ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে ৫ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

নাটোরে ৫ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ৪ জানুয়ারি ॥ নলডাঙ্গার হালতিবিলে জলাবদ্ধতায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ইরি-বোরো চাষে অনিশ্চিতা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে হালতিবিলে বর্ষা মৌসুমের শেষ সময় পানি না নামার কারণে কৃষকদের এ পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় কৃষি, ইউএনও অফিসসহ বিভিন্ন দফতরে ধর্না দিয়েও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হয়নি। অবশেষে, ভুক্তভোগী কৃষকরা নিজ উদ্যোগে খাল সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, ১৯৮১ সালে হালতিবিলে পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলার ব্রহ্মপুর হতে মোহনপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জিয়া খাল নামে একটি খাল খনন হয়। কিন্তু দিনে দিনে খালটি অবৈধ দখল ও ভরাট হয়ে যায়। ফলে হালতিবিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত দুই-তিন বছর ধরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে সময় মতো ইরি-বোরো চাষ করতে পারছে না কৃষকরা। হালতিবিলের খাজুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুট্টু জানান, খোলাবাড়িয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া জিয়া খালের উৎস মুখসহ এক কিলোমিটার এলাকা অবৈধ দখল ও মাটি ফেলে ভরাট করায় খালটি দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে উপজেলার বাশিলা, সোনাপাতিল, তেঘরিয়া, মাধনগর, খোলাবাড়িয়া, হালতি, পাটুলসহ ৮টি গ্রামের শতাধিক কৃষকের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে জলবদ্ধতার কারণে ইরি-বোরো চাষ ব্যহত হচ্ছে। এদিকে, হালতিবিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুক্তভোগী কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ইউএনও শারমিন আক্তার জাহানের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু সরকারী দফতর থেকে কোন প্রতিকার না হওয়ায় বুধবার থেকে কৃষকরা নিজ উদ্যোগে সৃষ্ট জলবদ্ধতা দূর করার জন্য জিয়া খাল সংস্কারে নেমে পড়েন। প্রতিদিন ২২-২৫ জন শ্রমিক ভরাট হওয়া জিয়া খালের একাংশ এক কিলোমিটার এলাকা সংস্কার করে জলবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরেক কৃষক কৃষক সাইফুল ইসলাম ও মসলেম উদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। তাই বিঘা প্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা তুলে খাল সংস্কার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী কৃষকরা কেউ আবেদন করেনি। আবেদন করলে কৃষকদের সুবিধার জন্য জলাবদ্ধতা নিরসনে সহযোগিতা করা হবে। নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জাহান বলেন, দখল হয়ে যাওয়া জিয়া খালটি সংকার করে গত বছর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেহেতু হালতিবিলে এ সমস্যা স্থায়ী সে কারণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
×