ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘অংকুর’ নাটকের তৃতীয় মঞ্চায়ন আজ

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

‘অংকুর’ নাটকের তৃতীয় মঞ্চায়ন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মৌলিক নাট্যদলের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘অংকুর’ নাটকের তৃতীয় মঞ্চায়ন হবে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে। ‘অংকুর’ নাটকটি রচনা করেছেন দেশের বরেণ্য নাট্যকার কাজী রফিক। নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মৌলিক নাট্যদলের সভাপতি সাজু আহমেদ। আজ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন ওহী চৌধুরী, অলিউল্লাহ অলি, মনি বেগম, জাভেদ আকাশ, নিলয় রহমান, অনামিকা তালুকদার, নিপা প্রধান, সাজু আহমেদ, তুষার খান, অপু, ফারুক, ইমরান, পরান, হিমেল, রাহাত, আনিস নিলয়, সুমন, সবুজ প্রমুখ। নাটকের সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন হাসান সিদ্দিকী, কোরিওগ্রাফি করেছেন নিলয় রহমান, পোশাক মনি বেগম, সেট ডিজাইন করেছেন অলি উল্লাহ অলি। সমসাময়িক রাজনীতিসহ অন্য বিষয়কে ‘অংকুর’ নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। অংকুর নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে এক রূপবান রূপী নারীর জীবন। গ্রামের এক গরিব চাষার ঘরে যার জন্ম। কিন্তু মেধাবী। চাষার ঘরে জন্ম হলেও সব ছিল রূপবানের। ধানি জমি, থাকার ঘর। পুকুর ভরা মাছ। এক সময় দিন বদলায়। নদী ভাঙ্গনের পর সুদের কারবারিদের খপ্পরে পড়ে তার পরিবার। সুদের দেনায় জমি যায় মাতবরের কব্জায়। বাড়ি যায়, মাথা গুজনের ঠাঁইও যায়। রাইত দুপুরে বাড়ির বেড়া কেটে তুলে নিয়ে যায় কিশোরী রূপবানকে। আট দশজন পশু ছিন্ন ভিন্ন করে কচি দেহ। মোল্লা পুরুতের ফতোয়াবাজিতে গ্রাম ছাড়া হয়। বস্তির ঘুট ঘুটা অন্ধকার ঘরে ধুকে ধুকে মরে। বিবাহ করার লোভ দেখিয়ে বেচা কেনা করে শরীর। তারপর সে হয় অন্ধকার জগতের বাসিন্দা। তবে রূপবতী রূপবানের প্রশংসায় ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আস্তানায় হাজির হয় জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রিয় কবি, এমনকি স্বয়ং একজন মোল্লাও। তাদের তিনজন নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নামে রূপবানকে একাই ভোগ করার জন্য। রূপবানের আশ্রিতা পরি। সে ভালবাসে আরেক আশ্রিত প্রহরীকে। যে রূপবানের নষ্ট জীবনকে ঘৃণা করে কিন্তু সে ভালবাসে রূপবানকে। কারণ জন্মের পর থেকে সে তাকেই কেবল চেনে। একসময় রাজনৈতিক নেতা, কবি আর মোল্লার ঔরশে রূপবানের গর্ভে জন্ম নেয় এক অংকুর। কিন্ত সে অংকুরের দায় দায়িত্ব কেউ স্বীকার করতে চায় না। অবশেষে ওই তিনজন সিদ্ধান্ত নেয় রূপবানের গর্ভের অংকুরকে নষ্ট করার। কিন্তু বাদসাধে কবি। সে রূপবানের গর্ভের অংকুরকে বাঁচাতে চায়। কারণ সে মনে করে বর্তমান নষ্ট সমাজের জন্য তার জন্ম হওয়াটা জরুরী। কারণ সে বিশ্বাস করে ওর মাঝে পুঞ্জীভূত হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তি, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং ধর্মীয় উদারতা। ও হয়ত জন্ম নেবে সব নষ্টদের ধ্বংস করতে। সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে হয়ত সেই হবে আগামী প্রজন্মের তুখোর নেতা। এমনই স্বপ্ন দেখে কবি। কিন্তু কবিকেই মৃত্যুবরণ করতে হয় রাজনৈতিক নেতা এবং মোল্লার প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে। অবশ্য ততক্ষণে তারা টের পায় রূপবানের গর্ভের সন্তান পৃথিবীতে এসেছে।
×