ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রহিম শেখ

রাজনীতির ধাক্কার পরও অর্থনীতিতে ‘স্বস্তির বছর’

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ১ জানুয়ারি ২০১৬

রাজনীতির ধাক্কার পরও অর্থনীতিতে ‘স্বস্তির বছর’

নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে নিজেদের স্থান করার মধ্যদিয়ে আরও একটি বছর পার করল বাংলাদেশ। বছরের শুরুতে হরতাল-অবরোধের হিংস্র থাবার পরও অর্থনীতির ভিত এতটুকু নড়বড়ে হয়নি। বজায় ছিল স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতাও। গেল বছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। নিম্নমুখী ধারায় ছিল মূল্যস্ফীতিও, যা স্বস্তি দিয়েছে সরকারকে। অর্থনীতির প্রায় অধিকাংশ সূচকেই ছিল উর্ধমুখী। অর্থনীতির সঙ্গে উন্নয়নও ছিল এক সূত্রে গাথা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মূল কাজ শুরু করার মধ্যদিয়ে বিশ্ব দরবারে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিল সরকার। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সড়ক) নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে গেল বছর। এগুলোকে এ বছরের উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে দেখছেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তবে উন্নতির সঙ্গে অপ্রাপ্তিও আছে খানিকটা। অবকাঠামো দুর্বলতা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়নি। শিল্প-কারখানায় ছিল গ্যাস-বিদ্যুত সঙ্কট। এজন্য বিনিয়োগের তিমিরে গতি ছিল না এডিপি বাস্তবায়নে। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের মতে, যে কোন মূল্যে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে সরকারকে। গ্যাস-বিদ্যুত সঙ্কট সমাধানে বিকল্প চিন্তা করতে হবে সরকারকে। তবে সবকিছুর ওপর তারা গুরুত্ব দিচ্ছে ২০১৬ সালে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর। স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি ॥ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল বিদায়ী বছরেও। ২০১৪-১৫ অর্থবছরেও ৬ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। যদিও বছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় তা অসম্ভব বলে মনে করে বিভিন্ন দাতা সংস্থা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির এ চাকাকে আরও সচল করার চেষ্টা করছে সরকার। অর্থবছরটিতে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ॥ বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রভাবে গত অর্থবছর মূল্যস্ফীতি কিছুটা উর্ধমুখী হলেও পরে তা নেমে আসে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর গত মাসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে। ফলে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি স্বস্তি দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। রিজার্ভে রেকর্ড ॥ ২০১৫ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের যে কোন সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। সব রেকর্ড ভেঙে গত নবেম্বর শেষে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান রিজার্ভ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রিজার্ভের দিক দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। যা পাকিস্তানের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, আগের যে কোন সময়ের তুলনায় অর্থনীতি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত ছিল অনেক বেশি শক্তিশালী। বর্তমানে ২৭ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রমাণ করে অর্থনীতির ভিত কতটা মজবুত। গবর্নর বলেন, ২০১৫ সালে অর্থনীতির সব সূচকই উর্ধমুখী ছিল। আশা করছি, ২০১৬ সালে অর্থনীতির এ গতি আরও ত্বরান্বিত হবে। রেমিটেন্স ॥ চলতি অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর এই পাঁচ মাসে প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ৬১৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ কোটি ২৪ লাখ ডলার বা দশমিক ৬৭ শতাংশ কম। গেল অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিটেন্স এসেছিল ৬২১ কোটি ২০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গেল অর্থবছরের পুরো সময়ে দেশে রেমিটেন্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে ১০৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার বা ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম মনে করেন, ২০১৫ সালে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক দিকই বেশি। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি ও রেমিটেন্স প্রবাহ ভাল অবস্থায় ছিল। রিজার্ভও বেড়েছে। আর মূল্যস্ফীতি প্রায় ১ শতাংশ কমেছে, যা বড় অর্জন। কৃষি খাতে সব ধরনের শস্যের উৎপাদন বেড়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ছিল না। এটাও অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি দিক। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ॥ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি একদিকে যেমন সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্বস্তি দিয়েছে। অন্যদিকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এক লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এদিকে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-নবেম্বর) সময়ে রাজস্ব আদায় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর সময়ে ৫৪ হাজার ৪০৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ২৯ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, এনবিআরের মনিটরিংয়ের পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের সম্ভাব্য অন্যতম উৎস হচ্ছে সরকারী প্রতিষ্ঠান যেমন- পেট্রোবাংলা ও বিপিসির কাছে রাজস্ব বকেয়া প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা আদায়ে এসব প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে একাধিক সভা করা হয়েছে এবং তা আদায়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে ॥ নবেম্বর ২০১৫ মাসে এলসি খোলা ও স্যাটেলমেন্ট গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে যথাক্রমে ২৩.৯ ও ৫.৮ শতাংশ। বছরের শেষভাগে এসে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ঊর্ধ্বমুখী ধারা উৎপাদন বাড়ানোর শক্ত পাটাতন তৈরি করতে সাহায্য করেছে। রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ॥ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি আয় বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি আয় বেড়েছে ১০১ কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ আয় আগের অর্থ বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে রফতানি খাত থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২০৭ কোটি ৮০ হাজার ডলার। কৃষি ॥ বরাবরের মতো অর্থনীতিতে সুখকর অবস্থা তৈরির ভিত মজবুত করে চলেছে কৃষি। ফসল উৎপাদন এবং কৃষির বিভিন্ন খাত-উপখাত সবখানেই ভাল করেছে বাংলাদেশ। মাছ উৎপাদনে সামগ্রিকভাবে চতুর্থ স্থান অর্জনের সুখবর এসেছে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও থেকে। এফএও বলছে, চাল-গম মিলে উৎপাদন হতে পারে ৫ কোটি ৬ কোটি টন। গত মৌসুমে বোরো চাল উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন দেশের কৃষক। কয়েক বছর চালের উৎপাদন ১ কোটি ৮৬ থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ টনে ওঠানামা করলেও এবার তা ১ কোটি ৯২ লাখ টন ছাড়িয়েছে, যা এ-যাবৎকালের সর্বোচ্চ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ॥ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের ১৫ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর বেশিরভাগই সংযোগ সড়ক, পুনর্বাসন ও প্রকল্প এলাকার উন্নয়ন কাজ। গত ১২ ডিসেম্বর মূল সেতু নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। পদ্মা সেতুর মূল কাজের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ২৭ শতাংশ কাজ হয়েছে। এর মধ্যে সেতুর কাজের ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, নদীশাসন কাজের ১৩ শতাংশ এবং উভয়প্রান্তে সংযোগ সড়কের প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প এলাকার দু’পাড়ে দেশী-বিদেশী এবং সামরিক-বেসামরিক মিলে প্রায় সাড়ে আট হাজার শ্রমিক দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। জার্মানি থেকে মূল পাইলের হ্যামার মাওয়ায় পৌঁছার পর এ কাজ পায় নতুন গতি। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ ॥ যেসব দেশের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) এক হাজার ৪৬ থেকে চার হাজার ১২৫ ডলার, সেগুলোকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ বলা হয়। সে তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। আশানুরূপ হয়নি এডিপি বাস্তবায়ন ॥ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপির মাধ্যমেই মূলত সরকারী বিনিয়োগ হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের (জুলাই-নবেম্বর) যে তথ্য পাওয়া গেছে তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। শতভাগ এডিপি বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হলেও বরাবরই তা অধরা থেকে যাচ্ছে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির ৯১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল। টাকার অঙ্কে যা ৭১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নবেম্বর পর্যন্ত) খরচ হয়েছে মাত্র ১৬ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। এটি এডিপির ১৭ শতাংশ। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ২০ শতাংশ। সেই হিসেবে অর্থবছরের বাকি সাত মাসে দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সামনে ৮৩ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ। পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, এবার শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন হবে। তবে এজন্য প্রথমদিকে যেভাবে বাস্তবায়ন হওয়া উচিত, সেভাবে হচ্ছে না। বিনিয়োগ তিমিরেই আটকে ছিল ॥ বছরের প্রথম তিনমাস রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পেরিয়ে ‘স্বস্তি’র আট মাস পার করলেও তার কোন প্রভাব অর্থনীতির প্রধান সূচক বিনিয়োগে পড়েনি। ‘যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই’ আটকে আছে বিনিয়োগ। বেসরকারী বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকারী বিনিয়োগও বাড়েনি। আর এটাকেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান সমস্যা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরুতে বিদেশী বিনিয়োগ পরিস্থিতি ছিল নেতিবাচক। জানুয়ারিতে একটি মাত্র প্রস্তাব নিবন্ধিত হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি-জুন পর্যন্ত মোটামুটি ভাল অবস্থা ছিল। সেপ্টেম্বরে যৌথ ও শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগের নিবন্ধনের প্রস্তাব আসে মাত্র ১৯২ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার ৮টি শিল্পের। সরকারের ব্যাংক ঋণ কমেছে ॥ বড় অঙ্কের ব্যাংক ঋণ নিয়ে সরকার অর্থবছর শুরু করলেও এখন তা কমে এসেছে। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার নীটব্যাংক ঋণ দাঁড়িয়েছে (-) ঋণাত্মক ১১১ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরেও সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে উল্টো আগের নেয়া ঋণ পরিশোধ করেছে। কমেছে ব্যাংক ঋণের সুদের হার ॥ বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার। সেই বাধা ক্রমেই শিথিল হচ্ছে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে ঋণের ক্ষেত্রে সুদহার কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সুদহারে এই নিম্নমুখী প্রবণতায় ঋণ আমানত ও সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) আরও কমেছে। অক্টোবর মাস শেষে ঋণ ও আমানতের গড় সুদহার ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
×