ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথিবীসহ তিন গ্রহে পানি এসেছে উল্কা থেকে!

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

পৃথিবীসহ তিন গ্রহে পানি এসেছে উল্কা থেকে!

সৌরজগতের তিন গ্রহ: পৃথিবী, শুক্র ও মঙ্গলে পানি এলো কিভাবে। পৃথিবীর এই অতলান্ত, আদিগন্ত পানি কি এসেছিল ব্রহ্মা-ের কোন আন্তঃনাক্ষত্রিক মাধ্যম থেকে? ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব এ্যাস্ট্রোফিজিক্সের সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনগুপ্ত বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এক বা একাধিক উল্কাই পৃথিবী, শুক্র ও মঙ্গল গ্রহেও পানি এনেছিল। সুজন বলেন, তখন সবকটা গ্রহই প্রচ- রকমের গরম ছিল। আর পানিতে ভরা উল্কাগুলো ওই গ্রহগুলোতে আছড়ে পড়ার পর তার ভেতরের পানির পুরোটাই বাষ্পীভূত হয়ে বিশাল মেঘের জন্ম দিয়েছিল। কোটি কোটি বছর পর গ্রহগুলো ঠা-া হয়ে এলে ওই বিশাল মেঘের জন্যই শুরু হয় তুমুল ঝড়, বৃষ্টি। আর তাতেই পানিতে ভরে যায় গ্রহগুলো। কার্বনে গড়া ওই উল্কাকে বলা হয় ‘কার্বনেশিয়াস মেটিওরাইট’। আর এগুলো এই সৌরজগতের প্রাচীনতম মহাজাগতিক বস্তু। যার অর্থ, এই সৌরজগতে সূর্য আর গ্রহগুলোর জন্মের আগে কার্বনে গড়া ওই উল্কাগুলোর জন্ম হয়েছিল সৌর-মেঘ বা সোলার ক্লাউড থেকে। যে মেঘ থেকেই পরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল সূর্য আর গ্রহ-উপগ্রহগুলোর শরীর। জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণার সাম্প্রতিক ফলাফলে উঠে এসেছে যে, উল্কাগুলোর মাটিতে মিশে থাকা খনিজ ও জৈব পদার্থ থেকেই ওই পানির জন্ম হয়েছিল। আর উল্কাগুলোয় থাকা সেই পানি আর জৈব যৌগগুলোতে ছিল হাইড্রোজেনের আইসোটোপ ‘ডয়টেরিয়াম’ বা ‘ভারী পানি’। পৃথিবীতে ডয়টেরিয়াম ও হাইড্রোজেনের অনুপাত যতটা, ওই উল্কাগুলোতেও তা একই অনুপাত রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অন্যত্র। তা হলো পানি ধূমকেতুতেও রয়েছে। আর ধূমকেতুরও জন্ম হয়েছিল সূর্য আর গ্রহ-উপগ্রহগুলোর জন্মের আগে। -আনন্দবাজার পত্রিকা
×