ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন ৬শ’ কোটি টাকা ছাড়াল

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে লেনদেন ৬শ’ কোটি টাকা ছাড়াল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বছরের প্রথম দুই দিন সূচকের মিশ্রাস্থার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও তৃতীয় দিনে এসে দেশের পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা গেছে। মঙ্গলবারে ছোট বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ৬শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অপর বাজার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের তুলনায় দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ডিএসইতে ৬শ’ ঘরে অর্থাৎ ৬০৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে দুই বছর সময় বাড়ানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ইক্যুয়িটি ইনভেস্টম্যান্টকে শেয়ারবাজার এক্সপোজার হিসেবে গণ্য না করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে নতুন বছরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। এ কারণে লেনদেনে কিছুটা গতি ফিরে এসেছে। বাজারের গভীরতা অনুযায়ী ডিএসইতে দৈনিক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা। তবে গত দুই বছর ধরেই লেনদেন ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ঘরেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালের ১ জুন মাত্র একদিনই ডিএসইতে হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬০৮ কোটি টাকার, যা সোমবারের তুলনায় ১৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বা ৩৮ শতাংশ বেশি লেনদেন। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৩৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৪টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১১৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো : বেক্সিমকো, ইফাদ অটোস, বেক্সিমকো ফার্মা, কেডিএস এক্সেসরিজ, এমারেল্ড অয়েল, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, স্কয়ার ফার্মা, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, সামিট পাওয়ার এবং সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট। দর হারানোর শীর্ষের কোম্পানিগুলো হলো : শ্যামপুর সুগার, সামাতা লেদার, বিআইএফসি, দেশ গার্মেন্টস, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, রংপুর ফাউন্ড্রি, এ্যাপেক্স ফুডস, আরামিট, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক ও গ্রামীণ ১ ফান্ড। এদিকে ঢাকার বাজারে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির দিনে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর দিনে সিএসই সার্বিক সূচক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২১১ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ৭০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বেক্সিমকো, সামিট পাওয়ার, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ইউনাইটেড পাওয়ার, কেডিএস এক্সেসরিজ, ফার কেমিক্যাল, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ইফাদ অটোস, শাহজিবাজার পাওয়ার ও মবিল যমুনা বাংলাদেশ।
×