সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ স্টার জলসার ‘অদ্বিতীয়া’ ধারাবাহিকে অসাধারণ অভিনয় করে অনেকেরই নজর কেড়েছিলেন সোহিনী সরকার। সে সময় দর্শকরা ধরেই নিয়েছিলেন এই মেয়ে চলচ্চিত্রে ভাল করবে। হয়েছেও তাই। একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সংশ্লিষ্টদের চমকে দিচ্ছেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সোহিনী অভিনীত ‘হর হর ব্যোমকেশ’। এই চলচ্চিত্রটি সাফল্য পেয়েছে। এটা যে সফল হবেই তা তিনি জানতেন বলেও জানিয়েছেন। ব্যোমকেশ সত্যান্বেষী তো কী হয়েছে, সত্যবতীও কম যান না। ‘হর হর ব্যোমকেশ’ চলচ্চিত্র টক অব দ্য টাউন হবে। এ বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ‘হর হর ব্যোমকেশ’ চলচ্চিত্রের সত্যবতী চরিত্রের অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পর নয়, অফার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এর সাফল্যের বিষয়ে নিঃসংশয় ছিলেন।
২০১৫ সালের যে নায়িকারা টক অব দ্য টাউন তাঁদের মধ্যে অবশ্যই রাখতে হবে সোহিনী সরকারকে। বছর শুরু অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ চলচ্চিত্রের হাত ধরে। তারপর সোহিনীর সাফল্যের মুকুটে একে একে পালক যোগ করেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রাজকাহিনী’ এবং অরিন্দম শীলের ‘হর হর ব্যোমকেশ’। ওপেন টি বায়োস্কোপে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায় সোহিনীকে।
পূজার সময় মুক্তি পায় সৃজিতের ‘রাজকাহিনী’। অনেক নায়িকার ভিড়েও আলাদা করে নজর কাড়েন সোহিনী। চলচ্চিত্রে এক বারবনিতার চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। ব্যোমকেশের চলচ্চিত্রে সদ্যবিবাহিতা সত্যবতীর চরিত্রে দেখা যায় সোহিনীকে। এতে লাস্যে, উচ্ছলতা, দাম্পত্য-প্রেমে, যৌনতায় সমীহ আদায় করেন তিনি। ‘ফড়িং’, ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’র পর টলিউডের নতুন দিদিমণি সোহিনী ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি স্টুডেন্ট হতে চান। ইন্ডাস্ট্রির নতুন দিদিমণি অন্যের প্রসঙ্গে বলেন, কেউ হয়ত এমন চলচ্চিত্র করতে বলল, সেটা আপনার ভাল লাগছে না বা টাকায় পোষাচ্ছে না। মুখের ওপর খবরদার ‘না’ বলবেন না। বলবেন, এম্মা, ওই দিনে তো আমার আরেকটা শূটিং পড়ে গেছে। তবে কোন চেনাজানা পরিচালকের নাম বলবেন না। ধরা পড়ে যাবেন। বরং বলবেন, ফেস্টিভ্যাল ফিল্ম করছি। দ্বিতীয় হলো, লোকের কথা শুনে ক্ষুদিরাম হবেন না। তৃতীয় হলো, মুখ বন্ধ করে একটু অন্যের কথা শুনবেন। তৃতীয়টা আমি রপ্ত করতে পারিনি। ফোর্থ আরেকটা পয়েন্ট আছে- সাংবাদিকদের বিশ্বাস করবেন না।
শীর্ষ সংবাদ: