ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফতুল্লার গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

ফতুল্লার গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ২৯ ডিসেম্বর ॥ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কায়েমপুরে আবুল হোসেন (৩০) নামে গার্মেন্টস কারখানার এক কর্মকর্তার পায়ুপথে কমপ্রেসার মেশিনের হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার অভিযোগে পুলিশ একই প্রতিষ্ঠানের অপর দুই কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন (৩৫) ও সাগর উদ্দিনকে (২৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেডের কোয়ালিটি ম্যানেজার এসএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আহত জুনিয়র কিউসি মোঃ আবুল হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেট ফুলে যাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ জানায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত পৌনে ৮টায় রফতানিমুখী গার্মেন্টস কারখানা ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেডের ডাইং সেকশনে। মামলার বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর (রবিবার) রাত পৌনে ৮টার দিকে কারখানাটি ছুটির পূর্ব মুহূর্তে ডাইং সেকশনে কর্মরত জুনিয়র কিউসি আবুল হোসেনকে ধরে পায়ুপথে কমপ্রেসার মেশিনের (হাওয়া দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করার মেশিন) হাওয়া ঢোকায় অপর দুই জুনিয়র কিউসি মোতাহার হোসেন ও সাগর উদ্দিন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোঃ আবুল হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার পেট ফুলে যায়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটির আগে আবুল হোসেনের সঙ্গে মোতাহার হোসেন ও সাগর উদ্দিনের কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাদ ঘটেনি। ওই কমপ্রেসার মেশিনের হাওয়া দিলে মানুষ মারা যেতে পারে এটা জেনেও তারা কেন এই কাজ করেছে এবং তাদের কোন দুরভিসন্ধি ছিল কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা মামলায় বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমির হোসেন ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় একই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন ও সাগর উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও ফকির গ্রুপের লোকজন মামলার সঙ্গে অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তিমূলক কাগজপত্র ও কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর ফারুক মিঞার লিখিত বক্তব্য সাক্ষী হিসেবে সংযুক্ত করেছে।
×