ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ের স্বাদে নতুন বছরে বার্সিলোনা

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ১ জানুয়ারি ২০১৬

জয়ের স্বাদে নতুন বছরে বার্সিলোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জয়ের স্বাদ সঙ্গী করে ২০১৫ সাল শেষ করেছে দুই পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সিলোনা। স্প্যানিশ লা লিগায় দু’দলই বছরের শেষ ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে। তৃপ্তির ঢেকুর সঙ্গী করেই তাই দল দুটি ২০১৬ সালে পা রেখেছে। অবশ্য তৃপ্তির মাত্রাটা বার্সারই বেশি হওয়ার কথা। কেননা শিরোপা ধরে রাখার দৌড়ে শীর্ষে থেকে নতুন বছর শুরু করবে তারা। বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত লা লিগার ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-১ গোলে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ও বার্সিলোনা ৪-০ গোলে পরাজিত করে রিয়াল বেটিসকে। একই তৃপ্তি সঙ্গী করে নতুন বছরে মিশন শুরু করবে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এ্যাওয়ে ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারায় রায়ো ভায়োকানোকে। অন্য ম্যাচে মালাগা ১-০ গোলে লেভান্তেকে, সেভিয়া ২-০ গোলে এস্পানিওলকে, এইবার একই ব্যবধানে স্পোর্টিং গিজনকে ও এ্যাথলেটিক বিলবাও ১-০ গোলে হারায় সেল্টা ভিগোকে। গেটাফে ও ডিপোর্টিভোর মধ্যকার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। বর্তমানে ১৬ ম্যাচ শেষে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এ্যাটলেটিকোর সংগ্রহও ৩৮ পয়েন্ট। তবে তারা বার্সার চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। ১৭ ম্যাচ খেলে রিয়ালের ভা-ারে জমা ৩৬ পয়েন্ট। বছরজুড়েই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বার্সিলোনার আক্রমণভাগের তিন তারকা লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমার। তাদের অসাধারণ পারফর্মেন্সে ভর করেই গেল বছর পাঁচ শিরোপা জিতেছে কাতলানরা। বছরের শেষ ম্যাচেও জ্বলে উঠেন বার্সার আক্রমণত্রয়ী, ইউরোপিয়ান ফুটবলে যাদের ডাকা হয় ‘এমএসএন’ নামে। বার্সিলোনার জার্সি গায়ে ৫০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মেসি। একটি গোল করে মাইলফলকের এই ম্যাচ স্মরণীয় করে রেখেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। জোড়া গোল করেছেন সুয়ারেজ। নেইমার নিজে গোল করতে না পারলেও নেপথ্য ভূমিকা রেখেছেন বার্সার দুটি গোলের পেছনে। ম্যাচের অপর গোলটি হয়েছে হেইকো ওয়েস্টারম্যানের আত্মঘাতীর সৌজন্যে। ২৯ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন বেটিসের এই ডিফেন্ডার। অবশ্য গোলটি পেতে পারতেন নেইমার। মেসিকে ফাউল করলে স্পট কিক পায় বার্সা। কিন্তু নেইমারের পেনাল্টি শট বারপোস্ট লেগে ফিরে আসলে তা ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন হেইকো। ৩৩ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর দাপট দেখান সুয়ারেজ। ৪৬ ও ৮৩ মিনিটে দুটি গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। ৮৩ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি করেছেন নেইমারের পাস থেকে। ২০১৫ সালের শুরুটা দারুণভাবে করেছিলেন রোনাল্ডো। টানা দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছিলেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। কিন্তু এরপর বাকিটা সময় শুধু হতাশই হতে হয়েছে পর্তুগীজ এই তারকাকে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিততে পারেননি একটা শিরোপাও। তবে বছরের শেষ ম্যাচে জোড়া গোল করে শুরুর মতো শেষটাও ভালমতো করতে পেরেছেন সি আর সেভেন। তবে পেনাল্টি মিস না করলে হ্যাটট্রিকও পেয়ে যেতে পারতেন তিনি। অবশ্য ম্যাচের ৪২ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি রোনাল্ডো করেন পেনাল্টি থেকেই। মার্সেলোর পাস থেকে নিজের অপর গোলটি করেন ৬৭ মিনিটে। ম্যাচের শেষ ভাগে রিয়ালের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন করিম বেনজেমার বদলি হিসেবে নামা লুকাস। ৪৯ মিনিটে সোসিয়েদাদের একমাত্র গোলদাতা না বাঙনা। চার গোলের জয়ে দারুণ একটা রেকর্ডও হয়েছে বার্সিলোনার। এক পঞ্জিকা বর্ষে সর্বাধিক গোল করার স্প্যানিশ রেকর্ড এখন তাদের। ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের করা ১৭৮ গোলের রেকর্ড পেছনে ফেলতে পরশু রাতে বার্সার দরকার ছিল ৩ গোল। তারা করেছে ৪টি। ২০১৫ সালে সব মিলিয়ে বার্সার মোট গোল হয়েছে ১৮০টি। ২০১৪ সালে ১৭৮ গোল করে এই রেকর্ড গড়েছিল রিয়াল।
×