যৌতুকের মামলায় নায়ক হেলাল খান জামিন পেলেন

কোর্ট রিপোর্টার ॥ স্ত্রী শিল্পী উমা খানের যৌতুকের মামলায় জামিন পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক হেলাল খান। রবিবার তিনি ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে তা মঞ্জুর হয়। গত ১০ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন উমা খান। আদালত ৩ জানুয়ারি হেলাল খানকে হাজির হতে নির্দেশ দেন। যৌতুক আইনের ৪ ধারায় দায়ের করা এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় উমার পরিবার ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং আসবাবপত্রসহ মোট ১০ লাখ টাকার জিনিসপত্র দেয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, বিয়ের পর কিছুদিন দাম্পত্য সম্পর্ক ভাল থাকলেও হেলাল খান পরবর্তী সময়ে পরনারী আসক্ত হয়ে পড়েন এবং ৬০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি বাদিনীকে মারধর করেন। এতে বাদিনী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওই সময় বাদিনী হেলাল খানের বিরুদ্ধে মামলার করার প্রস্তুতি নিলে হেলাল খান মাফ চান এবং বাদিনী মামলা করা থকে বিরত থাকেন। কিছুদিন ভাল থাকার পর পুনরায় আসামি হেলাল খান প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর তিনি রোড নং-১১, বাড়ি নং- ১৫, এ্যাপার্টমেন্ট নং-৪/সি বারিধারার বাসায় বাদিনীর কাছে ৬০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদিনী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি বাদিনীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। একই সঙ্গে হুমকি প্রদান করেন যে, ৬০ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে বাদিনীকে তালাক দিবেন, প্রয়োজনে যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবেন। বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা হেলাল খানকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নাশকতার দুই মামলায় গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে ৩ মাসের অধিক সময় মামলাগুলোয় তিনি কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান। এ দম্পতির দুই পুত্র ফয়সাল খান হেলাল (২৯) ও শৈবাল খান হেলাল (২৩) যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।