ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত সবাই ॥ রোনাল্ডো

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২ জানুয়ারি ২০১৬

আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত সবাই ॥ রোনাল্ডো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সর্বশেষ দুই মৌসুমে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ব্যালন ডি’অরও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। তবে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টার সি আর সেভেন মনে করেন মানুষ তার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত। কিন্তু তার প্রভাব পারফর্মেন্সে মোটেই পড়ে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন রোনাল্ডো। আর রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরা নতুন বছর শুরুর আগেই জানিয়েছেন ‘সেরা হওয়ার জন্যই তার জন্ম।’ ফুটবল থেকে অবসরের পরও ‘রাজা’ হিসেবেই থাকতে চান তিনি। সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় ফরাসী ক্রীড়া দৈনিক লেকিপ একটি অদ্ভুত জরিপ করে জানায়, সবচেয়ে অহংকারী ফুটবলার জ¬ালাতান ইব্রাহিমোভিচ। তার পরেই অবস্থান রোনাল্ডোর নাম। স্প্যানিশ সাময়িকী ডন ব্যালানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েইন জানিয়েছিলেন, ‘রোনাল্ডো একজন অহংকারী ফুটবলার। তার মারাত্মক ইগো সমস্যা রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে সেরা ফুটবলার বলা হবে না, ততক্ষণ সে আপনাকে বন্ধু বলে মেনে নেবেন না।’ আর সি আর সেভেনের অঙ্গভঙ্গি খুবই অহংকারী ও অশোভন ছিল বলে অভিযোগ করেন কর্ডোভার কোচ মিরোসেøাভ ডিজুকিচও। স্পেনের ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় দৈনিক মার্কাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রোনাল্ডোর বিষয়ে এমন মন্তব্যই করেছিলেন ডিজুকিচ। কিন্তু যে- যাই বলুক না কেন পর্তুগীজ তারকা নিজেই জানাচ্ছেন তার মাঝে কোন অহংবোধ নেই। সমালোচকদের কড়া জবাব দিতে তিনি বলেন, ‘আসলে মানুষ আমার সাফল্যকে হিংসা করে। তাদের এমন মন্তব্যে আমি কখনই বিচলিত হই না। যে কারণেই তাদের এমন সমালোচনা আমার কাজে কিংবা আমার খেলায় কোন ধরনের বাজে প্রভাব ফেলে না। বছরের শেষ ম্যাচে স্প্যানিশ লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে প্রথম পাওয়া পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করেন রোনাল্ডো। যা লা লিগায় তার ক্যারিয়ারেই প্রথম পেনাল্টি মিসের ঘটনা। তবে দ্বিতীয়বার পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। সে ম্যাচে দুটি গোল করে রিয়ালকে ৩-১ গোলের জয় পাইয়ে দেন পর্তুগীজ তারকা। ওয়ানডে ও টি২০ দলে ফিরলেন আমির সব বিতর্ক পেছনে ফেলে সাড়ে ৫ বছর পর আবার জাতীয় দলে এ পেসার, ফিরলেন অভিজ্ঞ পেসার গুলও স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটেছে। যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের মুখ কালো করে দিয়েছেন। নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে পাকিস্তান জাতীয় দলে আবার ফিরেছেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ পেসার মোহাম্মদ আমির। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর তিনি আবার পাকিস্তান দলে ঠাঁই পেলেন। আগামী মাসে পাকিস্তানের নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত ওয়ানডে ও টি২০ দলে তাকে রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। জাতীয় দলেই তার তীব্র বিরোধী দুই ক্রিকেটার আজহার আলী ওয়ানডের অধিনায়ক এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ দু’জনই এখন আমিরের সতীর্থ হিসেবে খেলবেন। অভিজ্ঞ পেসার উমর গুলও টি২০ দলে ফিরেছেন আবার। নিউজিল্যান্ড সফরে ৩ টি২০ ও ৩ ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান। ১৫ জানুয়ারি প্রথম টি২০ দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরটা ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিভীষিকাময় অধ্যায় ছিল আমিরের জন্য। ওই সফরের টেস্ট সিরিজে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই কলঙ্কে দোষী সাব্যস্ত হন আমির ছাড়াও তখনকার অধিনায়ক সালমান বাট ও পেসার মোহাম্মদ আসিফ। সবাই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করার পাশাপাশি আইসিসির কাছ থেকে সব ধরনের ক্রিকেটে ৫ বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন। তবে সে সময় মাত্র ১৮ বছর বয়সের আমির একাই শুধু বিচার চলাকালীন নিজের দোষ স্বীকার করে জাতির কাছে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন। বয়স কম থাকার কারণে, দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা ও লজ্জা প্রকাশের জন্য সবারই সহমর্মিতা পেয়েছেন আমির। এছাড়াও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অধীনে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন আমির। সে কারণে তার ওপর সন্তুষ্ট পিসিবি। কিন্তু প্রথমবার জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েই বিতর্ক জন্ম দেন আমির। কেউ তাকে আবারও ফিরে চায়, আবার কেউ তাকে না ফেরানোর পক্ষে। আর বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে অধিনায়ক আজহার আলী ও মোহাম্মদ হাফিজ তো পুরোপুরিই আমিরকে মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে দলের ফিটনেস ক্যাম্প বয়কটও করেছিলেন দু’জন। যদিও পিসিবির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান এ দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে রাজি করান পুনরায় ক্যাম্পে যোগ দেয়ার জন্য এবং আজহার-হাফিজও সম্মত হন। এছাড়াও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমিরের জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার বিরুদ্ধে আদালতে করা রিট। এক আইনজীবী আমিরের জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার বিষয়টির ওপর স্থগিতাদেশ ও কতটা যৌক্তিক তা জানতে চেয়ে রিটও করেন। তবে আদালতও সেটা খারিজ করে দেয়। দল ঘোষণার আগে পাক কোচ ওয়াকার ইউনুসসহ নির্বাচকদেরও সন্তুষ্টি ও প্রশংসা অর্জন করেছেন আমির। প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ তো তিনদিন আগে দাবিই করেন এই মুহূর্তে ডাক পাওয়ার যোগ্য পেসারদের মধ্যে আমিরই সেরা। তখনই নিশ্চিত হয়েছিল ফিরছেন আমির। কারণ গত এপ্রিলে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ উন্মুক্ত হওয়ার পর দারুণভাবে নিজের যোগ্যতা দেখিয়েছেন তিনি। ১২টি চারদিনের ম্যাচ ও ১১টি টি২০ ম্যাচ খেলে মোট ৮৪ উইকেট শিকার করে নিজের জাতীয় দলে খেলার সামর্থ্য প্রমাণ করেন। অবশেষে এখন তিনি জাতীয় দলের অন্যতম দুই বিরোধী ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার ও হাফিজের সতীর্থ হিসেবেই খেলবেন। আমির দলে ডাক পাওয়ার আগে তার ভিসা নিয়েও বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের দূতাবাস স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ঘটনায় আমিরের বিবৃতি, আইসিসির বিবৃতি, কারা কর্তৃপক্ষ ও আদালতের বিবৃতি এবং আমিরের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য পিসিবিকে নির্দেশ দিয়েছিল। কাগজপত্র জমা দেয়ার পর পর্যালোচনা করে দেশটির দূতাবাস শেষ পর্যন্ত আমিরের ভিসা দিয়েছে। ১৭ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে পেসার হান্ট স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সারাদেশ থেকে প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করতে ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ নামে একটি ক্যাম্পেন চালু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও স্পন্সর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম। চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নতুন বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রমে অংশ নিতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধন। এসএমএস অথবা অনলাইন এবং দেশজুড়ে নির্দিষ্ট রবি ওয়াক-ইন-সেন্টারে গিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। ফাস্ট বোলিং প্রতিভা মেলে ধরার এ সুযোগ ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য থাকছে। তবে অংশগ্রহণকারীদের বয়স ১৬ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট হতে হবে। আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে তাদের নিবন্ধন শেষ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। দুই দফায় ক্যাম্পেনটি চলবে। প্রথম দফা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি এবং দেশের ১৬টি স্থানে ফাস্ট বোলার নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে। চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য বাছাইকৃত ৬৪ জনকে হাই পারফর্মেন্স (এইচপি) ক্যাম্পে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। অংশগ্রহণকারীদের তাদের শারীরিক যোগ্যতা ও দক্ষতার (ওজন, উচ্চতা, ভারসাম্য, নি টু ওয়াল টেস্ট) ওপর ভিত্তি করে যাচাই করা হবে। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে পর্যবেক্ষণ ও তাদের রেকর্ড সংগ্রহের জন্য জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি থেকে বোলিং কোচ নিযুক্ত থাকবেন। যাচাই-বাছাইপর্ব শেষে শীর্ষ ১২ (১০ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে) খেলোয়াড়কে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। সেই ১২ যেন জাতীয় পর্যায়ে খেলতে পারেন এজন্য তাদের হাই পারফর্মেন্স টিমের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রাণ ফ্রুটো-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ শুরু স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রাণ ফ্রুটোÑবিএসজেএ মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস এ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) আয়োজনে ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রিন্টÑইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার ২৪ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দিন ৮টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকালে মওলনা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসাবে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। হকি ফেডারেশনের সদ্যপ্রয়াত সহ-সভাপতি মীর্জা ফরিদ আহমেদ মিলুর মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রথম দিনের খেলায় মাছরাঙা টেলিভিশন, ঢাকা ট্রিবিউন, গাজী টিভি, দ্য ডেইলি স্টার, দৈনিক সমকাল, চ্যানেল আই, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও রেডিও টুডে জিতে।
×