ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভুল মনোনয়ন ও দলীয় কোন্দলই দায়ী- সংবাদ সম্মেলনে দাবি

সাতক্ষীরা ও কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের নেপথ্যে-

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৪ জানুয়ারি ২০১৬

সাতক্ষীরা ও কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের নেপথ্যে-

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সদ্য সমাপ্ত সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ হিসেবে ভুল মনোনয়ন ও প্রার্থীর ব্যক্তিগত আচরণকে চিহ্নিত করেছেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগ। পৌরসভার সংরক্ষিত ৩ জন নারী কাউন্সিলরসহ ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিজয় লাভ করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সন্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্র্থী শাহাদাৎ হোসেন পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় করেননি। এদিকে শনিবার রাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক লিখিত সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনকে বহিষ্কার দাবি করেছেন। সদ্য সমাপ্ত সাতক্ষীরা ও কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবির পর দলীয় কোন্দল এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থীদের সংগঠন বিরোধী অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের পর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও কোন্দলের বিষয়টি এখন টক অব দি ডিস্ট্রিক দাঁড়িয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে পরাজয়েরে পরের দিন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তার ভরাডুবির জন্য দলের জেলা সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ প্রশাসনেকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে পুনর্নির্বাচন দাবি করে তার এ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী দলের নেতাদের বহিষ্কার এবং পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। সম্মেলনে শাহাদাৎ হোসেনের অভিযোগ ছিল, ভোটের আগের রাতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুনসুর আহমেদ গাড়ি নিয়ে ৩১টি কেন্দ্রে যেয়ে আওয়ামী লীগের পোস্টার গুলি ছিড়ে ফেলে দেন। তার অভিযোগ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নির্বাচনের ছয়দিন আগে সাতক্ষীরা থেকে চলে যান। ফিরোজ আহমেদ নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করে লাঙ্গলে ভোট দেয়ার জন্য প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় নেতা অধ্যাপক আবু আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী মিঠু খানের পক্ষে কাজ করেছেন। তিনি কোন কোন স্থানে লাঙ্গলের পক্ষেও ভোট চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ দাবি তুলে ধরার পর রবিবার পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে তার বহিষ্কার দাবি করা হলো। পৌর আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে পরাজয়ের কারণ হিসেবে প্রার্থীর দাম্ভিকতাপূর্ণ আচরণের কারণে ভোটাররা তাকে প্রত্যাখান করেছে উল্লেখ করা হয়েছে। পৌর আাওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ স্বাক্ষরিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় নির্বাচন পরবর্তী শহরে ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে পরাজিত আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতাদের নামে বিষোদগার করে তিনি দলের গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন।
×