ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে স্মরণকালের মধ্যে ভূমিকম্পের সব থেকে বড় ঝাঁকুনি ;###;উৎপত্তিস্থল ভারতের উত্তর-পূর্ব মণিপুর রাজ্যে, মাত্রা ছিল ৬.৭

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

শাহীন রহমান ॥ ভোর ৫টা ৭ মিনিট। শান্ত শীতের ভোরে তখনও সবাই ঘুমিয়ে। হঠাৎ ভূমিকম্পের প্রচ- ঝাঁকুনিতে আর ভবনের মটমট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় সবার। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে রাস্তায় বেরিয়ে আসে অধিকাংশ মানুষ। রিখটার স্কেলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকেম্পর কারণে সোমবার দিনের শুরুটা হয় এভাবেই। ভূমিকম্পে সারাদেশই কেঁপে ওঠে। আবহাওয়া অধিদফতর ও ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারতের মনিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ২৯ কিলোমিটার পশ্চিমে। যার দূরত্ব ঢাকা থেকে ৩৪৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। তবে ভূমিকম্পের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঢাকার জুরাইনে জামালপুর, রাজশাহী, লালমনিরহাট, বগুড়া ও পঞ্চগড়ে ৬ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে শতাধিক। রাজধানীর পূর্ব জুরাইনের এক বাসা থেকে দৌড়ে নামতে গিয়ে আতিকুর (২৩) রহমান নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রধান বাবুর্চি খলিলুর রহমান, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের নূর ইসলাম কন্দু ৪৮, পঞ্চগড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাহমিনা বেগম, বগুড়ার প্রতিবন্ধী আহমেদ আলী (৫০) ও জামালপুরের গাওকুড়া গ্রামের দর্জি সোনা মিয়া (৩৮) আতঙ্কিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ আহত ৩০ জন ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আতঙ্ক ও হড়োহুড়ির কারণেই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভবন থেকে লাফ দিয়ে পড়ার কারণে অনেকেই আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলো থেকে লাফিয়ে পড়ে অনেকের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ঢাকার বংশালে একটি ছয় তলা ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। শাখারী বাজারের ৬২ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি পরিত্যক্ত তিনতলা ভবন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফায়ার সর্ভিসের উপরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, বংশালে দুটি ভবনের মাঝখানে চার ইঞ্চির মতো ফাঁকা ছিল। কিন্তু ভূমিকম্পের পরে ভবনটির একটি অংশ পাশের ভবনে সঙ্গে লেগে গেছে। তবে ভবনটিতে বড় ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা না থাকায় লোকজনকে ভবন থেকে সরানো হয়নি। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পে দেশে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জনগণের মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এই ভূমিকম্পে। বিশেষ করে এর আগে আর কোন ভূমিকম্পে জনগণকে এত ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়তে দেখা যায়নি। রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষ ভয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। দিনের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় আতঙ্কিত মানুষের উপস্থিততিতে সরগম হয়ে ওঠে। একে অন্যের টেলিফোনে খোঁজ খবর নিতে দেখা যায়। বহুতল বভনে বাস করা মানুষের অবস্থা ছিল আরও করুণ। বিশেষ করে ভূমিকম্পে হাইরাইজ বিল্ডিংগুলোতে সাধারণ উচ্চতার ভবনের চেয়ে দ্বিগুণ বেগে কম্পন অনুভূত হয়। বহুতল ভবনের বাসিন্দারা জানান, জীবনে এত ভয় আর কখনও পায়নি। জীবনের আশাই ত্যাগ করতে হয়েছিল। ভবনগুলো এদিকে দুলে উঠছিল। লিফট বন্ধ থাকায় সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসা কার পক্ষেও সম্ভব হয়নি। ফলে ভবনের গ্রিল শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়ে জীবন রক্ষা করতে হয়েছে। তাদের মতে এমন মটমট শব্দে ভবন দুলতে আগে কখনও দেখা যায়নি। লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ঢাকা বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব¡ বিভাগের অধ্যাপক ও আর্থ অবজারভেটরি কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ হুমায়ুন আকতার বলেন, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৪৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভারতে মনিপুর থেকে। রাজ্যে রাজধানী ইম্ফল শহর থেকে ২৯ কিলোমিটার পশ্চিমে ৪০ কিলোমিটার মাটির গভীর থেকে এ ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। তিনি জানান ভূমিকম্পটি মনিপুরের চুরাচানপুর ফল্ট থেকে উৎপত্তি হয়েছে। যা ভারত ও বর্মা প্লেটের সংযোগ স্থলের পাশেই এর অবস্থান। এছাড়া সিলেটের ডাইকি ফল্টের পাশেই এর অবস্থান। এটি মনিপুর থেকে চট্টগ্রাম মিয়ানমার বর্ডার হয়ে দক্ষিণের মিয়ানমার পর্যন্ত ৬শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। তিনি বলেন ভূমিকম্পে এ চ্যুতিরেখা থেকে সামান্য শক্তি ক্ষয় হয়েছে। এখন এ ফল্ট থেকে ভূমিকম্পের প্রচুর ঝুঁকি রয়ে গেছে। যার ঝুঁকি রাজধানী ঢাকা ও সিলেট শহরের ওপর রয়েছে। তিনি জানান, মনিপুরেরর ওই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। তিনি জানান, দেশের পূর্বাংশ এখন ভূমিকম্পের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে যমুনা ও মেঘনা অববাহিকার পূর্ব অংশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে রয়েছে তিন প্লেটের সংযোগস্থল। যেখানে একটি প্লেটের সঙ্গে অন্য প্লেটের প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ চলছে। এছাড়া সিলেটের ডাউকি ফল্ট দেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে। এছাড়া ভারতের মনিপুর ও শিলং এলাকা দেশেনর জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের উত্তর সীমান্ত বরাবর অবস্থিত ডাউকি চ্যুতি শিলং মালভূমির কারণে গঠিত হয়েছে। শিলং মালভূমির মনোরম পাহাড়পুঞ্জ মন কেড়ে নিলেও যেকোন সময়ে এটা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিলং এবং আশপাশে প্রতিনিয়ত ছোট মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। ছোট ছোট ভূমিকম্প জানান দিচ্ছে, শিলং ও আশপাশের এলাকাতে অধিক পরিমাণে চাপ সঞ্চিত হচ্ছে যা কিনা যেকোন সময় বড় মাত্রার ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে এবং বড় দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে দেশের জন্য। তাদের মতে, টেকটোনিক প্লেট কাঠামো, বাংলাদেশের অবস্থানগত কারণসহ বিভিন্ন কারণে অধিক ঝুঁকিপুর্ণ ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ভারত প্লেটের অংশ এবং উত্তর-পূর্বে ৩টি প্লেটের সংযোগ স্থলে অবস্থিত। এ কারণে ভূমিকম্প নিয়ে শঙ্কা বেশি রয়েছে। অত্যাধ্যুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব প্লেটগুলোর গতি নির্ণয় করে দেখা গেছে ভারত প্লেট ইউরেশিয়া বার্মা প্লেট বাউন্ডারিতে গিয়ে আটকে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের ভেতরের ভূত্বকে প্রচুর পরিমাণ শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন প্লেটের সীমান্তে অবস্থিত হওয়ার কারণেই বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পন প্রবণ হিসেবে উল্লেখ করছেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর জুড়েই হলো ভারত প্লেটের অবস্থান। এই প্লেটের উত্তরের রয়েছে ইউরেশিয়া প্লেট। পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বে মুজ্জাফারাবাদ থেকে শুরু হয়ে হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশ ঘেঁষে ভারতে উত্তর-পূর্ব অরুণাচল-চীন সীমান্ত পর্যন্ত ২৫ শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আর পূর্বে বার্মা প্লেটের সঙ্গে রয়েছে এর সংযোগ। এই সংযোগ উত্তরে অরুণাচল-চীন সীমান্ত থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে মনিপুর, মিজোরাম, মিয়ানমার হয়ে বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে পশ্চিম দিক দিয়ে আরও দক্ষিণে সুমাত্রা পর্যন্ত ৩ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত। ফলে সোমবার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলকে সঙ্গত কারণেই তারা ভূমিকম্পন প্রবণ বলে উল্লেখ করছেন। সোমবারের ভূমিকম্পের ফলে এ চ্যুতি রেখা থেকে কিছু শক্তি ক্ষয় হলেও এখন প্রচুর শক্তি জমা রয়েছে। যা ভবিষ্যতের জন্য আরও বয়াবহ ভূকিম্পের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে তারা উল্লেখ করেছেন। আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের ॥ এদিকে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত না হয়ে ও হুড়োহুড়ি না করে কম্পনের সময় একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান নেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ঘরের মধ্যেই একটি নিরাপদ জায়গায় বা ফ্ল্যাটের বাইরে সিঁড়ির নিচে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। বাড়ির সবচেয়ে শক্ত অংশ সিঁড়িঘর। ঘরের নিরাপদ জায়গাটি হতে পারে দরজা বরাবর বিম বা পিলারের পাশের জায়গা। তাদের মতে এই সময়ের মধ্যে ভবন থেকে নেমে নিরাপদ জায়গায় যাওয়া কঠিন। এ কারণে ঘরের মধ্যে নিরাপদ জায়গায় খাট বা টেবিলের নিচে অবস্থান নেয়া যায়। বাড়ির সবচেয়ে শক্ত অংশ সিঁড়িঘর। কেননা সিঁড়ি কংক্রিট ও রড দিয়ে তৈরি। প্রতিটি ফ্ল্যাটের দরজা খুললেই সিঁড়িঘর থাকে। সেখানে দাঁড়ানো যায়। দরজা বরাবর নিচে বিম বা পিলারের পাশে দাঁড়ানো ভাল। এটি ভেঙে পড়া সহজ হয় না। তারা বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে যেহেতু পূর্বাভাস দেয়া যায় না তাই এ সময় ঘরের মধ্যে থাকলে সম্ভব হলে মাথায় হেলমেট বা এজাতীয় কিছু পরে নেয়া ভাল। এছাড়াও টেবিল, কিংবা বেঞ্চের মতো শক্ত কিছুর নিচে আশ্রয় নেয় যায়। ঘরের কোণে এবং কলাম ও বিমের তৈরি ভবন হলে কলামের গোড়ায় আশ্রয় নেয়া যায়। সম্ভব হলে দ্রুত বৈদ্যুতিক ও গ্যাসের সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে। বিছানায় থাকলে তৎক্ষণাৎ বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে নিরাপদ জাগায় চলে যেতে হবে। ভূকিম্পের সময় বাইরে বের হওয়া নিরাপদ নয়। ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ॥ পুনরায় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা থেকে সারা দেশে দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠিয়েছে। দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, কোন ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় সাধারণত একবার ভূমিকম্প হলে এর পরপরই আবারও ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সোমবার ভোরে যে ভূমিকম্পটি হয়েছে এর ধারাবাহিকতায় আবারও ভূমিকম্প হতে পারে এ অঞ্চলে। এ কারণেই স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের যেসব দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ রয়েছে, সেগুলো সর্বক্ষণিক খোলা রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সোমবার ভোরে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের কারণে সারা দেশে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ভূমিকম্পে ৬০ জনের মতো আহত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। এ ছাড়া ভয়ে ও হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিবের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং কমিটি করা হয়েছ। সারা দেশ থেকে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এ কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, রাজধানীর দালানগুলোর মালিকরা বিল্ডিং কোড মেনে চলছেন কি না, তা যাচাই-বাচাই করার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। সচিব বলেন, জানামতে শুধু রাজধানীতেই ঝুঁকিপূর্ণ ৭২ হাজারের মতো বিল্ডিং রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডংগুলোতে লাল দাগ দিয়ে তা ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয় ঠিকই, কিন্তু পরবর্তীতে লালদাগ উঠিয়ে সেখানে আবার বসবাস শুরু করে দেয় মানুষ।
×