প্রযুক্তির এক বিস্ময়কর আবিষ্কার- ইন্টারনেট

মুসান্না সাজ্জিল ১৯৬৯ সালের ১৪ জানুয়ারি। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় লস এঞ্জেলস এবং স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মধ্যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। তখন এর নাম ছিল আরপানেট। এ নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক রূপ পায় ১৯৭৩ সালের ২৫ জুলাই। ‘ডারপা’ নামে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের একটি গবেষণা প্রকল্প থেকে ইন্টারনেটের সূচনা হয়। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আরপানেট যুক্ত হয়। এ বছরই আরপানেটের রবার্ট কান আর ভিনটন সার্ফ প্রথমবারের মতো ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল এবং ইন্টারনেট প্রটোকল তৈরি করেন। এটি পরিচিতি পায় টিসিপিআইপি হিসেবে। ১৯৮০ সাল নাগাদ ইন্টারনেটের সর্বজনীন ভাষায় পরিণত হয় টিসিপিআইপি। ১৯৮০ সাল নাগাদ ইন্টারনেটের সর্বজনীন ভাষায় পরিণত হয় টিসিপিআইপি। তবে টিসিপিআইপির প্রথম পরীক্ষা চালানো হয় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মধ্যে ১৯৭৫ সালে। পরের দুটি বছরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং নরওয়ের তিনটি নেটওয়ার্কের মধ্যে আরও পরীক্ষা চালানো হয়। তারপর ১৯৮১ সালে এসে আইবিএম এবং আরও কিছু কোম্পানি কয়েকটি নেটওয়ার্ক চালু করে। এগুলোর মধ্যে ছিল বিটনেট। ৪৯টি দেশের এক হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছিল এসব নেটওয়ার্কে। ১৯৮৭ সালের নবেম্বরে এসে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদানের গতি বাড়াতে সক্ষম হয় এনএসএফনেট। এ সময় বাণিজ্যিকভাবে বিনিয়োগ করতে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৮ সালে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, এবং সুইডেন এনএসএফনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়, আন্তর্জাতিক রূপ পায় এ নেটওয়ার্ক। ১৯৯১ সাল : এ বছর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রকল্প চালু করেন টিম বার্নার্সলি। ১৯৯২ সালে এসে ইন্টারনেটের গতি বেড়ে প্রতি সেকেন্ডে ৪৫ মেগাবিটসে দাঁড়ায়। এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এনএসএফনেটের আদলে সারা ইউরোপজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু হয়, এর নাম ছিল ই-বোন। ১৯৯৩ সালের ২২ এপ্রিল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ওয়েব ব্রাউজার ‘মোজাইক’ চালু হয়। ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ এ সময়ের মধ্যে এনএসএফনেট এবং ই-বোন দুটিই বন্ধ হয়ে যায়। এদের জায়গা করে নেয় বাণিজ্যিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরা। তবে বর্তমানে অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০১৫ এ সময়ে ইন্টারনেট এর স্বর্ণযুগ বললে ভুল বলা হবে না!