ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশুর বদ আচরণ কেন?

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

শিশুর বদ আচরণ কেন?

প্রত্যেক পিতা-মাতা চায় সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয়। সন্তানের কারণে পিতা-মাতা সুখী, াআবার সন্তানের কারণে পিতা-মাত দুঃখী। এমন কিছু সন্তান আছে যাদের কর্মকা-, ব্যবহার, আচার আচরণে পিতা-মাতা শুধু কষ্টই পান না। রীতিমতো বিরক্ত হন। অভিযোগ আসে স্কুল থেকে, পাড়া প্রতিবেশী থেকে। সন্তানের কারণে মা-বাবার মুখ মলিন হয়ে যায়, ছোট হয়ে যায়। এমন অনেক বাবা-মাকে বলতেও শুনেছি ও মরে গেলেও বাঁচি-এমন একটি রোগের নাম কন্ডাক্ট ডিজ-অর্ডার। কন্ডাক্ট ডিজ-অর্ডার শিশু-কিশোরদের মন ও ব্রেনের অসুখ যা সাধারণত আচরণের ত্রুটি হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। আবার অনেকে বলে অবাধ্য সন্তান। পরিসংখ্যান মতে ৪% শিশু-কিশোরদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে প্রায়ই মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে ৪ গুণ বেশি। এই আচরণ ও ব্যবহারের সমস্যা সম্পর্কে আত্মীয়স্বজনদের ধারণা থাকে যে বয়স হলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। আর চিকিৎসদের পরিভাষায় এটি একটি রোগ। যা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নতবা এই শিশু-কিশোররা পরবর্তীতে পরিবারের ও সমাজের বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে পারে। কেন এই আচরণে ত্রুটি তার সঠিক কারণ জানা জায়নি। তবে ধারণা করা হয় বাবা-মার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঝগড়া বিবাদ, মারামারি, সংসার ভেঙে যাওয়া, আলাদা জীবনযাপন করা। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যদি ছোটবেলায় শিশুরা পিতা-মাতা থেকে দূরে যেমন- হোস্টেলে বড় হয়, তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। আর বিশেষ কারণ হিসেবে বংশগত ধারাবাহিকতা ও দীর্ঘদিন বাবা-মার মদ্যপানের অভ্যাস। আর বায়োলোজিক্যাল কারণের মধ্যে ব্রেনের বিভিন্ন বায়োকেমিক্যালের পরিবর্তন মৃগীরোগ ও মাথায় আঘাত উল্লেখযোগ্য। লক্ষণসমূহ ১। বাবা-মাকে বিভিন্ন জিনিসের জন্য চাপ সৃষ্টি করা- যেমন সুমন ছেলেটি আগে বাবার কাছ থেকে ১০টাকা পেলেই খুশি হতো তারপর ধীরে ধীরে ২০,৫০,১০০ টাকা নিত এখন ৪০০ টাকা তাকে দিতে হাতখরচ বাবদ। না দিলে শুরু হয় জিনিসপত্র ভাংচুর ও বিভিন্নভাবে অত্যাচার। ২। প্রতিটি মায়েরও অভিযোগ থাকে ছেলেটা একদম কথা শোনে না, পড়তে বসে না, বই ছিঁড়ে ফেলে এমনকি শিক্ষকের কথাও শুনতে চায় না। ৩। এসব বাচ্চাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে। ৪। এই বাচ্চারা কাউকে ভয় পায় না। ৫। কেউ কেউ বড়দের সঙ্গে এমন সব কথা বলে ও ব্যবহার করে যা সাধারণত অবাক করার মতো। ৬। স্কুল ফাঁকি দেয়া রীতিমতো অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। স্কুলের কথা বলে ভিডিও গেম খেলা, সিনেমা দেখা ও বাইরে ঘুরে-বেড়ানো এদের অভ্যাস। ৭। ঘরের অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, মারামারি, ঝগড়া এমনকি বাবা-মার সঙ্গেও মারামারি করে ফেলে। ৮। ধীরে ধীরে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে থাকে যেমন- চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মিথ্য কথা বলা, নেশা করা ইত্যাদি। ৯। মোট কথা এদের মধ্যে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন থাকে না। বাবা যদি ডানে যাও সে যাবে বামে। এ রকম আরও অনেক অসামাজিক কথা-বার্তা, আচার ব্যবহার, করে বেড়ায়। চিকিৎসা : দেখা গেছে এসব শিশুদের সাইকিয়াট্রিস্টরে দ্বারা চিকিৎসা করলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সক্ষম হয় অতএব নিজে সচেতন হন এবং অন্যকে সচেতন করুন এবং এসব শিশুদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসুন ডাঃ মোঃ দেলোয়ার হোসেন সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল-ধানম-ি। যোগাযোগ : ০১৮১৭০২৮২৭৭
×