ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গাফফার খান চৌধুরী

পরিকল্পিত নাশকতায় অস্থির ছিল সরকার

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ১ জানুয়ারি ২০১৬

পরিকল্পিত নাশকতায় অস্থির ছিল সরকার

বিদায়ী বছরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল সত্য, তবে সেটি পেশাদার অপরাধীদের কারণে নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচীর আড়ালে পরিকল্পিত নাশকতার কারণে। বছরের শুরুতেই বিএনপির ডাকা অবরোধ-হরতাল কর্মসূচীর আড়ালে চোরাগোপ্তা পেট্রোলবোমা হামলার মধ্য দিয়ে নাশকতা শুরু হয়। এর রেশ ধরেই ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, বিদেশী হত্যা, ধর্মযাজক হত্যাচেষ্টা, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইএস-এর নামে সংঘটিত নাশকতার দায় স্বীকার করে দেশীয় জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো। বিশ্বের অন্যতম একটি প্রভাবশালী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের যোগসাজশে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীগুলো দেশে জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটেছে বলে প্রচার প্রোপাগান্ডা চালায়। সরকার ও দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রাখতেই এমন অপতৎপরতা চালানো হয়েছে। জঙ্গীবাদ দমনে সরকারের চালানো সাঁড়াশি অভিযানের মুখে একের পর এক গ্রেফতার হতে থাকে জঙ্গীরা। উন্মোচিত হচ্ছে চাঞ্চল্যকর সব নাশকতার রহস্য। আর একের পর এক আবিষ্কৃত হচ্ছে জঙ্গী আস্তানা। বিএনপির টানা তিন মাসের অবরোধ-হরতালের নামে নাশকতা ॥ বিদায়ী বছরের ৫ জানুয়ারি নিরাপত্তাজনিত কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সমাবেশ করার অনুমতি না পেয়ে চরম ক্ষিপ্ত হন। সারাদেশে অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচী ঘোষণা করেন। টানা তিন মাস চলে এমন কর্মসূচী। কর্মসূচীর আড়ালে দেশব্যাপী চরম নাশকতা চালানো হয়। যখন তখন যাত্রীবাহী যানবাহনে চোরাগোপ্তা পেট্রোলবোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হতে থাকে নিরীহ মানুষজনকে। সবমিলিয়ে প্রায় শ’খানেক মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় কয়েক হাজার। যাদের অনেককেই চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। অন্তত ৫ হাজার যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এক পর্যায়ে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারীদের ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করতে থাকেন। এরপর ধীরে ধীরে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নৈরাজ্য থেমে যায়। ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, পীর, পুলিশ ও বিদেশী হত্যা ॥ অবরোধ-হরতালের আড়ালে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর শুরু হয় দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির দ্বিতীয় অধ্যায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক প্রকৌশলী লেখক ড. অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাধা দিতে গিয়ে দুই যুবকের চাপাতির কোপে আহত হন অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। ঘটনা তদন্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর একটি দল ঢাকায় আসে। সন্দেহভাজন কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। ৩০ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানাধীন হাতিরঝিল বেগুনবাড়িতে দিনের বেলায় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে (২৭) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর পালানোর সময় হিজড়াদের হাতে চাপাতিসহ আটক হয় দুই মাদ্রাসা ছাত্র জিকরুল্লাহ ও আরিফুল। এ মামলায় চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ। ১২ মে সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকার নূরানী পুকুরপাড়ে মুক্তমনা ব্লগের লেখক ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ৫ হত্যাকারী দুইটি মোটরসাইকেলে এসে হত্যাকা-টি ঘটায়। ইতোমধ্যেই ২ হত্যাকারী গ্রেফতার হয়েছে। একজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। ৭ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন পূর্ব গোড়ানে নিজ বাসায় ব্লগার নীলাদ্রি চ্যাটার্জী নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্ধারিত বাংলাদেশ সফর বাতিলের কয়েক ঘণ্টা পরেই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার গুলশান-২ নম্বর কূটনৈতিক পাড়ার ৯০ নম্বর সড়কে ফিল্মিস্টাইলে ইতালীয় নাগরিক সিজার তাভেলাকে (৫০) গুলি চালিয়ে হত্যা করে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদলের কতিপয় সন্ত্রাসী। তাভেলা নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিও আইসিসিও কোঅপারেশন বাংলাদেশের প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ছিলেন। এনজিওটি ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে পানি, স্যানিটেশন, রিফিওজি সমস্যা ও পুনর্বাসনসহ নানা সমাজসেবামূলক কাজ করে আসছে। ৩ অক্টোবর রংপুরে তাভেলার মতো একই কায়দায় সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে হত্যা করে জাপানী নাগরিক হোশি কোনিওকে (৪৮)। নিহত জাপানী বাংলাদেশে ব্যবসা করছিলেন। গ্রামের পথে তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলযোগে তিন সন্ত্রাসী জাপানীর কাছে যায়। এক সন্ত্রাসী জাপানীকে তাভেলার মতোই পর পর ৩টি গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। খানিক পরেই ওই জাপানীর মৃত্যু হয়। ৫ অক্টোবর ঢাকার বাড্ডায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা খিজির খানকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। গ্রেফতার মূল হত্যাকারীসহ কয়েকজন। এদিন পাবনার ঈশ্বরদীর ব্যাপ্টিস্ট মিশনের ‘ফেইথ বাইবেল চার্চ অব গড’ এর ফাদার লুক সরকারকে (৫০) ঈশ্বরদীর বাসায় গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে তিন সন্ত্রাসী। ২২ অক্টোবর রাতে গাবতলীতে চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পালানোর সময় গ্রেফতার হয় মাসুদ রানা নামে এক শিবির নেতা। বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি কামাল ওরফে প্রকাশ এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে হত্যা করে বলে গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানা জানায়। কামালকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মাসুদ রানার তথ্যমতে, ওই রাতেই কামরাঙ্গীরচর থেকে ৫টি হ্যান্ডগ্রেনেডসহ এক জামায়াত নেতা ও তার দুই ছেলে শিবির নেতা গ্রেফতার হয়। ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে (৪০) গলা কেটে হত্যা করা হয়। প্রকাশনী সংস্থাটি থেকে হত্যাকা-ের শিকার হওয়া মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের লেখা ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নামক বইটি প্রকাশিত হয়। দীপন ও অভিজিৎ ছোটকাল থেকেই সহপাঠী ছিলেন। প্রায় একই সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া সি ব্লকের ৮/১৩ নম্বর ৫ তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল (৫০), লেখক এবং ব্লগার প্রকৌশলী তারেক রহিম (৪২) ও রণদীপম বসুকে (৪০) ছুরিকাঘাতে ও গুলি চালিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়। বই কেনার কথা বলে ৪-৫ যুবক ঢুকে অফিসে থাকা ৫ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। দুই কর্মচারীকে বেঁধে রেখে তিন জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়। আহতদের চিৎকারে লোকজন জমে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় হত্যাকারীরা বাইর থেকে তালা লাগিয়ে যায়। যাতে আহতদের মৃত্যু নিশ্চিত হয়। এ দুইটি ঘটনার তদন্ত চলছে। ৪ নবেম্বর সকালে সাভারের আশুলিয়ার নন্দনপার্কের সামনে পুলিশ চেকপোস্টে ফিল্মিস্টাইলে হামলার চালিয়ে পুলিশ সদস্য মুকুল হোসেনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। ১০ নবেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসের কচুক্ষেত এলাকায় কর্তব্যরত মিলিটারি পুলিশ সদস্য সামিদুল ইসলামকে মানিক নামে একজন ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। দিন দুপুরে সুরক্ষিত জায়গায় এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত মানিক কোন জঙ্গী বা উগ্র মতাদর্র্শে বিশ্বাসী হতে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা। মসজিদ, মন্দির ও তাজিয়া মিছিলে হামলা ॥ ২৩ অক্টোবর হোসেনী দালানে চার শ’ বছরের ঐহিত্য ভেঙ্গে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলে হ্যান্ডগ্রেনেড হামলায় ২ জন নিহত ও দেড় শতাধিক আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত হ্যান্ডগ্রেনেড আর কামরাঙ্গীরচর থেকে উদ্ধারকৃত হ্যান্ডগ্রেনেড এক ও অভিন্ন। এমন ঘটনার পর পরই ২৬ নবেম্বর বগুড়ার একটি শিয়া মসজিদে শুক্রবার জুমা’র নামাজের জন্য গুলি ও বোমা হামলা চালায়। এতে মসজিদের মুয়াজ্জিনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে অন্তত ছয় জন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বোমা উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় রমজান আলী ও আব্দুল মান্নান নামে নৌবাহিনীর দুই জন ব্যাটম্যান গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃতরা নৗবাহিনীর স্থায়ী সদস্য নয়। ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের পর রাজশাহীর বাঘমারায় একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। হামলায় আত্মঘাতী হামলা চালানোর সঙ্গে জড়িত একজনের মৃত্যু হয়। অপরজন পালিয়ে যায়। এছাড়া ৪ ডিসেম্বর দিনাজপুরের কাহারোলে কান্তজিও মন্দির প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে বোমা হামলা এবং ১০ ডিসেম্বর ইসকন মন্দিরে প্রকাশ্যে গুলি ও বোমা হামলায় বহু জনকে আহত করা হয়। বিভিন্ন নাশকতার পর আইএসের নামে দায় স্বীকার ॥ ব্লগার, প্রকাশক, লেখকসহ বিভিন্ন হামলার ঘটনায় ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট) এর নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠন দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। এরপর ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা রয়েছে বলে সরকারের দাবি করে আসছে। তারা তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জারি করে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে। চাঞ্চল্যকর ঘটনার নেপথ্যে ॥ বিদায়ী বছরের এমন মারাত্মক নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের প্রায় অনেকেই ধরা পড়ে। গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই ছাত্র শিবিরের সদস্য। গ্রেফতারের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অনেকেই আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তদন্তকারী সূত্রগুলো বলছে, একটি প্রভাবশালী দেশের মদদে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মদদে জামায়াত-শিবিরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলো এসব নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়েছে। আর নাশকতা চালানোর পর দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রাখতে আইএসের নামে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। দেশে জঙ্গীবাদের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে বলে দেশ-বিদেশে প্রচার প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। জঙ্গীবাদ ঠেকানোর নাম করে বাংলাদেশে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ করার পথ পরিষ্কার করার নীলনক্সার অংশ হিসেবেই এমন প্রচার প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। সরকার ও বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে বার বারই বলা হচ্ছে, জঙ্গীবাদ বিস্তারের অজুহাতে সরকার ও দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রাখতেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোন কোন গোষ্ঠী এমন অতৎপরতা চালাচ্ছে। জঙ্গীবাদ দমনে সরকারের উদ্যোগ ॥ দেশে জঙ্গীবাদের বিস্তার ঠেকাতে পাড়া মহল্লা পর্যন্ত সুশীল সমাজ, আলেম ওলামা ও সরকারের তরফ থেকে তদারকি চলছে। জঙ্গীবাদ ঠেকাতে সরকারের তরফ থেকে জঙ্গী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সেল গঠিত হয়েছে। সেলের সদস্য করা হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে। জঙ্গী অর্থায়ন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পৃথক মনিটরিং সেল কাজ করছে। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
×