ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ বেষ্টনীতে নিজ নিজ অফিসের সামনে সমাবেশের অনুমতি

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

পুলিশ বেষ্টনীতে নিজ নিজ অফিসের সামনে সমাবেশের অনুমতি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বহুল আলোচিত ৫ জানুয়ারি আজ। গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে একটি ঐহিতাসিক দিন। ভয়াল সহিংসতা-নাশকতার পথ পেরিয়ে গণতন্ত্রের নবযাত্রার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আজ পূর্ণ হলো। গতবারের মতো এবারও ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে আজ মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ৮ দফা শর্ত সাপেক্ষে আজ দুটি দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শর্ত মেনে আওয়ামী লীগ আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ ও রাসেল স্কোয়ারে দুটি সমাবেশের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবে। অন্যদিকে বিএনপিও আজ পল্টনের তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে তাদের ভাষায় ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করবে। পাল্টাপাল্টি এ কর্মসূচীকে ঘিরে রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি বিভিন্ন দিক থেকে অত্যন্ত আলোচিত। তবে এই তারিখটি আসলেই দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠে। কেননা গত দুই বছর এই ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভয়াল নাশকতা, সহিংসতা ও পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মহোৎসবের কথা স্মরণ করলে এখনও দেশের মানুষ উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠে। কায়মনে প্রার্থনা করে, এমন ভয়াল ও বীভৎস পরিস্থিতি দেশে কখনও না আসে। দুই বছর আগের এই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। শুধু কি তাই এ নির্বাচনকে ঘিরে যে সহিংসতা, নাশকতা ও নির্বাচন প্রতিহতের নামে বীভৎস কায়দায় পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মহোৎসব এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্বালানো, হাজার হাজার বৃক্ষনিধন, রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়েছে, যা অতীতে কোন নির্বাচনের সময় ঘটেনি। শত ষড়যন্ত্রের পরও নির্বাচন হয়েছে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচন বানচাল করতে না পারলেও সরকারের এক বছর পূর্তি দিবস অর্থাৎ গতবছরের ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও একটানা ৯৩ দিন ধরে চালানো ভয়াল সহিংসতা, নাশকতা, শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার বীভৎসতা প্রত্যক্ষ করেছে দেশের মানুষ। কিন্তু নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ বিএনপি-জামায়াত জোট গতবছরের টানা হত্যাযজ্ঞ-নাশকতা চালিয়েও সরকারকে সামান্য টলাতে পারেনি। বিদায়ী বছরের বাকি ৯ মাস রাজনীতির মাঠে আর শক্তভাবে দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি। দুই বছর আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফলতা নিয়ে যাত্রা শুরু করা ক্ষমতাসীন সরকার দুই বছর পূর্তির আগেও পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়েই নতুন বছরের যাত্রা শুরু করেছে। পর পর দুই বছর ধরে ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা, পেট্রোলবোমা, অগ্নিসংযোগ, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বার্ন ইউনিটে দুই শতাধিক মানুষের পোড়া শরীর আর আর্তনাদ দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। টানা তিন মাসের এই নাশকতা দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। আজ সেই ৫ জানুয়ারি। দিবসটিকে ঘিরে আবারও আজ মাঠে নামছে দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ আখ্যা দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি আজ ঢাকাসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচী নিয়ে সাংগঠনিক মহড়া দেখানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে অতীতের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে আজ ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকাসহ দেশের কোথাও এ দিনটিকে সামনে রেখে কেউ যাতে কোনরূপ সহিংসতা বা নাশকতা চালাতে না পারে- সেজন্য দেশব্যাপী গড়ে তুলেছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উভয় দল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চাইলেও কাউকেই অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। শর্ত সাপেক্ষে দুটি দলকে তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সীমিত পর্যায়ে জনসভার অনুমতি দিয়েছে তারা। ফলে বিএনপি আজ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আজ মহানগরীর ১৮টি স্পটে সমাবেশ ও আনন্দ র‌্যালি করার কর্মসূচী দিলেও অনুমতি না মেলায় আজ শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ধানম-ির ৩২ নম্বর রাসেল স্কোয়ারÑএ দুটি স্থানে আজ সমাবেশ করবে। ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণ থেকেও আজ সমাবেশের অনুমতি নিয়েছে দু’দল। ৮টি সুনির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে দুটি দলকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, শর্তসাপেক্ষে উভয় দলকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। উভয় রাজনৈতিক দলই নিজ নিজ দলীয় প্রধান কার্যালয়ের সামনে সীমিত পরিসরে সমাবেশ করতে পারবে। তবে কোনভাবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোন আয়োজন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশ করার জন্য যে বেষ্টনী তৈরি করা হবে সেই বেষ্টনীর মধ্যেই তাদের সমাবেশ করতে হবে। সমাবেশের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে মাত্র তিন ঘণ্টা। এর মধ্যেই দুই দলকে সমাবেশ শেষ করতে হবে। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাসহ সারাদেশেই আজ সারাদেশেই কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। যেকোন ধরনের নাশকতা-সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিয়েই মাঠে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেউ কোন ধরনের সহিংসতা-নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ বাহিনীকে তা শক্ত হাতে তাদের দমনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন সোমবার দুপুরে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ বিবেচনায় এবং শান্তিপূর্ণ মতামত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য দল দুটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দুই দলের অভিজ্ঞ রাজনীতিকরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ পরিচালনা করবেন এবং নগরবাসীর দুর্ভোগ বিবেচনায় ভবিষ্যতে সড়কের ওপর এ ধরনের সমাবেশ আয়োজন থেকে বিরত থাকবেন। ঢাকাসহ সারাদেশের মাঠ দখলে রাখবে আ’লীগ ॥ রাজধানীতে আজ দুটি স্থানে সমাবেশ এবং দেশের সকল জেলা ও উপজেলা সদরে আনন্দ শোভযাত্রা, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ডিএমপির শর্তকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের পূর্ব ঘোষিত রাজধানীর ১৮টি স্পটে আজকের সমাবেশ স্থগিত রেখে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ধানম-ির ৩২ নম্বর রাসেল স্কোয়ারে সমাবেশের নামে আজ রাজধানীতে বড় ধরনের সাংগঠনিক মহড়া দেখাতে চায় আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে দেশ ও জাতির স্বার্থে বিএনপি যাতে আজ কোথাও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য রাজধানীর সকল প্রবেশমুখ এবং অলিগলিসহ নগরীর দুই শতাধিক স্থানে দিনভর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সতর্ক অবস্থানে থেকে বিজয়োৎসব পালন করবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি সারাদেশেই আজ সভা-সমাবেশ ও বিজয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে মাঠ দখলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, সমাবেশ দুটিতে ব্যাপক সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় এ দুটি সমাবেশেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী ভোর থেকেই দলের নেতাকর্মীরা মাঠে সতর্ক অবস্থায় অবস্থান করবেন। এছাড়া সারাদেশের সকল মহানগরী, জেলা, উপজেলায় আনন্দ মিছিল, শোভাযাত্রা ও সভা-সমাবেশ কর্মসূচী পালন করবে আওয়ামী লীগ। দলটির কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের ধারণা, সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন ও হতাশাগ্রস্ত দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে মিডিয়ার মাধ্যমে উত্তাপ-উৎকণ্ঠা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে তারা যতই হুমকি দিক, ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তির কাছে এক মিনিটও টিকতে পারবে না বিএনপি। জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার-সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি যদি কোন ধরনের নাশকতার চেষ্টা করে, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ডিএমপির শর্ত মেনে ১৮টি স্থানের বদলে রাজধানীর দুটি স্থানে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, পাঁচ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নাশকতার চেষ্টা করলে তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে। সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ এবং ধানম-ি-৩২ নম্বরে আজ দুটি সমাবেশ হবে। পল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি ॥ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি পাওয়ায় আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পর সোমবার দুপুরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, কখনও সহিংসতায় বিশ্বাস করি না। আমরা সাংঘর্ষিক কর্মসূচীতে না গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চাই। আশা করছি সরকার বিএনপিকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে দেবে। মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কোন দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। এ দেশের জনগণও মেনে নেয়নি। তাই আমরা এ ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সমাবেশ করতে চাই। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কথা বলতে না দিয়ে বিষয়টিকে ইস্যু করতে চায়। আমি মনে করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একটা চেষ্টা থাকবে। সরকার গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার এখনও বন্ধ করেনি অভিযোগ করে তিনি অবিলম্বে গণতন্ত্রের স্বার্থে তা বন্ধ করার দাবি জানান। এ সময়ে রাজধানীর রূপনগরে আল আমিন নামে এক বিএনপি নেতাকে ক্রসফায়ারে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে এ হত্যাকা-ের সঠিক তদন্ত এবং বিচার দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, রুহুল কবির রিজভী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ। এর আগে সমাবেশ সফল করার কৌশল নির্ধারণে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর সমাবেশ সফল করতে রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
×