ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

‘সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার’

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৪ জানুয়ারি ২০১৬

‘সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছরটি দারুণ কেটেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। একের পর এক জয়ে আনন্দ ভালভাবেই উদযাপন করা গেছে। এবার নতুন বছরে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তা চানও মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিম, মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজরা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যেমন বলেই দিলেন, ‘সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখন।’ ২০১৫ সালে জয়ের ধারাবাহিকতা মিলেছে। অনেক বেশি ওয়ানডে যে খেলেছে বাংলাদেশ দল। ২০১৬ সালে সামনে শুধুই টি২০ খেলা। এ ফরমেটে কী আগের মতই ধারাবাহিকতা থাকবে? বাংলাদেশ দল যে টি২০তে অনেক দুর্বল দল। প্রত্যাশা অনেক বেশি দলের কাছে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে? রিয়াদ বললেন, ‘তাতো অবশ্যই। এটা এখন আমাদের দায়িত্ব। কিভাবে সবার প্রত্যাশা পূরণ করি। এখান থেকে পেছানোর সুযোগ নেই আমাদের। আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখন। আরও ভালভাবে পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে পারি।’ সঙ্গে যোগ করেন ‘এ বছর অনেকগুলো খেলা হবে। প্রথম টি২০ সিরিজ, এরপর এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ। আশাকরি আমরা ভাল একটি প্রস্তুতি নিতে পারবো। বিশ্বকাপের আগে আমাদের সামনে দুটি টুর্নামেন্ট আছে। সবগুলো সিরিজেই ভাল করার চেষ্টা করবো।’ ওয়ানডের পর টি২০তে নিজেদের ভাল খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জের? রিয়াদ জানালেন, ‘গত বছর আমরা যেমন আক্রমণাত্মক এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছি। তেমন ক্রিকেট খেলতে পারলে অবশ্যই ভাল রেজাল্ট আনা সম্ভব। আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা দেখাতে হবে। এখানে আমাদের অনেক কিছু করার আছে। আমার মনে হয় দল হিসেবে ২০১৫ সালে আমরা খুব ভাল ক্রিকেট খেলেছি, এই বছর এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’ ২০১৬ সালে এমন কোন সারপ্রাইজ আমরা পেতে পারি কিনা? রিয়াদ এ বিষয়ে বললেন, ‘সারপ্রাইজ বলবো না। এখন মনে হয় আমরা অনেক ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছি। সবারই এখন প্রত্যাশা আমরা ভাল পারফর্মেন্স করি আরও। সামনে আমাদের হোম সিরিজ আছে। ওখানে আমাদের ভাল প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ হবে। টি২০ বিশ্বকাপ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার আগে দুটি টুর্নামেন্ট। এটা আমাদের জন্য একটি ভাল সুযোগ। এখানে ভাল শুরু হলে এটাকে পরবর্তীতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।’ ব্যক্তি রিয়াদের জন্য এ বছরটি চ্যালেঞ্জের কিনা? রিয়াদ চ্যালেঞ্জ মনে করছেন, ‘অবশ্যই। এরজন্য আমার পরিশ্রমের পরিধিটাও আরও বাড়াতে হবে। চেষ্টা করছি পরিশ্রম করে নিজেকে আরও ভাল খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। এখান থেকে পেছনে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।’ সঙ্গে নিজের সম্বন্ধে আরও জানান, ‘আমার মনে হয় না টি২০তে আমি খুব একটা খারাপ খেলোয়াড়। জানি না অন্যরা কিভাবে দেখে। আমার মনে হয় আমি খুব আত্মবিশ্বাসী এই ফরমেটের ক্রিকেটে। বিপিএল ভাল হওয়ার কারণে আমার আত্মবিশ্বাস এখন অনেক ভাল। ক্রিকেট প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অনেক কিছু শিখায়। আমাকে আরও কষ্ট করতে হবে। এরজন্য আমি প্রস্তুত।’ উপরের দিকে ব্যাটিং করতে পারলে আরও ভাল করা সম্ভব বলে জানালেন রিয়াদ, ‘যদি ম্যানেজমেন্ট চিন্তা করে উপরের দিকে ব্যাটিং করাটাই ভাল মনে করেন, সেক্ষেত্রে করবো। এটা পুরোটাই টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। উপরে ব্যাটিং কারার সুযোগ পেলে আরও ভাল হবে। কিন্তু পুরোটাই তাদের উপর নির্ভর করে।’ শুধু টি২০ খেলার দিকেই এখন মনোযোগ সবার। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে এ জন্য টেস্ট খেলাই হবে না টি২০ বিশ্বকাপের আগে। এ ফরমেটে বেশি ফোকাস হয়ে যাচ্ছে কিনা? রিয়াদ জানালেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না টিম ম্যানেজমেন্ট যা চিন্তা করছে আমাদের ভালর জন্যই চিন্তা করছে। যেহেতু সামনে বেশিরভাগ টুর্নামেন্টই টি২০ ফরমেটের। আমরা খুব একটা অভ্যস্ত নই এই ফরমেটের ক্রিকেটে। এ জন্য আমাদের ম্যাচগুলো বাড়িয়ে দেয়ার কারণে আমাদের জন্যই ভাল হবে।’ এশিয়া কাপ শেষ হবে ৬ মার্চ। বাংলাদেশকে টি২০ বিশ্বকাপে ৯ মার্চ খেলতে নামতে হবে। খেলা হবে ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালাতে। যদি এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ, তাহলে ৭ মার্চের আগে রওনা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ৮ মার্চ একদিন শুধু ধর্মশালায় অনুশীলন করতে পারবে দল। ধর্মশালায় একদিনের অনুশীলনকে পুঁজি করেই টি২০ বিশ্বকাপের মিশনে নামতে হবে বাংলাদেশকে। এ নিয়ে রিয়াদ জানান, ‘আমাদের বিরতি দরকার ছিল। এখন আমরা শুরু করবো। ইনশাল্লাহ অনুশীলনে কোন ঘাটতি হবে না। আমাদের আত্মবিশ্বাসের লেভেলটা অনেক ভাল।’
×