ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের রবার বুলেট

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২ জানুয়ারি ২০১৬

রাজশাহীতে আওয়ামী  লীগের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের রবার বুলেট

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরীর সিপাইপাড়া (ফায়ার সার্ভিসের মোড়) এলাকায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ রবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনামুল, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস এবং ছাত্রলীগ নেতা নাদিম, নাসিম, রকি, রাজু, সজল ও মাহফুজ। এদের মধ্য ছাত্রলীগ নেতা রনিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে নগরীর কেশরপুর স্কুলের পাশে ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিকনিকের আয়োজন করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজপাড়া থানার এসআই মাহবুবুর রহমান সেখান থেকে ৯জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি জানান, নেতাকর্মীদের আটকের খবর পেয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হীমাদ্রী প্রসাদ রায় লিটন রাজপাড়া থানায় গেলে পুলিশ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং পরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হাজতে আটকে রাখে। রাতে খবর পেয়ে থানা আওয়ামী লীগের নেতারা রাজপাড়া থানায় গিয়ে হিমাদ্রীকে মুক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসআই মাহাবুব ও ওসি মাহমুদুর রহমানের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি নিয়ে তারা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিয়ে আসতে চাইলে সিপাইপাড়া ফায়ার সার্ভিসের মোড়ে পৌঁছলে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া পুলিশের একটি দল পেছন থেকে রবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বসা হচ্ছে। মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান, রাতে পিকনিকের নামে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি পুলিশ নিষেধ করলেও তারা শুনেননি। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যা ৬টার পরে সিএন্ডবি মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে এক পুলিশ সদস্যের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করে এবং বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান উপ-কমিশনার নাহিদুল ইসলাম।
×