ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমিকম্পের আগাম আঁচ পেয়েছিলেন কলকাতার বিজ্ঞানীরা!

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

ভূমিকম্পের আগাম আঁচ পেয়েছিলেন কলকাতার বিজ্ঞানীরা!

খুব শীঘ্রই একটা বিপর্যয় আসতে চলেছে তার আগাম আঁচ দিয়েছিল মালদহ ও মেদিনীপুর! হ্যাঁ, এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কাকে সত্যি করেই সোমবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মণিপুরসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত। পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব ছিল যথেষ্ট। এই বিপর্যয়ের পাঁচ দিন আগেই টের পেয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার বিজ্ঞানীরা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। কী ভাবে এই ভূমিকম্পের আগাম আন্দাজ করতে পেরেছিলেন তাঁরা? ভূমিকম্পের আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের একেবারে নিচের স্তরে ব্যাপক আলোড়ন হয় গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর। এই আয়নোস্ফিয়ারের একেবারে নিচের স্তরটির নাম ‘ডি লাইন।’ কলকাতার ইন্ডিয়া সেন্টার অব স্পেস ফিজিক্স (আইসিএসপি)-র অধিকর্তা অধ্যাপক সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘সাধারণত দিনের বেলায় সূর্য উঠলে আমাদের বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারে ইলেকট্রন কণার ঘনত্ব বেড়ে যায়। কিন্তু ভূমিকম্প হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকেই বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারে ইলেকট্রনের সংখ্যা বা ঘনত্ব অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। তা সে রাত হোক বা দিন। ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ আগে যখন ভূস্তরের টেকটনিক প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষের প্রস্তুতি শুরু হয় তখনই ভূগর্ভে জমা বিপুল পরিমাণ শক্তি বেরিয়ে আসে নিষ্ক্রিয় র‌্যাডন গ্যাসের মাধ্যমে। ওই গ্যাসই বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারে ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় অস্বাভাবিকভাবে। তার ফলে রেডিও সিগন্যালগুলোর মধ্যে প্রচণ্ড আলোড়নের সৃষ্টি হয়। সেই আলোড়ন মেপেই আমরা ভূমিকম্পের আগাম আঁচ করতে পারছি।’ তিনি আরও জানান, গত বছর নেপালের ভূমিকম্পেরও আগাম আঁচ করতে পেরেছিলেন তাঁরা। এ রাজ্যে মালদহ-মেদিনীপুরে রেডিও সিগন্যাল মাপার জন্য যে ভেরি লো ফ্রিকোয়েন্সি সেন্টার রয়েছে তারা ২৯ ডিসেম্বরেই রেডিও সিগন্যালে অস্বাভাবিক আলোড়ন লক্ষ্য করেছিলেন।
×