ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জের দুই সহোদর রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জবানবন্দী॥ যুদ্ধাপরাধী বিচার

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৪ জানুয়ারি ২০১৬

হবিগঞ্জের দুই সহোদর রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জবানবন্দী॥ যুদ্ধাপরাধী বিচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারকৃত হবিগঞ্জের দুই সহোদর মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া, মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দশম সাক্ষী হাজী মোহাম্মদ আব্দুল মোছাব্বের তার জবানবন্দীতে বলেছেন, রাজাকাররা আকল আলীকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তনী আর্মিরা মজ্ঞব আলীর স্ত্রী আবিদা খাতুন ও আল্লাদ মিয়ার ছোট বোন আগরচান বিবিকে ধর্ষণ করে। সাক্ষীর জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। জবানবন্দী ও জেরার সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ও প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে সাক্ষীকে জেরা করেন এ্যাডভোকেট মাসুদ রানা ও এ্যাডভোকেট আব্দুস শুকুর। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম হাজী মোহাম্মদ আব্দুল মোছাব্বের। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম - খাগাউড়া এরালিয়া, থানা- বানিয়াচং, জেলা-হবিগঞ্জ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল আনুমানিক ২১ বছর। ১৯৭১ সালের ২৬ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১০টার সময় আমার বাড়ি সংলগ্ন বাজারের রাস্তায় আমি আসি। দেখি আমাদের গ্রামে রাজাকার আক্রমণ করেছে। আসামি রাজাকার মহিবুর রহমান বড় মিয়া, মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য রাজাকার কর্নেল আব্দুল রব সাহেবের বাড়িতে লুটপাট করছে। এর পর ওই রাজাকাররা রব সাহেবের বাড়ির পূর্বদিকে কমলা মিয়া চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে তারা কয়েক জনকে আটক করে। রাজাকাররা নুরুজ্জামান চেয়ারম্যানের বাড়ির উত্তর দিকে মজ্ঞব আলীর বাড়িতে যায়। সেখানে পাকিস্তানী আর্মিরা মজ্ঞব আলীর স্ত্রী আবিদা খাতুন ওরফে আকসি বিবিকে ধর্ষণ করে। এরপর আল্লাদ মিয়ার ছোট বোন আগরচান বিবিকে ধর্ষণ করে। এরপর রাজাকাররা আকল আলীকে ধরে নিয়ে য়ায়। পরে আকল আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
×