ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলেই প্রজ্ঞাপন

জাতীয়করণের জন্য পনেরোটি কলেজ চূড়ান্ত

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২ জানুয়ারি ২০১৬

জাতীয়করণের জন্য পনেরোটি  কলেজ চূড়ান্ত

বিভাষ বাড়ৈ ॥ জাতীয়করণ হচ্ছে আরও নতুন নতুন বেসরকারী কলেজ। এ লক্ষ্যে নতুন করে আরও কলেজের যোগ্যতা যাচাইও শেষ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। জানা গেছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ১৫টি বেসরকারী কলেজ জাতীয়করণের জন্য চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলেই কলেজগুলো সরকারীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, জাতীয়করণের অপেক্ষায় থাকা নতুন কলেজগুলো হচ্ছে-ফরিদুপুরের আলফাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ, একই জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাজী মাহমুব উল্লাহ (কেএম) কলেজ, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার শহীদ এম. মনসুর আলী ডিগ্রী কলেজ, মাদারীপুরের রাজৈর ডিগ্রী কলেজ, গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর কলেজ, ঢাকার পল্লবীতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কলেজ, নাটোরের গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামজ্জোহা কলেজ, বরগুনার আমতলী ডিগ্রী কলেজ, পটুয়াখালীর বাউফল ডিগ্রী কলেজ, কক্সবাজারের উখিয়ার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ, খুলনার কয়রা মহিলা কলেজ, কিশোরগঞ্জের ইটনাতে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কলেজ, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজ, নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সুসং মহাবিদ্যালয় এবং একই জেলার মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ২৩টি বেসরকারী কলেজকে সরকারী করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৩ সালেই সর্বোচ্চ ১৩টি কলেজকে সরকারী করা হয়েছে। ২০০৯ সালের ১১ জুন সরকারী হয়েছে খাগড়াছড়ি মহিলা কলেজ ও বান্দরবান মহিলা কলেজ। ২০১০ সালের ৭ জুলাই সরকারী হয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ। ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি ফরিদপুরের মধুখালির বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজ সরকারী হয়েছে। একই বছরের ১৯ জুলাই সরকারী হয়েছে মহেশপুরের মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজ। ২০১৩ সালের ২০ মে ৪টি কলেজ সরকারী হয়েছে। কলেজগুলো হচ্ছে-খুলনার দাকোপের এল বি কে ডিগ্রি কলেজ, নেত্রকোনার মদনের হাজী আব্দুল আজিজ খান ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়, ঝিনাইদহের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান কলেজ এবং ভৈরব জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজ। এর পরদিন অর্থাৎ ২১ মে সরকারী হয়েছে আরও চারটি কলেজ। কলেজগুলো হলো- খুলনার হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ, একই জেলার রূপসাতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কলেজ, যশোরের শার্শাতে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রী কলেজ। ২০১৩ সালের ২২ নবেম্বর সরকারী হয়েছে ৫টি কলেজ। কলেজগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইলের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়, একই জেলার ভূঞাপুরের ইবরাহীম খাঁ কলেজ, ফরিদপুরের নগরকান্দা আদর্শ মহাবিদ্যালয়, নড়াইলের লোহাগড়া মহাবিদ্যালয় এবং ভোলার চরফ্যাসন কলেজ। চলতি বছরের ৮ নবেম্বর সরকারী হয়েছে ৪টি কলেজ। কলেজগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইলের সখিপুরের মুজিব কলেজ, বরগুনার বেতাগী ডিগ্রী কলেজ, রাজবাড়ীর পাংশা কলেজ এবং রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান ডিগ্রি কলেজ এবং গত ১৩ নবেম্বর মাদারীপুরের শেখ হাসিনা একাডেমি এ্যান্ড উইমেন্স কলেজকে সরকারী করা হয়েছে। চাকরি জাতীয়করণ করার দাবি ॥ চাকরি জাতীয়করণ করার দাবি জানিয়েছেন ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরীরা। একই সঙ্গে অষ্টম পে-স্কেলের আওতায় বেতন-ভাতা দেয়ারও দাবি করেছেন তারা। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দফতরি কাম প্রহরী কল্যাণ সমিতি এ দাবি জানায়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি সাধন কান্তি বাড়ৈ। তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরীরা কর্মরত আছেন। ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের বেতন ধরা হয়েছে সাকল্যে সাত হাজার ২০০ টাকা। এই পারিশ্রমিকের বিপরীতে তাদের দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। দিনরাত স্কুল পাহারা দিতে হয়। এমনকি তারা বছরে কোন ধর্মীয় ছুটিও ভোগ করতে পারেন না। একমাত্র বেতনই তাদের সম্বল। সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও তারা সরকারী কোন সুযোগ-সুবিধা পান না। ফলে ৩৭ হাজার দফতরি কাম প্রহরী পরিবার-পরিজন নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় তারা চাকরি জাতীয়করণ ও অষ্টম বেতন স্কেলে বেতন প্রদানসহ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সুযোগসুবিধা এবং ভাতাদি প্রদানের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক বাবর হোসেন, সমিতির নেতা মোহম মিয়া, রবিউল ইসলাম, আনিসুর রহমান, আরমান হোসেন, মুজিবুর রহমান, মোঃ বাবু, আল আমিন, আসাদুল হক, রাজু আহমেদ, মোঃ নূর নবী, মোস্তাক, আলী হোসেন প্রমুখ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড পুনর্নির্ধারণের দাবি ॥ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এই দাবি জানান। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে বেতন পান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরকার। সভাপতি নুরুজ্জামান আনসারীসহ অন্য নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আগের মতো নতুন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়। এসব দাবিতে আগামী ১৫ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। ওই মানববন্ধন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে। আব্দুল্লাহ সরকার বলেন, দাবি পূরণ না হলে মানববন্ধন থেকে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
×