ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুয়ারেজের স্বপ্ন পূরণ

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১ জানুয়ারি ২০১৬

সুয়ারেজের স্বপ্ন পূরণ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শৈশব থেকেই স্বপ্ন দেখতেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো লুইস সুয়ারেজের। সম্প্রতি স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সিলোনার জার্সিতে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি। আর দীর্ঘদিনের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হওয়ার পর থেকেই দারুণ রোমাঞ্চিত কাতালানদের এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। এ বিষয়ে ফিফা. কমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে লিভারপুলের সাবেক এই তারকা ফুটবলার বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে খেলার অনুভূতিটা সত্যিই দারুণ। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপই এখন ক্লাব বিশ্বকাপ, এটা এমন এক টুর্নামেন্ট যা আমাকে বাল্যকাল থেকেই রোমাঞ্চিত করত। যখন আমি ছোট্ট ছিলাম তখন ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠেই এই টুর্নামেন্টের খেলা দেখতাম। এই টুর্নামেন্ট জয়ের স্বপ্নটা আমার দীর্ঘদিনের যা, অবশেষে বাস্তবে পরিণত হলো।’ শুধু সুয়ারেজ নয়, তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছে বার্সিলোনা। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে রিভারপ্লেটকে হারিয়ে ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় নেয় ইউরোপ সেরারা। আর অসাধারণ পারফর্মেন্সের সৌজন্যে টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বল জিতেছেন সুয়ারেজ। যেখানে মেসি জিতেছেন সিলভার বল। এছাড়া ব্রোঞ্জ বল জিতেছেন দারুণ পারফর্ম করা বার্সার পুরনো সৈনিক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। এ শিরোপা জয়ের পর প্রথম ক্লাব হিসেবে তিন বিশ্বকাপ জয়ের বিস্ময়কর কীর্তি গড়ল সুয়ারেজের বার্সা। এর আগে ২০০৯ ও ২০১১ সালে দুইবার ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল কাতালানরা। সব মিলিয়ে এ বছরে পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলল লুইস এনরিকের শিষ্যরা। এই টুর্নামেন্টে উরগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজের মোট গোল পাঁচ। সেমিফাইনালে গুয়াংজু এভারগ্রেন্ডের বিপক্ষে তিনি দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকও করেন তিনি। যা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসেরই প্রথম হ্যাটট্রিক। এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরেই পাঁচ গোল করলেন সুয়ারেজ। আর তিন আসরে পাঁচ গোল রয়েছে মেসির। ক্লাব বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় মেসি-সুয়ারেজ ছাড়াও আছেন আর্জেন্টিনার সিজার ডেলগাডো। লিওনেল মেসি, আর নেইমারের সঙ্গে একই ক্লাবে খেলছেন সুয়ারেজ। বর্তমানে এই ত্রয়ীকেই বলা হচ্ছে বিশ্বফুটবলের সেরা আক্রমণভাগ। তা মানছেন সুয়ারেজ নিজেও। এ সম্পর্কে সুয়ারেজ অকপটেই বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের আক্রমণভাগই বিশ্বের সেরা। আমরা সবসময়ই কঠোর পরিশ্রম করি এবং প্রতিদিনই নিজেদের উন্নতির চেষ্টা করি।’ আর ক্লাব বিশ্বকাপে মেসি-নেইমারের পারফর্মেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা দুজনই ম্যাচ উইনার। তাদের মতো খেলোয়াড়কে পাশে পাওয়ার অনুভূতিটা আসলেই দারুণ। আর ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাটা শুধু আমার একার নয় বরং পুরো দলেরই এই অর্জন। অসামান্য এই অর্জনের জন্য দলের সকলকেই স্বীকৃতি দিতে চাই আমি। কেননা দলের সকলেই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। এই শিরোপা জিতে আমি খুবই আনন্দিত।’ গত গ্রীষ্মে লিভারপুল থেকে রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার অর্থের বিনিময়ে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সিলোনায় যোগ দেন উরুগুয়ের এই তারকা। কাতালান ক্লাবটিতে শুরুর দিকে নিজেকে মেলে ধরতে কিছুটা সময় লাগলেও এখন দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। বুধবারও জোড়া গোল করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন লুইস সুয়ারেজ।
×