে, যাতে যেকোন একটি গ্রিড অকেজো হলেও সামগ্রিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত না হয়। এজতেমা এলাকায় ৪টি স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর এবং ৫টি ট্রলি-মাউন্টেড ট্রান্সফরমারও সংরক্ষণ করা হবে। ফায়ার সার্ভিসের টঙ্গীর স্টেশন অফিসার মোর্শেদ আলম জানান, ইজতেমাস্থলে তাদের একটি কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে সর্বক্ষণিক কর্মকর্তাসহ ফায়ারম্যানরা থাকবেন। ময়দানের প্রতি খিত্তায় ফায়ার এস্টিংগুইসারসহ ফায়ারম্যান, গুদাম ঘর ও বিদেশী মেহমানখানা এলাকায় ৩টি পানিবাহী গাড়ি, ৩ সদস্যের ডুবুরি ইউনিট, ১টি স্ট্যান্ডবাই লাইটিং ইউনিট এবং ৫টি এ্যাম্বুলেন্স থাকবে। তিনি আরও জানান, এজতেমা মাঠের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে তাদের উদ্যোগে এজতেমা মাঠের আশপাশের এলাকায় পানি ছিটানো হবে। টঙ্গী সরকারী হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পারভেজ আলম জানান, এজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মেডিক্যাল অফিসারদের তালিকা ও ডিউটি রোস্টার করা হয়েছে। মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে মন্নু গেট, এটলাস গেট, বাটা কারাখানার গেট ও টঙ্গী হাসপাতাল মাঠসহ ৬টি অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এখানে হৃদরোগ, এ্যাজমা, ট্রমা, বার্ন, চক্ষু এবং ওআরটি কর্নারসহ বিভিন্ন ইউনিটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসা দেবেন। রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য সর্বক্ষণিক ১৪টি এ্যা¤ু^লেন্স মোতায়েন থাকবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ॥ গাজীপুর জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোঃ নূরুল হক জানান, বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে বুধবার (৬ জানুয়ারি) থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বৃহত্তর জেলাগুলোর ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া দুই পর্বের আখেরী মোনাজাতের দিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আব্দুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত অংশসহ গাজীপুরে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, আগামী ১০ জানুয়ারি ও ১৭ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের দিন সকাল ৬টা থেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ-টঙ্গী মহাসড়কের মাঝুখান ব্রিজ থেকে স্টেশন রোড ওভারব্রিজ পর্যন্ত সড়ক পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। টঙ্গীর কামারপাড়া ব্রিজ থেকে মুন্নু টেক্সটাইল মিল গেট পর্যন্ত সড়ক পথেও থাকবে একই নির্দেশনা। এদিকে, পন্টুন ব্রিজ নির্মাণ ও মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে কামারপাড়া ব্রিজ থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত তুরাগ নদের সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল নোঙ্গর করা ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ১৭ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে নৌযানগুলো টঙ্গী ব্রিজের পূর্ব পাশে এবং কামারপাড়া সেতুর উত্তর পাশে নোঙ্গর করতে পারবে। গাড়ি পার্কিং ॥ এজতেমার আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ১০ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে আগত মুসল্লিদের বহনকারী যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য মহাসড়ক পরিহার করে টঙ্গীর কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল কম্পাউন্ড, মেঘনা টেক্সটাইল মিলের পাশে রাস্তার উভয় পাশে শফিউদ্দিন সরকার একাডেমি মাঠ প্রাঙ্গণ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে টিআইসি মাঠ, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ মাঠ, চান্দনা চৌরাস্তা হাইস্কুল মাঠ, তেলিপাড়া ট্রাকস্ট্যান্ড এবং নরসিংদী-কালীগঞ্জ হয়ে আগত মুসল্লিদের বহনকারী যানবাহন টঙ্গীর কে-টু ও নেভী সিগারেট কারখানা সংলগ্ন খোলা স্থান ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম আলম জানান, ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে উল্লেখিত সড়ক পরিহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহত্তর জেলাগুলো থেকে ঢাকাগামী সকল যানবাহন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী হয়ে ডিএমপি এলাকায় প্রবেশের পরিবর্তে চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈর-চন্দ্রা, বাইপাইল, নবীনগর, আমিনবাজার হয়ে চলাচল করবে। এজতেমা চলাকালে নামাজের সময় তুরাগ নদের পশ্চিম পাড়ে ইমামের সামনে না দাঁড়িয়ে পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবার দুই পর্বে বিশ্ব এজতেমায় দেশী-বিদেশী ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ২৮টি স্পেশাল ট্রেন ॥ আগামী ৮ থেকে ১০ এবং ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে ২৮টি স্পেশাল ট্রেন চালু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই জন্য অতিরিক্ত ২০টি কোচ সংযোজন করা হবে। প্রয়োজনে কোচ আরও বাড়ানো হবে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা দুটি জুমা স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। আখেরী মোনাজাতের আগের দু’দিন জামালপুর ও আখাউড়া থেকে দু’টি করে চারটি ট্রেন চলবে। আর লাকসাম-টঙ্গী একটি ট্রেন চলবে। আখেরী মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী সাতটি, টঙ্গী-ঢাকা সাতটি, টঙ্গী-লাকসাম একটি, টঙ্গী-আখাউড়া দু’টি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ চারটিসহ মোট ২১টি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়াও ১০ ও ১৭ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের দু’দিন মহানগর প্রভাতী অথবা গোধূলী, আখেরী মোনাজাতের পরের দিন ১১ ও ১৮ জানুয়ারি তিস্তা এক্সপ্রেস এবং এজতেমার প্রথমদিন ৮ ও ১৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক বন্ধের দিন চলাচল করবে। বিশেষ ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস, তুরাগ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, ঢাকা-টঙ্গী কমিউটার, ঢাকা-জয়দেবপুর কমিউটার ও ঢাকা-কুমিল্লা কমিউটার আখেরি মোনাজাতের দিন বন্ধ থাকবে। এজতেমা উপলক্ষে সাধারণ যাত্রীর সঙ্গে অতিরিক্ত দেড় লাখ যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা হয়েছে। রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, যে কোন প্রকার নাশকতা ঠেকাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, এজতেমা উপলক্ষে ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সব স্টেশনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়াও কর্তব্যরত অতিরিক্ত/সহকারী পুলিশ সুপার এবং একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের অস্থায়ী অফিস থাকবে। যেখানে নাশকতা সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে।
×