ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২০.১০ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২০.১০ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের দ্বিতীয় লেনদেন দিবসে দেশের উভয় বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আগের দিনের তুলনায় ২০ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। তবে সূচকের মিশ্রাবস্থায় শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন। আগের দিনের মতো সোমবারও স্বল্প মূলধনী কিছু কোম্পানির দও বৃদ্ধি ও চাহিদার শীর্ষে ছিল। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম লেনদেন দিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হলেও সোমবার লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৩৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। রবিবারের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৭৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৩৬৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সকালে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ায় সূচকের বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। সারাদিন সূচকের ওঠানামা শেষে বেশির শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে ৬.২৮ পয়েন্ট। দিনশেষে সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬১৭.৭৩ পয়েন্টে। রবিবার এ সূচকের পতন হয়েছিল ৫.৬২ পয়েন্ট। এছাড়া দিনশেষে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ৩.২১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১২.৪৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২.৯৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫৬.৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১৮টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ১৫১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দর। আইডিএলসির বাজার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের শুরুতে পুঁজিবাজারে বিপুল উৎসাহ নিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিভিত্তিক চাহিদা দেখিয়েছে। ফলে সোমবারেও প্রথমদিকের উদ্দীপনা শেষ পর্যন্ত থাকেনি। দিনশেষে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৩ পয়েন্ট কমেছে। সূচক কমলেও দিনটিতে ডিএসইর সার্বিক লেনদেন মোট ৪শ’ ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ২০ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। দিনটিতে বেক্সিমকো ১ দশমিক ৩০ শতাংশ দর বেড়ে লেনদেনের শীর্ষে ছিল। একইভাবে সামিট পোর্টের আগের দিনের তুলনায় ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ দর বেড়েছে। লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো। দিনশেষে কোম্পানিটির ২১ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট এ্যালায়েন্স পোর্টের লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ১৭ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- বেক্সিমকো ফার্মা, সামিট পাওয়ার, এমারল্ড অয়েল, খুলনা পাওয়ার, ইফাদ অটোস, কেডিএস এক্সেসরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস। দও বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ, আমরা টেক, অগ্নি সিস্টেম, বিডি ফাইন্যান্স, জিবিবি পাওয়ার, বিডি ওয়েল্ডিং, বিডি কম, সামিট পোর্ট এলায়েন্স, ফাস ফাইন্যান্স ও জনতা ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ওয়েস্টার্ন মেরিন, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ৭ম আইসিবি, ৫ম আইসিবি, আইএসএন, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, স্টাইল ক্রাফট ও বিট্রিশ আমেরিকান ট্যোবাকো। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ১২.০২ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ৮ হাজার ৫৯৬.১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। রবিবার লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির দর।
×