ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হামলা সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ৭০ ॥ দোকান-বাড়ি লুট

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

হামলা সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ৭০ ॥ দোকান-বাড়ি লুট

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নেত্রকোনায় প্রতি পক্ষের হামলায় কৃষক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ফরিদপুর ও মাগুরায় সংঘর্ষে ৭০ ব্যক্তি আহত ও ২২ দোকান বাড়ি ভাংচুর, লুট করা হয়েছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের। নেত্রকোনা ॥ সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের হইডহর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রবিবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় সুরুজ আলী (৬০) নামে এক কৃষক নিহত এবং দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে সুরুজ আলীর ভাই ছন্দু মিয়া ও তার ভাতিজা। পুলিশ জানায়, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার হইডহর গ্রামের ছন্দু মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দুলাল মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে রবিবার রাতে দুলাল মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছন্দু মিয়া ও তার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে সুরুজ আলী, কামাল হোসেন, ছন্দু মিয়া ও আলাউদ্দিন আহত হন। সুরুজ আলী ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। ফরিদপুর ॥ ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের খাপুরা, মাঝিকান্দা, সিঙ্গাড়িয়া গ্রামের সংঘর্ষে আহত হয়েছে উভয়পক্ষের ৫০ জন। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের সময় মুনসুরাবাদ বাজারের ১২ দোকান ভাংচুর হয়। সংঘর্ষ ঠেকাতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ৮ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। পুলিশ ও র‌্যাবের এক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে। জানা গেছে, গত মাসখানেক আগে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মুনসুরাবাদ গ্রামবাসীর সঙ্গে পাশের খাপুরা, মাঝিকান্দা, সিঙ্গাড়িয়া গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় মামলাও হয়। পূর্ব শত্রুতার এই জের ধরে রবিবার বিকালে মুনসুরাবাদ বাজারে দুলাল সাহার মিষ্টির দোকানে দুই গ্রামের লোকজনের কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এর জের ধরে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উভয় পক্ষের হাজারখানেক লোক ঢাল, সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মাগুরা ॥ সোমবার দুপুর এবং রবিবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার চরউদাস গ্রামে ক্রিকেট খেলা এবং মাদক খাওয়া নিয়ে দুদফা সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ১০টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, ক্রিকেট খেলা ও মাদক খাওয়া নিয়ে নিয়ে চরউদাস গ্রামের খালিম ও প্লাবন নামে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। যা নিয়ে উভয় দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফলে আতিয়ার বিশ্বাস, বসির ম-ল, রুহুল, আনিস, রফিক জোয়ার্দার (৩০), নাজমুল খানসহ ১৪ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় পবন, সলিম, কলিম, লোকমান, ওহেদ খান, হাফিজ, মালেক, নান্নু, মোতালেব জোয়ার্দার বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রতিপক্ষ।
×