ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাট আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

পাট আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তিন বছর কারাদ- এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে পাট আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘পাট আইন ২০১৬’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি মন্ত্রিসভা যুক্তরাষ্ট্রের আইনের আদলে তৈরি করা বিমান পরিবহন নিয়ে একটি চুক্তির খসড়া প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সামরিক শাসনামলে প্রণীত আইন/অধ্যাদেশ নতুন করে বাংলায় প্রণয়নে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। আগের পাট অধ্যাদেশটি অনুসরণ করেই নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। ১৯৬২ সালের ‘জুট অর্ডিনেন্স’ পরে ১৯৬৩, ১৯৭৪ ও ১৯৮৩ সালে সংশোধন করা হয়। ওই অধ্যাদেশের আলোকেই পাট আইন করা হচ্ছে। এ আইনে ৩২টি ধারা রয়েছে। এতে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, গবেষণা, পাটজাত পণ্য ব্যবসায় সরকারের ক্ষমতা, লাইসেন্স দেয়া, উন্নয়ন ফি আরোপ, উন্নয়ন তহবিল গঠন, পাটখড়ি থেকে পণ্য উৎপাদন, বিক্রয়, নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা, বিক্রয় নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা, হিসাব বই আটকের ক্ষমতা দেয়া ছাড়াও আইনের যে কোন ধারা লঙ্ঘন করলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ- দেয়ার বিধান রয়েছে। সচিব জানান, আগের অধ্যাদেশে আইন লঙ্ঘন করলে তিন বছর কারাদ-ের বিধান থাকলেও কত টাকা জরিমানা করা যাবে তা নির্ধারিত ছিল না। গত ২২ জুন পাট পণ্যের তালিকায় ‘পাটখড়ি’ সংযোজন করে পাট আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান পরিবহনে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের খসড়াও অনুমোদন পেয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে কোন চুক্তিপত্র করতে হলে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হয়। এ কারণেই এ সমঝোতা। এর মাধ্যমে উভয় দেশ যে কোন সংস্থার বিমান সংস্থাকে তাদের মনোনীত সংস্থা হিসেবে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মনোনয়ন দিতে পারবে। শফিউল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এখন দ্বি-পক্ষীয় চুক্তির দরকার হয়, যা আগে ছিল না। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ায় এখন দুই দেশের মধ্যে নতুন করে চুক্তি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ট্রাফিকের বিধিবিধানের আলোকেই এ চুক্তিপত্র হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট পরিচালনায় আগে যেসব বিধিনিষেধ ছিল এই চুক্তিপত্রের ফলে তার সব বাতিল হয়ে যাবে। ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান পরিবহন‘ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া সম্পর্কে সচিব জানান, এই চুক্তি অনুযায়ী উভয়দেশ যেকোন বিমান সংস্থাকে তার মনোনীত সংস্থা হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত একটি স্মারকের ধারাবাহিকতায় এই চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হলো। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন আইনের আলোকেই এই চুক্তি হবে। যাত্রী পরিবহন ও পণ্য পরিবহন উভয় ক্ষেত্রেই এই চুক্তি প্রযোজ্য হবে।
×