ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাব্বির খান

চক্রান্তে চলমান ॥ ‘বার্গম্যান থেকে খালেদা; মাজহার থেকে গয়েশ্বর’

প্রকাশিত: ০৩:৩৩, ২ জানুয়ারি ২০১৬

চক্রান্তে চলমান ॥ ‘বার্গম্যান থেকে খালেদা; মাজহার থেকে গয়েশ্বর’

মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতি সুরক্ষার মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন তুলেছিলেন বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশে বসবাসকারী ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ডেভিড বার্গম্যানের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত দ্য দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস অত্যন্ত কদর্য ভাষায় একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছিল, যেখানে বাংলাদেশের বিচারবিভাগ ও সার্বভৌমত্বকে অত্যন্ত অসম্মানজনকভাবে কটাক্ষ করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির পরে বিশ্ববিবেককে অবাক করে দিয়ে ৩০ নবেম্বর, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একটি বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান কর্তৃক কোন ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়নি বলে বিবৃতি দেয়, যা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাকে নাকচ করার শামিল। গত ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ বিএনপির বাম ঘরানার বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মাজহার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে পরাজিত হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন’। এই বক্তব্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারই শুধু করেননি, একই সঙ্গে অবমাননা করেছেন ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকে। গত ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লাখ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে’ (কালের কণ্ঠ, ২১ ডিসেম্বর-২০১৫)। অর্থাৎ তিনিও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে নির্লজ্জ কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও একধাপ গলা চড়িয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ‘নির্বোধ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা নির্বোধের মতো মারা গেলেন, আর আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়। না গেলে আবার পাপ হয়’ (সূত্র : ঐ)। ওপরের ঘটনাগুলো যে কাকতালীয় নয়, বরং অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং সংঘবদ্ধ একটি গোষ্ঠীর সুচিন্তিত চক্রান্তের ধারাবাহিক কর্মকা-, তা তাঁদের একই ধারার এবং লক্ষ্যের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়। এই ধারা মূলত শুরু হয়েছে ১৯৭২ থেকেই। পরাজিত শক্তি পাকিস্তান এবং তাদের দোসররা সুচিন্তিতভাবেই বলার চেষ্টা করেছে যে, বাংলাদেশে কোন যুদ্ধ হয়নি, এটা কোন মুক্তিযুদ্ধ ছিল না, একাত্তরের যুদ্ধটি ছিল গৃহযুদ্ধ; কটাক্ষ করে তারা তখন এও বলেছে যে, বঙ্গবন্ধু ভাল ইংরেজী জানতেন না বলে ‘তিন লাখকে তিন মিলিয়ন’ বলেছেন, ইত্যাদি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে নাকচ বা অস্বীকার করলে, বাংলাদেশের কোন্ বৈধতাই থাকে না। মুজিবনগর সরকারের প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই ঘোষণার আলোকেই আন্তর্জাতিক আইন তখন মুক্তিযুদ্ধকে বৈধতা দিয়েছিল। এই ঘোষণার আলোকেই একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হওয়া ছাড়াও মুজিবনগর সরকারের যাবতীয় কাজের বৈধতা দিয়েছিল। ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে ফিরে আসার আগমুহূর্ত পর্যন্ত মুজিবনগর সরকারের প্রণীত ঘোষণাপত্রই পরিগণিত হয়েছিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান হিসেবে। বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এলেন এবং ১১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন নির্দেশ দিচ্ছিলেন, সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে বলতেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমি...’ ইত্যাদি। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচিত সংসদীয় প্রতিনিধিরা মূল সংবিধানে মুজিবনগর ঘোষণাপত্রকে সংযুক্ত করে তার শুধু বৈধতাই দেয়নি, সেই সঙ্গে তার সুরক্ষাও দিয়েছে। সুতরাং যখনি কোন মহল বা ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে অস্বীকার করে তখন বুঝতে হবে যে, অত্যন্ত সুচতুরভাবে তারা শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকেই নাকচ করছে না, সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকেও অস্বীকার করছে। এই অস্বীকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে মানা বা চিহ্নিত করা। ১৯৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে চক্রটি ক্ষমতা দখল করেছিল, মূলত সেই ধারাই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এবং সংঘবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ, একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। একই সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানকরণের সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে। জামায়াত-বিএনপি ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল এবং তাদের প্রভু পাকিস্তান যখন ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত বলে প্রোপাগান্ডা চালায় তখন এর সঠিক হিসাবটি নিয়ে নতুন প্রজন্মের ভেতরে এক ধরনের প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি করে দেয় এবং একাত্তরের সব অর্জনকে ধূলিস্যাত করার অপচেষ্টা চালায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতোই একাত্তরে বাংলাদেশে কতজন নিহত হয়েছিল, তা মৃতের মাথা গুনে গুনে হিসাব করা সম্ভব ছিল না। আলোচনার খাতিরে আমরা এভাবেই বলতে পারি যে, ৩০ লাখ সংখ্যাটি ছিল একটা ঊংঃরসধঃরড়হ বা ধারণা। ধরা যাক, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন ঘুমন্ত ঢাকাবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন ঢাকায় অবস্থান করছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা। ২৬ মার্চ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকায় সে রাতে ঢাকায় যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল, তার খবর প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে মৃতের সংখ্যা কোন পত্রিকা আনুমানিক দশ হাজার লিখেছিল, আবার কোন পত্রিকায় এক লাখের মতো উল্লেখ করেছিল। দুইয়ের মাঝে পার্থক্যটা নিঃসন্দেহে বিশাল এবং অকল্পনীয়। এক্ষেত্রে আমরা যদি ধরে নেই যে, সে রাতে দশ হাজার নিহত হয়েছিল এবং নয় মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার হিসাবেও মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৭ লাখের মতো। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায়, যেমন চুকনগরে মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে হত্যা করা হয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ ধরনের গণহত্যা বাংলাদেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায়ই হয়েছিল। এ ধরনের গণহত্যার হিসাব করলেও কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়াও ভারতে শরণার্থী হওয়া এক কোটির অধিক বাঙালী, যারা বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে থাকতেন। সেখানে যদি ১৫ লাখ পরিবারও থেকে থাকত এবং অনাহারে, রোগে-শোকে যদি প্রতি পরিবারের একজনও মারা গিয়ে থাকতেন, সে হিসাবেও প্রায় ১৫ লাখের প্রাণহানি হয়েছিল। আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে প্রায় ৬ কোটি মানুষ ছিল, যুদ্ধকালীন অবস্থায় খাদ্যাভাবে বা বিনা চিকিৎসায় কত মানুষ মারা গিয়েছে, সে হিসাব করাটা নিশ্চয়ই খুব সহজ ছিল না! অর্থাৎ খুব মোটা দাগের হিসাবেও দেখা যায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আসলে ৩০ লাখ নয়, তারও অধিক মানুষ শহীদ হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী কর্তৃক গণহত্যাকে (হলোকাস্ট) ঠিক ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করতে চাননি বলে ডেভিড আর্ভিং নামের পশ্চিমের এক খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ১৩ মাস জেল খেটেছিলেন। অন্য এক ঘটনায় ‘প্রফেসর বার্নার্ড লুইস’ একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ, যিনি যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। তিনি ফরাসী পত্রিকা খব গড়হফব তে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ‘গণহত্যার সংজ্ঞায় পড়ে না বলে আর্মেনিয়ায় গণহত্যা হয়েছে বলা যাবে না।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আর্মেনিয়ানরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় এবং এর সূত্র ধরে ফরাসী এক আদালত তাঁকে এক ফ্রাঙ্ক জরিমানা করেছিল। আরেক ঘটনায় মার্কিন অধ্যাপক ও আইনজীবী পিটার আর্লিন্ডার রুয়ান্ডার গণহত্যাকে অস্বীকার করে এটাকে যুদ্ধের একটি বাই প্রোডাক্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। এ কারণে গণহত্যা বিষয়ক মামলায় একটি পক্ষের আইনী পরামর্শক হওয়া সত্ত্বেও রুয়ান্ডার আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে প্রতিটা নিহতের দায় পাকিস্তান সরকার ও তার সেনাবাহিনীর এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের। সুতরাং, একাত্তরের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং এই সংখ্যাকে কমিয়ে দেখা তাদেরই সাজে যারা এই দেশকে চায়নি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেভাবে একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাতে তিনি শহীদদের এই সংখ্যাকে পরোক্ষভাবে অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে শুধু বাংলাদেশের সংবিধানকেই তিনি অস্বীকার করেননি, সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকেও অস্বীকার করেছেন। একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে নিঃসন্দেহে তিনি ফৌজদারি আইনে দেশদ্রোহিতা করেছেন। ইউরোপিয়ান দেশের সংসদে পাস করা ‘ল এগেইনস্ট ডিনায়াল অব হলোকাস্ট’ বলে একটা আইন আছে। জার্মানির নাৎসি বাহিনী ইউরোপে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তাকে অস্বীকার বা এর তীব্রতাকে লঘু করার হীনপ্রচেষ্টাকেও আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সে আইনে। সেই সঙ্গে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা বা প্রশ্ন তোলাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ‘রিভিশনইজম’এর দোহাই দিয়ে যারা হলোকাস্ট বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণের চেষ্টা করেন, তাদেরও ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোদ্দাকথায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী দ্বারা গণহত্যা হয়েছে, এটার অন্য কোন ধরনের পাণ্ডিত্যমূলক অপব্যাখ্যা দেয়া চলবে না। জামায়াত-বিএনপি ছাড়া তাদের দেশী এবং বিদেশী দোসররা একের পর এক যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান এবং সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার ও কটাক্ষ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে, তার দায় সরকারও এড়াতে পারে না। ইউরোপের মতো বাংলাদেশেও আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবিই শুধু নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিয়ে তার প্রয়োগ অনস্বীকার্য। অবিলম্বে ‘মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন’ প্রণয়ন করা সরকারের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে বিবেচনা করতে হবে এবং সেই সঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ডেভিড বার্গম্যানদের মতো হীনচক্রান্তকারীদের মোকাবেলার জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধে ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ আইন’ প্রণয়ন করে এদেশে ৩০ লাখ আত্মত্যাগী শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। এছাড়াও একাত্তরের খেতাবপ্রাপ্ত যেসব মুক্তিযোদ্ধা খালেদা-নিজামী ও পাকিস্তানের সুরে কথা বলবে, তাঁদের খেতাবসহ সমস্ত সরকারী ভাতা ও সুবিধা প্রত্যাহার করার আইনও প্রণয়ন করতে হবে। সরকারের ভুলে গেলে চলবে না, সুশাসনের জন্যই আইন। উল্লেখিত আইনগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করা না হলে দেশে সুশাসন বিরাজ করছে বলে প্রতিয়মান হবে না। লেখক : প্রবাসী বাংলাদেশী ংধননরৎ.ৎধযসধহ@মসধরষ.পড়স
×