ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে খাসজমি রেকর্ডের নামে বাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৩ জানুয়ারি ২০১৬

বরিশালে খাসজমি রেকর্ডের নামে বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের গাগরিয়া মৌজার খাসজমি ব্যক্তি মালিকদের নামে রেকর্ডসহ খতিয়ান খুলে দেয়ার নামে এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্রতারক চক্র কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, গাগরিয়া মৌজার খাসজমি (এসএ দাগের) বন্দোবস্তসহ রেকর্ড ও খতিয়ান খুলে দেয়ার নামে গাগরিয়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, হারুন ফকির, টগন হাওলাদার, সিরাজ ফকির, ছিন্টু মোল্লা, জসিম মুন্সি ও উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন বিন কামাল লড়াইপুর, চরনন্দনপুর, চরমহিষা ও আলিমাবাদ গ্রামের শত শত এলাকাবাসীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে নানা তালবাহানা শুরু করেছে। ওই প্রতারক চক্রটির সঙ্গে ইউনিয়নের তহসিলদারের যোগসাজশ রয়েছে বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। সূত্রমতে, চক্রটি টাকা তুলে তহসিলদারের মাধ্যমে সরকারী জমির খতিয়ান খুলে দেয়ার নামে নিরীহ গ্রামবাসীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত পেতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিম-উর রহমান বলেন, সরকারী জমি রেকর্ড ও খতিয়ান খোলার সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীরা জড়িত থাকলে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাইবান্ধায় জামানত হারালেন ১২ মেয়র প্রার্থী নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২ জানুয়ারি ॥ গাইবান্ধার তিন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ১৯ প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনই বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান প্রামাণিক জানান, কোন প্রার্থী মোট প্রাপ্ত ভোটের শতকরা আট ভাগের একভাগের নিচে ভোট পেলে তিনি জামানত হারাবেন। যারা জামানত হারালেন তারা হলেন, গাইবান্ধা পৌরসভায় শহীদুজ্জামান শহীদ (বিএনপি), মির্জা হাসান (স্বতন্ত্র), ফেরদৌস আলম (স্বতন্ত্র) ও সরদার রোকনুজ্জামান পলাশ (স্বতন্ত্র)। গোবিন্দগঞ্জে জামানত হারিয়েছেন আখতার হোসেন (জাতীয় পার্টি) ও মতিন মোল্লা ওয়ার্কার্স পার্টি)। সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মশিউর রহমান সরকার (জাতীয় পার্টি), মশিয়ার রহমান (জাতীয় পার্টি জেপি), শাহাদাৎ হোসেন (জাসদ), দেবাশীষ কুমার সাহা (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), শাহীন আহম্মেদ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও মাসুদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) জামানত হারান। এর মধ্যে জাসদ সমর্থিত শাহাদাৎ হোসেন পান মাত্র ৩০ ভোট। কিশোরগঞ্জে সাত মেয়র ও ২২ কাউন্সিলর নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, সাত পৌরসভায় সাত মেয়র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। পৌর নির্বাচনে মোট প্রাপ্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত ভোটে সদর পৌরসভায় সিপিবি প্রার্থী আবুল হাসেম (৪৬৯), করিমগঞ্জে বিএনপির আশরাফ হোসেন পাভেল (৪৬৩), হোসেনপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মৃধা (১ হাজার ১২২), আব্দুল কাদির স্বপন (৩৩১), কটিয়াদীতে জাতীয় পার্টি এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন (২০৮), বাজিতপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সেলিম খান (১৫৬) এবং ভৈরবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহেমদ (৯৯১) পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। অপরদিকে সদরে কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত প্রার্থী শামছুন্নাহার, শাহাব উদ্দিন মড়ল, ইমাম হোসেন, মাসুদুর রহমান আকিল, আবুল হাসান লাক্কু, কামরুজ্জামান খান, খায়রুল ইসলাম রানা, গোলাপ, জসিম উদ্দিন সুজন, আবু সাঈদ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, নজরুল ইসলাম রতন, মোস্তাক আহমেদ শাহীন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহমুদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম বাক্কার, খায়রুল ইসলাম, রাকিব মাহমুব, বিপ্লব রায় বাবু, এমদাদুল ইসলাম বাবুল, ওয়াহেদুজ্জামান জুয়েল ও তানসেন কবীরের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কুড়িগ্রামে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রাজিবপুর থানায় বজলুর রহমান (৫২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে তার মরদেহ কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পৌঁছে। পরে দুপুরে লাশ বগুড়ার শেরপুরে পাঠানো হয়। রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানা ব্যারাকেই পুলিশ কনস্টেবল (ডিএসবি) বজলুর রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত রাজিবপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
×